ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

৭৫৪ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়া ম্যাচে প্রোটিয়াদের বড় জয় 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০০, ৭ অক্টোবর ২০২৩  
৭৫৪ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়া ম্যাচে প্রোটিয়াদের বড় জয় 

রীতিমত রান উৎসব। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড ৪২৮ রান। তাড়া করতে নেমে বড় ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়লেও লড়াই করেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত ৭৫৪  রানের ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে প্রোটিয়ারা। 

দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শনিবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে তিন শতকে ভর করে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাড়া করতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ৩২৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। তাতে ১০২ রানের বড় জয়ে বিশ্বকাপ শুরু হলো চোকার্স খ্যাত প্রোটিয়াদের। 

ডি কক-মার্করামদের ব্যাটে রানের ফোয়ারা বুঝিয়ে দিয়েছিল এই উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ। কিন্তু বড় রানের চাপ মূলত নিতে পারেন দ্বীপরাষ্ট্রটি। দুই ওপেনার পাথুম নিসাংকা ১ ও কুশল পেরেরা ৭ রানে ফেরায় চাপ আরও বাড়ে। 

৪২ বলে ৭৬ রানের ইনিংস খেলে প্রতিরোধ গড়েন কুশল মেন্ডিস। এ ছাড়া চারিথ আসালাংকা ৬৫ বলে ৭৯ ও অধিনায়ক দাসুন শানাকার ৬২ বলে ৬৫ রানের কল্যাণে ৩০০ পার করতে পারে শ্রীলঙ্কা। এই তিন ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারলে গল্পটা অন্যরকমও হতে পারতো। শেষ দিকে ৩১ বলে ৩৩ রান করে ব্যবধান কমিয়েছেন কাসুন রাজিথা। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন গেরাল্ড। ২টি করে উইকেট নেন জানসেন, মাহারেজ ও রাবাদা। 

এর আগে বিশ্বকাপে দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে প্রোটিয়ারা। দলীয় সংগ্রহে বড় অবদান মার্করামের। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।  তিনি সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মাত্র ৪৯ বলে। এর আগে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরি ছিল কেভিন ও ব্রায়ানের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১১ বিশ্বকাপে ৫০ বলে শতক হাঁকিয়েছিলেন। আর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট ইতিহাসে এটি তৃতীয় দ্রুততম শতক।

দলীয় ১০ রানে প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ফিরলে শুরু হয় তাদের রানের উৎসব। রসি ভ্যান ডার ডুসেনকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার কুইন্টন ডি কক জুটি গড়েন ২০৪ রানের। দুজনেই তুলে নেন সেঞ্চুরি। ৮৩ বলে ১০০ রান করে পরের বলেই আউট হন ডি কক। ককের পর সেঞ্চুরির দেখা পান রসি। তবে তার ইনিংস ছিল বাকি দুজন থেকে ধীরগতির। তিনি সেঞ্চুরি হাঁকান ১০৩ বলে। আউট হন ১১০ বলে ১০৮ রান করে।  

শেষ দিকে ঝড় তোলেন ডেভিড মিলার-মার্কো জানসেন জুটি। মাত্র ২১ বলে মিলার ৩৯ ও ৭ বলে ১২ রান করেন জানসেন। দুজনেই অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। লঙ্কান বোলারদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন দিলশান মাদুশংকা। একমাত্র অধিনায়ক দাসুন শানাকা ছাড়া সব বোলারই ওভার প্রতি আটের অধিক রান খরচ করেছেন। শানাকা দেন ৬ করে।

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়