হাইভোল্টেজ ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতলো ভারত
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ১৯১/১০ (৪২.৪ ওভারে)
ভারত: ১৯২/৩ (৩০.৩ ওভারে)
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: জাসপ্রিত বুমরাহ।
হাইভোল্টেজ ম্যাচে অনায়াস জয় পেলো ভারত। পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৯২ রানের মামুলি টার্গেট তারা ছুঁয়ে ফেলে ৩০.৩ ওভারেই। রান অল্প হলেও খুনে মেজাজে ব্যাটিং করেন রোহিত শর্মা। তিনি ৩৬ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় পূর্ণ করেন ফিফটি। আর ৬৩ বলে ৬টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৬ রান করে শাহিন আফ্রিদির বলে আউট হন। এছাড়া শ্রেয়াস আয়ার ৬২ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
রোহিতকে সেঞ্চুরি করতে দিলেন না শাহিন:
গিল ও কোহলি ফিরলেও রোহিত শর্মা ছিলেন খুনে মেজাজে। ৩৬ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় পূর্ণ করেন ফিফটি। এরপর এগিয়ে যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। কিন্তু সেটা হতে দেননি শাহিন আফ্রিদি। দলীয় ১৫৬ রানের মাথায় রোহিতকে ফেরান তিনি। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থাকতে ফেরেন তিনি। ৬৩ বলে ৬টি চার ও ৬ ছক্কায় ৮৬ রান করে যান তিনি।
এবার কোহলিকে ফেরালেন হাসান:
গিলের পর ফিরলেন কোহলিও। তাকে ফেরালেন হাসান আলী। ৭৯ রানের মাথায় হাসানের বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। ১৮ বলে ৩ চারে ১৬ রান করে যান তিনি।
গিল কোহলি আউট হলেও রোহিত শর্মা মারকুটে ব্যাটিং করছেন। ৩১ বল খেলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কায় ইতোমধ্যে ৪৬ রান করেছেন তিনি। তাতে ১১ ওভারেই ৮১ রান তুলে ফেলেছে ভারত।
ঝড় তোলা গিলকে থামালেন শাহিন:
পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ১৯২ রানের মামুলি টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ঝড় তোলেন শুভমান গিল ও রোহিত শর্মা। ২.৪ ওভারেই তুলে ফেলেন ২৩ রান। অবশ্য এই রানে ঝড় তোলা গিলকে থামান শাহিন আফ্রিদি। তার বলে শাদাব খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন গিল। ১১ বলে ৪টি চারে ১৬ রান করে যান তিনি।
১৯১ রানেই গুটিয়ে গেল পাকিস্তান:
ভারতের বিপক্ষে হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো নাকানিচুবানি খেলো পাকিস্তান। খেলতে পারলো না পুরো ৫০ ওভার। ম্যারম্যারে আর নতজানু ব্যাটিংয়ে ৪২.৪ ওভারে তারা অলআউট হয়েছে মাত্র ১৯১ রানে। জিততে ভারতকে করতে হবে ১৯২ রান।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট জুটিতে ভালোই এগোচ্ছিল পাকিস্তান। ৪১ রানে প্রথম, ৯৩ রানে তৃতীয় ও ১৫৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে ১৯১ রানে যেতে অলআউট হয়ে যায় মেন ইন গ্রিনরা। ব্যাট হাতে বাবর সর্বোচ্চ ৫০, রিজওয়ান ৪৯ ও ইমাম-উল-হক ৩৬, আব্দুল্লাহ শফিক ২০ ও হাসান আলী ১২ রান করেন। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেননি।
বল হাতে ভারতের চার বোলার দুটি করে উইকেট নেন। তারা হলেন- জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা।
সাত উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান:
২৯.৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৫। সেখান থেকে ৩৫.২ ওভারে ১৭১ রানে যেতে নেই পাকিস্তানের ৭ উইকেট। অল্প ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুকছে পাকিস্তান। লেজের ব্যাটসম্যান হাসান আলী ও মোহাম্মদ নাওয়াজ টানছেন পাকিস্তানের দলীয় সংগ্রহকে। ২০০ পেরুতে পারবেন কি তারা?
রিজওয়ানের বিদায়ে আরও চাপে পাকিস্তান:
এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর পরের ওভারেই আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। জাসপ্রিত বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৬৯ বল খেলে ৭টি চারে ৪৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পর পর তিন উইকেট হারিয়ে নিদারুণ চাপে আছে পাকিস্তান।
এক ওভারে দুই উইকেট হারালো পাকিস্তান:
ফিফটি করে বাবর ফেরার অল্প ব্যবধানেই আরও একটি উইকেট হারালো পাকিস্তান। এবার ফিরলেন সৌদ শাকিল। দলীয় ১৬২ রানের মাথায় কুলদীপ যাদবের বলে বিভ্রান্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হন তিনি। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় ভারত এবং আউট হয়ে যান শাকিল। ১০ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ওই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান ইফতিখার আহমেদ। ২ বল খেলে ৪ রান করেন তিনি। কুলদীপ এসে এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন পাকিস্তানকে।
ফিফটি করে ফিরলেন বাবর:
বিশ্বকাপে ধুঁকছিলেন বাবর। ভারতের বিপক্ষের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ফিরলেন রানে। করলেন ফিফটি। কিন্তু এরপর আর টিকতে পারলেন না। দলীয় ১৫৫ রানের মাথায় মোহাম্মদ সিরাজের করা বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ৫৮ বলে ৭ চারে ৫০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
বাবর-রিজওয়ানে শতরান পেরিয়ে পাকিস্তান:
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ৪১ ও ৭৩ রানে দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। তারা দুজন দলীয় সংগ্রহকে টেনে নিচ্ছেন। তাদের ব্যাটে ভর করে পাকিস্তান ইতোমধ্যে শতরান পেরিয়েছে। বাবর ৩৫ ও রিজওয়ান ৩৩ রানে ব্যাট করছেন।
শফিক-ইমামের বিদায়ের পর বাবর-রিজওয়ান লড়ছেন:
বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ভালো শুরু করেছে পাকিস্তান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ারপ্লে’তে দারুণ সংগ্রহ পেয়েছে বাবর আজমের দল। যদিও ৮ম ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন আবদুল্লাহ শফিক। তার আগে ইমাম উল হকের সঙ্গে গড়েন ৪১ রানের জুটি।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। ২৩ রান করা ওপেনার ইমাম উল হকের সঙ্গে অধিনায়ক বাবর আজম অপরাজিত আছেন ৫ রানে।
শনিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পাকিস্তানের হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন শফিক আবদুল্লাহ ও ইমাম উল হক।
ম্যাচের শুরু থেকে দেখেশুনে খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। নির্বিঘ্নে ৮ ওভার কাটিয়ে দেয় এ জুটি। তবে ৮ম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ সিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ২৪ বলে ৩ চারের মারে ২০ রান করে বিদায় নেন আবদুল্লাহ শফিক।
ম্যাচে দারুণ বোলিং করছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে কেবল ১৪ রান দিয়েছেন এই পেসার। নিয়েছেন এক মেইডেন ওভার। অন্য প্রান্তে যদিও খরুচে ছিলেন সিরাজ। তবে শফিকের উইকেট নিয়ে তার কিছুটা পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/বিজয়/আমিনুল