ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

মহাসড়কের পাশে মহোৎসবের অপেক্ষা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, পুনে থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ১৭ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২১:১৯, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
মহাসড়কের পাশে মহোৎসবের অপেক্ষা

‘ম্যাচটা শেষ বল পর্যন্ত হোক। নখ কামড়ানো মুহূর্ত ছড়াক। উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়ুক। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ হোক। ভারতের ম্যাড়ম্যাড়ে ম্যাচ আর ভালো লাগছে না। কেউ না কেউ ভারতকে চ্যালেঞ্জ জানাক।’ 

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মিডিয়া বক্সের দায়িত্বে থাকা ওম শ্রীবাস্তবের কথাগুলো যেন গোটা ভারতবর্ষের চাওয়া। বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে ভারত তিনটি জিতে গেলেও বিশ্বকাপের উন্মাদনায় যেন একটুও রঙ লাগেনি। সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানকে সহজে হারিয়েছে রোহিত শর্মার দল। মাঝে আফগানিস্তান পাত্তা পায়নি। চার নম্বরে তাদের সামনে বাংলাদেশ পরীক্ষা। যাদের বিপক্ষে শেষ চার মুখোমুখির তিনটিই হেরেছে টিম ইন্ডিয়া।

সবুজাভ মাঠ, এক পাশে খোলা আকাশ ছাড়িয়ে দেখা যায় গাহুঞ্জের পাহাড়। মুম্বাই-পুনে দ্রুগতির মহাসড়কের পাশে মাথা উচুঁ করে থাকা ৩৭ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়াম ২০১১ সালের পহেলা এপ্রিল চালু হয়। আগামীকাল বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে গোলাকৃতির স্টেডিয়ামের বিশ্বকাপযাত্রা। এক দশমিক পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলারের এই স্টেডিয়াম ব্রিটিশ আর্কিটেকচার হপকিংস বানিয়েছিলেন। তার চাওয়া ছিল একটাই, ‘মাঠে যেন রান হয়। উৎসব ছড়ায়।’

বলা হয়, স্টেডিয়ামের ১৫ উইকেটের সবকটিই রানপ্রসবা, ব্যাটসম্যানদের স্বর্গরাজ্য। কালো মাটির পিচ বল ভালোভাবে ব্যাটে আসে এবং ঠিকঠাক পরিমাণ বাউন্সও করে। বাউন্ডারি ছোট এবং দ্রুত গতির হওয়ায় ম্যাচে প্রচুর চার-ছক্কা দেখা যায়। যেখানে গড় রান ৩০৭।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর তিনদিনের ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশ দল আজ পুরোদমে অনুশীলন করেছে পুনেতে। অনুশীলনে ছিলেন সাকিব আল হাসানও। যার দিকে চোখ ছিল সবার। শেষ ম্যাচে ঊরুতে চোট পাওয়ায় সাকিবকে নিয়ে ছিল দুশ্চিন্তা। তবে আজ যেভাবে অনুশীলন করেছেন তাতে সংশয়ের মেঘ নিশ্চিতভাবেই কেটে গেছে। স্পিনার, পেসারদের বেশ সাবলীলভাবে খেলার পর ব্যাট-প্যাড নিয়ে রানিং করে জড়তা কাটাতে দেখা গেছে।

বাকিরাও বেশ সাচ্ছন্দ্যে অনুশীলন করেছেন। রানে থাকা মুশফিক গভীর মনোযোগে প্রস্তুতি সেরেছেন। শান্তকে দেখা গেছে বাড়তি সময় দিতে। খেলোয়াড়রা যখন ফুটভলি খেলছিলেন তখন থ্রোয়ার নিয়ে তার ঠিকানা হয় মাঠের সবচেয়ে পূর্বের নেটে। যেখানে ব্যাট-বলের রসায়ণ জমছিল তার। 

ভারতের ছিল ঐচ্ছিক অনুশীলন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পুরো দল মাঠে নেমে প্রস্তুতি সেরেছে। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা প্রত্যেকে নিজেদেরকে ঝালিয়ে নিয়েছে গভীরভাবে। আর বুমরাহ, হার্দিকরা ছিলেন আপ টু মার্ক। বিশ্বকাপে তাদের এখনও বাজে দিন আসেনি। আসেনি বলে যে আসবে না তা কে জানে। তাইতো তাদেরকে বেশ সতর্কই মনে হলো।

বাংলাদেশ তিন ম্যাচের দুটি হেরেছে। ভারত জিতেছে সবগুলো। নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দুই দলের এক চাওয়াই থাকবে, জয়। পুনেতে কার মুখে হাসি ফোঁটে সেটাই দেখার।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়