ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

কোহলির ৫ রানের আক্ষেপ, ভারতের পাঁচে পাঁচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৫৩, ২২ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২৩:১৮, ২২ অক্টোবর ২০২৩
কোহলির ৫ রানের আক্ষেপ, ভারতের পাঁচে পাঁচ

ভারতের প্রয়োজন ৫ রান, বিরাট কোহলিরও সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজন সমান রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে এমন সমীকরণে সেঞ্চুরি পেলেও এবার মাঠ ছাড়তে হলো সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে। ম্যাট হেনরিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। কোহলির সেঞ্চুরি না হলেও ভারত দারুণ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।

ধর্মশালায় রোববার (২২ অক্টোবর) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ২৭৩ রানে অলআউট হয় নিউ জিল্যান্ড। তাড়া করতে নেমে ভারত ৪৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। পাঁচ ম্যাচ খেলে ভারত পাঁচটিতেই জয় পেলো। অন্যদিকে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেলো নিউ জিল্যান্ড।

চেজ মাস্টার হিসেবে খ্যাত কোহলি আরও একবার ভারতের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন। অন্য প্রান্তে যাখন উইকেট পড়ছিল তখন ঠাণ্ডা মাথায় এগোচ্ছিলেন জয়ের দিকে। লোকেশ রাহুল আউট (২৭) হওয়ার পর সূর্যকুমার যাদব (২) ফেরেন রানআউট হয়ে। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে এগোতে থাকেন কোহলি।

দুজনে সাবলীল খেলে যখন জয়ের খুব কাছে, তখন কোহলির সেঞ্চুরিরও সম্ভাবনা জাগে। শেষ দিকে সিঙ্গেল না নিয়ে সেভাবেই এগোচ্ছিলেন কিং কোহলি। কিন্তু হতে হতেও হয়নি। ১০৪ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় থামে তার ইনিংস। তার আউটের পর জয়ের দ্বারপ্রান্তে থাকলেও ধর্মশালায় নেমে আসে নীরবতা। রোহিত শর্মা-শ্রেয়াস আয়ারকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়।

কোহলির আউটের পর জাদেজা ম্যাচটি শেষ করে আসেন। ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তবে ভারতের জয়ের ভিত দারুণ শুরুতে গড়ে দেন রোহিত-শুভমান গিল। দুজনের জুটি থেকে আসে ৭১ রান। রোহিত ৪৬ ও গিল ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। মাঝে শ্রেয়াস আয়ার ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন।

এর আগে তিন’শর দিকে ছুটতে থাকলেও মোহাম্মদ শামির রেকর্ড ফাইফারে ২৭৩ রানে থেমে যায় নিউ জিল্যান্ড। পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম সুযোগ পাওয়া শামি করেন বাজিমাত। একমাত্র ভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপে নেন দ্বিতীয় ফাইফার। এ ছাড়া পাঁচবারের বেশি নিয়েছেন চার উইকেট। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে তিনি এই উইকেটগুলো নেন।  তার হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

শামির দিনে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রীত বুমরাহ-মোহাম্মদ সিরাজ। এ ছাড়া ২টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। তবে তিনি মার খেয়েছেন বেশ। ১০ ওভারে ৭৩ রান দেন কুলদীপ।

দলীয় ৯ রানে ডেভন কনওয়ে (০) ও ১৯ রানে উইল ইয়ংকে (১৭) ফিরিয়ে দারুণ শুরু করে ভারত। দুই ওপেনার ২০ রানের আগে ফেরার চাপকে সামলে এগোতে থাকেন রাচিন রবীন্দ্র-মিচেল। দুজনে সিঙ্গেলস-ডাবলস নিয়ে ভারতীয় বোলারদের অস্বস্তি বাড়াতে থাকেন।

ব্যক্তিগত ১২ রানে জাদেজার হাতে জীবন পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাননি রাচিন। মিচেলের সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন ১৫৯ রান। বিশ্বকাপে ভারত-নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে যে কোনো উইকেটে এটি সর্বোচ্চ জুটি। ৮৭ বলে ৭৫ রান করে রাচিন আউট হলে ভাঙে এই জুটি।

রাচিন ফিরলে একপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে নিউ জিল্যান্ড। তবে আরেক প্রান্তে আগলে রেখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন মিচেল। শত বলে সেঞ্চুরির পর ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে আউট হন ১৩০ রানে। ওয়ানডেতে মিচেলের এটি ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ১২৭ বলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। মাঝে উইকেটের মিছিলে গ্ল্যান ফিলিপস করেন ২৩ রান। আর কোনো ব্যাটার মুখ দেখেননি দুই অঙ্কের।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়