ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

১৪৯ রানে হারলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:০৬, ২৪ অক্টোবর ২০২৩   আপডেট: ২২:৩৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
১৪৯ রানে হারলো বাংলাদেশ

সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৮২/৫ (৫০ ওভার) 
বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ (৪৬.৪ ওভার)
ফল: দ. আফ্রিকা ১৪৯ রানে জয়ী।

৩৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ ৪৬.৪ ওভারে ২৩৩ রান করতে পারে। আর দক্ষিণ আফ্রিকা জয় পায় ১৪৯ রানে।

তৃতীয় সেঞ্চুরি করে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ:
বিশ্বকাপের মঞ্চে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে বেশিদূর এগোতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ১১১ বলে ১১টি চার ও ৪ ছক্কায় ১১১ রান করে আউট হন তিনি। কোয়েটজের স্লোয়ার উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন মার্কো জানসেনের হাতে।

মাহমুদউল্লাহর তৃতীয় সেঞ্চুরি:
বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা অসহায় আত্মসমর্পণ করলেও ঘুরে দাঁড়ান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আস্তে আস্তে টেনে নিতে থাকেন দলীয় ও নিজের সংগ্রহকে। শেষ পর্যন্ত তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১০৪ বল খেলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় ১০০ রান করেন তিনি। তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাদেশ অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২০০ পেরুলো বাংলাদেশ:
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ২০০ রান পেরুলো বাংলাদেশ। তিনি ১০১ বলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় ৯৭ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন। ১৭ বলে ২ চারে ১০ রানে ব্যাটিং করছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহকে। নবম উইকেটে এই জুটি ইতোমধ্যে ৪৫ বলে ৫২ রান সংগ্রহ করেছে। যা এই ম্যাচে বাংলাদেশের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।

অষ্টম উইকেট হারিয়ে বড় হারের পথে বাংলাদেশ:
১৫৯ রানের মাথায় অষ্টম উইকেট হারালো বাংলাদেশ। ফিরলেন হাসান মাহমুদ। রাবাদার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে কোয়েটজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ২৫ বলে ২ চারে ১৫ রান করেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে অষ্টম উইকেট জুটিতে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৪৯ বলে ৩৭ রান।

মাহমুদউল্লাহর লড়াকু ফিফটি, দেড়’শ পেরুলো বাংলাদেশ:
৩৮৩ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে লেজে-গোবরে অবস্থা বাংলাদেশের। আসা-যাওয়ার মিছিলে ইতোমধ্যে সাত উইকেট হারিয়েছে তারা। তবে ব্যতিক্রম মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি দারুণ ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৬৭ বলে ৬ চারে ৫০ রান করেন তিনি।

এবারের বিশ্বকাপে অবশ্য তার ব্যাট হাসছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট করতে নামতে হয়নি। পরে তিন ম্যাচের মধ্যে দুই ম্যাচ খেলেন। তার মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৪১ এবং ভারতের বিপক্ষে ৪৬ রান করেন। আজ করলেন ফিফটি।

সপ্তম উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
দলীয় ১২২ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এ সময় জেরাল্ড কোয়েটজের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাসুম আহমেদ। তিনি ১৯ বলে ৩ চারে ১৯ রান করে যান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৩৯ বলে ৪১ রান। যা এই ম্যাচে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

ষষ্ঠ উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
কেশব মহারাজের করা ২২তম ওভারের শেষ বল। মিরাজ স্লগ শট খেললেন ডিপ স্কয়ার লেগে। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন আন্দিলে ফেলুকাওয়ে। দলীয় ৮১ রানের মাথায় তার হাতে তালুবন্দি হয়ে ফেরেন মিরাজ। ১৯ বল খেলে ১ চারে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৩৮৩ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারিয়ে বিশাল পরাজয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ।

৫৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ:
কাগিসু রাবাদার করা ১৫তম ওভারের শেষ বল। লিটন খেলতে পারেননি। বল গিয়ে সজোরে তার প্যাডে আঘাত হানে। সমস্বরে এলবিডব্লিউর আবেদন। আম্পায়ার সাড়া দেন। লিটন রিভিউ নেন। কিন্তু টিকতে পারেননি। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রানে ফেরেন তিনি। ৪৪ বল খেলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যান।

চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
৪২ রানে যেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসলো বাংলাদেশ। তানজিদ-শান্ত-সাকিবের পর এবার বিদায় নিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তিনি জেরাল্ড কোয়েটজেকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আন্দিলে ফেলুকাওয়ের হাতে বাউন্ডারি লাইনের সামনে ধরা পড়েন। ১৭ বলে ১ চারে ৮ রান করে যান তিনি।

৮ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
মাত্র ৮ বলের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে প্রথম বল থেকে অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত একে একে তানিজদ, শান্ত ও সাকিব আল হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারে পর পর দুই বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে তানজিদ ও শান্তকে ফেরান জানসেন। আর অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাকিবকে সেই উইকেটের পেছনেই ক্যাচ বানিয়ে ফেরান লিজাড উইলিয়ামস। তিনি ৪ বল খেলে ১ রান করে যান।
বাংলাদেশ: ৩১/৩ (৮.২ ওভারে),
লিটন ১২*, মুশফিক ০*।

দুই বলে দুই উইকেট হারালো বাংলাদেশ:
৩৮৩ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। ৬ ওভারে তারা দুজন তোলেন ৩০ রান। এরপরই আউট হন তানজিদ। মার্কো জানসেনের শর্ট বলে উইকেটের পেছনে ক্লাসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

পরের বলেই আউট হন নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। ফ্লিক করতে গিয়ে সেই জানসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক মেরে ফেরেন তিনি।

৩৮২ রানে থামলো দক্ষিণ আফ্রিকা:
কুইন্টন ডি কক, এইডেন মার্করাম, হেনরিক ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার ঝড়ে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ৩৮৩ রান।

ব্যাট হাতে ডি কক ১৪০ বলে ১৫টি চার ও ৭ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ১৭৪ রান। মার্করাম ৭ চারে করেন ৬০ রান। ঝড় তুলে ক্লাসেন মাত্র ৪৯ বলে ২টি চার ও ৮ ছক্কায় করেন ৯০ রান। আর মিলার ১৫ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৩৪ রান।

জুটির হিসেবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল মিলার-ক্লাসেন জুটি। তারা দুজন মাত্র ২৫ বলে যোগ করেন ৬৫ রান। এ ছাড়া ডি কক-ক্লাসেন জুটি যোগ করেন ৮৭ বলে ১৪২ রান। তার আগে ডি কক-মার্করাম যোগ করেন ১৩৭ বলে ১৩১ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস ৩৭ বলে তোলেন ৩৩ রান।

বল হাতে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৯ ওভারে দেন ৭৬ রান। কোনো উইকেট পাননি। শরীফুল ইসলামও ৯ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। তবে ইকোনোমি হিসেবে সবচেয়ে বেশি রান দেন হাসান মাহমুদ। তিনি ৬ ওভারে দেন ৬৭ রান। উইকেট নেন ডি কক ও ক্লাসেনের। এছাড়া সাকিব ৯ ওভারে ৬৯ রানে ১ উইকেট, মিরাজ ৯ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ১টি উইকেট নেন। নাসুম আহমেদ ৫ ওভারে ২৭ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন।

শেষ মুহূর্তে ক্লাসেন ঝড় থামালেন হাসান:
ক্লাসেন ঝড়ের সামনে অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ৪৮ বলে ২ চার ও ৮ ছক্কায় ৯০ রান তুলে ফেলেন। শেষ ওভারে তাকে থামান হাসান মাহমুদ। ছক্কা মারতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

ঝড় তুলে ফিরলেন ডি কক:
সেঞ্চুরির পর ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন ডি কক। সাকিব আল হাসানের এক ওভারেই নেন ২২ রান। শরিফুলের ওভারে ডি কক ক্লাসেন নেন ১৭ রান। ৮৭ বলে তারা দুজন তোলেন ১৪২ রান। অবশ্য হাসান মাহমুদ এসে ডি কক ঝড় থামান। ৪৬তম ওভারে দলীয়  ৩০৯ রানের মাথায় হাসান মাহমুদকে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাসুম আহমেদের হাতে ধরা পড়েন ডি কক। ১৪০ বল খেলে ১৫টি চার ও ৭ ছক্কায় ১৭৪ রান করে যান তিনি।

ডি কক-ক্লাসেন জুটির ফিফটি:
এইডেন মার্করামের বিদায়ের পর মাঠে নামেন হেনরিক ক্লাসেন। তিনি এসেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করেন। ডি কক ও তার চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইতোমধ্যে ৬০ রান উঠেছে। যা ৫০ বলে করেছেন তারা দুজন।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২২৭/৩ (৩৯ ওভার শেষে)।
ডি কক ১১৭* ও ক্লাসেন ২৯*।

মার্করামের বিদায়ের পর ডি ককের সেঞ্চুরি:
এইডেন মার্করামের বিদায়ের পর পঞ্চম বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন কুইন্টন ডি কক। ১০১ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ২০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯৬/৩ (৩৫ ওভার শেষে)।
ডি কক ১০১* ও ক্লাসেন ১৯*।

মার্করামকে ফেরালেন সাকিব:
দলীয় ১৬৭ রানের মাথায় সাকিবের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন এইডেন মার্করাম। ভাঙে তাদের ১৩৭ বলে ১৩১ রানের জুটি। মার্করাম ৬৯ বলে ৭ চারে ৬০ রান করে যান।

মার্করামের ফিফটিতে দেড়’শ পেরিয়ে দ. আফ্রিকা:
৩৬ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর দারুণ ব্যাটিং করছেন কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। কক ছুটছেন সেঞ্চুরির দিকে। আর মার্করাম পেরিয়েছেন ফিফটি। ৫৭ বলে ৬টি চারে ক্যারিয়ারের নবম ফিফটি করেন তিনি। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে দেড়’শ পেরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০ ওভার পর্যন্ত এই জুটির সংগ্রহ ১৩৩ বলে ১২৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা- ১৬৫/২ (৩০ ওভার শেষে)।
ডি কক ৮৮, মার্করাম ৫৯।

ডি কক-মার্করামে শতরান পেরিয়ে দ. আফ্রিকা:
৩৬ রানেই ২ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করামের ব্যাটে। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ২১ ওভারেই শতরান পেরিয়েছে প্রোটিয়ারা। ডি কক ৬২ ও মার্করাম ৩০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

ডি ককের ফিফটিতে পাল্টা জবাব দিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা:
দ্রুত দুই উইকেট হারালও এক প্রান্ত আগলে রেখে বাংলাদেশকে পাল্টা জবাব দিচ্ছেন কুইন্টন ডি কক।হাসান মাহমুদকে শরীরের ওপর থেকে ঘুরিয়ে চার মেরে ফিফটিতে পৌছে গেছেন প্রোটিয়া ওপেনার। ৪৭ বলে এই বাঁহাতি স্পর্শ করলেন পঞ্চাশ। একই সঙ্গে এইডেন মার্করামের সঙ্গে তার জুটির পঞ্চাশ হলো ৫৮ বলে। হাসান মাহমুদের ওপর চড়াও হয়ে প্রথম ২ ওভারে নিয়েছেন ২২ রান। সর্বশেষ ৪ ওভারে রানের গতি বাড়ানোর আভাস দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

পাওয়ারপ্লেতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪/২

বিশ্বকাপে আগের ম্যাচগুলোয় প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ঝড় তোলা দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চাশের ঘরও পার হতে পারেনি। তাদের সংগ্রহ ছিল ৪৪/২।

এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সফলতম প্রথম ১০ ওভার এটি। আগের ৪ ম্যাচে প্রতিপক্ষের স্কোর ছিল যথাক্রমে আফগানিস্তান (৫০/১), ইংল্যান্ড (৬১/০), নিউ জিল্যান্ড (৩৭/১) এবং ভারত (৬৩/০)।

মিরাজের ঘূর্ণিতে ফিরলেন ডুসেন, চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা
মিরাজের গুডলেংথের বল। অফ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডুসেন। তবে বল অতোটা বাউন্স খায়নি। ব্যস, সরাসরি প্যাডে আঘাত। অমনি জোরালো আবেদন। কালক্ষেপণ করেননি আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। রিভিউ নিতে সাহস করেননি ডুসেন। ৭ বলে ফন ডার ডাসেন করেন ১ রান।

হেনড্রিকসকে বোল্ড করে ফেরালেন শরিফুল
দুর্দান্ত ইনসুইঙ্গার, ডিফেন্স করতেচেয়েছিলেন হেনড্রিকস। কিন্তু লাভ হলো না। ব্যাট-প্যাড ফাকি দিয়ে বল গিয়ে আঘাত হানলো স্টাম্পে। ছত্রখান করে দিল তিনটি কাঠি।ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এনে দিলেন শরিফুল।০ রানেই জীবন পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার১৯ বলে ১২ রান করে ফিরে গেছেন।

শূন্য রানে জীবন পেলেন হেনড্রিকস
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে জীবন পেলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার রেজা হেনড্রিকস স্লিপে তার ক্যাচ ফেলেছেন তাজনিদ হাসান তামিম। হেনড্রিকস কাট করতে চেয়েছিলেন জোরের ওপর। তবে ক্যাচটি শুরুতে যেন বুঝেই উঠতে পারেননি তানজিদ। যতক্ষণে বুঝেছেন, নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। হাতে লেগে বেরিয়ে গেছে সেটি। 

হৃদয়ের জায়গায় সাকিব
অবশেষে বাদ পড়লেন তাওহীদ হৃদয়। তার জায়গায় দলে ফিরেছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সাকিব ফেরায় বাংলাদেশের বোলিং বিভাগে তিন পেসারের সঙ্গে থাকছে তিন স্পিনার।হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামের সঙ্গে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাসুম আহমেদ।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ

দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এক পরিবর্তন
আজও দলে নেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা ভুমা। চোটের কারণে খেলতে পারছেন না লুঙ্গি এনগিডি। তার বদলে খেলছেন লিজাড উইলিয়ামস। 

দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: রিজা হেন্ডরিকস, কুইন্টন ডি কক, রেসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, জেরাল্ড কোয়েৎজি, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা

টস
ম্যাচ টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক অ্যাইডেন মার্করাম। দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রণে বোলিং করবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের লক্ষ্য জয়
আসরে শুরুটা দুর্দান্ত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর খেই হারিয়ে ফেলে সাকিবের দল। তবে সেসব ঝেড়ে নতুন শুরু করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিবের চাওয়া একটা মোমেন্টাম, ‘আমাদের অনেক ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ ম্যাচের মধ্যে ৩ ম্যাচ জিতেছে। ওরা অনেক ভালো অবস্থায় আছে। এর মানে এটাই না যে সব শেষ। ৫ ম্যাচ বাকি আছে। এখানে জিততে পারলে ভালো মোমেন্টাম আসবে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে ‘শাস্তি’ পেতে চান না মার্করাম
ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে মাঠে নামার আগেই নিজেদের জয়ী ভেবে নিতে রাজি নন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান অ্যাইডেন মার্করাম। তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপে এ যে কোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। আর এটা না মেনে নিজেদের ফেভারিট ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুললেই পেতে হতে পারে শাস্তি।

মার্করাম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না আপনি কখনো বলতে পারেন যে কোনো দলের সঙ্গে খেলার এটাই সঠিক সময়। আমরা সবাই দেখেছি যে নির্দিষ্ট দিনে এই বিশ্বকাপে যে কোনো দল যে কাউকে হারাতে পারে। যদি এই বিষয়টা না মানেন, আমার মনে হয় ক্রিকেট আপনাকে এর শাস্তি দিতে পারে।’

পরিসংখ্যান স্বপ্ন দেখাচ্ছে বাংলাদেশকে
এই ম্যাচে বাংলাদেশ জয়ের আশা দেখতেই পারে। কেননা বিশ্বমঞ্চে মুখোমুখি লড়াইয়ে যে দক্ষিণ আফ্রিকার সমানে সমান বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট চারবার বিশ্বকাপে একে অন্যকে মোকাবেলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ। তাতে দুই দলই সমান ২টি করে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছিল ২০০৭ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে। বিপরীতে ২০০৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছিল প্রোটিয়ারা।

তবে সব মিলিয়ে এগিয়ে আছে প্রোটিয়ারাই।  একদিনের ক্রিকেটে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ থেকে যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দল এখন পর্যন্ত ২৪টি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ১৮ ম্যাচে, বাংলাদেশ জিতেছে ৬টি। কোনো ম্যাচ পরিত্যক্ত কিংবা বাতিল হয়নি।

বাংলাদেশের জন্য সুখস্মৃতি হিসেবে ফিরে আসতে পারে দুই দলের মুখোমুখি হওয়া সবশেষ ওয়ানডে সিরিজও। যে সিরিজে গেল বছরের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতেই তাদেরককে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল লাল-সবুজের দল। এবার বিশ্বমঞ্চেও এটা পুনরাবৃত্তির পালা। তার উপর অনুপ্রেরণা হিসেবে থাকছে নেদারল্যান্ডসও। এবার শুধু একটা মোমেন্টাম পাবার পালা।

ঢাকা/বিজয়/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়