ঢাকা     শনিবার   ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ||  আশ্বিন ২০ ১৪৩১

আজমতউল্লাহর ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পেলো আফগানিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৪৩, ১০ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৯:৪৪, ১০ নভেম্বর ২০২৩
আজমতউল্লাহর ব্যাটে লড়াই করার পুঁজি পেলো আফগানিস্তান

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের শুরুটা হয়েছিল নড়বড়ে। কিন্তু অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইর ব্যাটে ভর করে লড়াই করার মতো পুঁজি পেয়েছে আফগানরা। ৫০ ওভারে ২৪৪ রানে অলআউট হয়েছে তারা। জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ২৪৫ রান।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ৮ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করেন। রান তোলেন ৪১টি। কিন্তু এরপর ৫ রানের ব্যবধানে ৩টি উইকেট হারায় আফগানিস্তান।

নবম ওভারের প্রথম বলেই কেশভ মহারাজের শিকার হয়ে ফেরেন গুরবাজ। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান করে যান তিনি। দলীয় রান তখন ৪১।

আরো পড়ুন:

জেরাল্ড কোয়েটজের করা দশম ওভারের তৃতীয় বলে আউট হন ইব্রাহিমও। ৩ চারে ১৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৪৫ রানের মাথায় ফেরেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। ব্যক্তিগত ২ রানে তাকে ফেরান মহারাজ।

সেখান থেকে রহমত শাহ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ৯৪ পর্যন্ত। অবশ্য এই রানেই ভাঙে এই জুটি। লুঙ্গি এনগিদির বলে ডেভিড মিলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রহমত শাহ (২৬)।

এরপর ১১২ রানের মাথায় ইকরাম আলী খিল (১২) ও ১১৬ রানে মোহাম্মদ নবী (২) ফেরেন সাজঘরে। তাদের দুজনকে আউট করেন কোয়েটজে ও এনগিদি।

আজমতউল্লাহর সঙ্গে সপ্তম উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন রশিদ খান। কিন্তু ১৬০ রানের মাথায় ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। আন্দিলে ফেলুকাওয়ে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি ককের তালুবন্দি করিয়ে ফেরান রশিদকে (১৪)।

সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও আজমতউল্লাহ ছিলেন নির্ভিক। ঠাণ্ডা মাথায় তিনি ৭১ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় পূর্ণ করেন ফিফটি। নূর আহমদকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৪৪ রান। কোয়েটজের তৃতীয় শিকার হয়ে নূর আহমদ ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৪টি চারে ২৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর ২২৬ রানে কোয়েটজের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন মুজিব উর রহমান (৮)। আর শেষ ওভারের শেষ বলে দলীয় ২৪৪ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হন নাভিন-উল-হক। আজমতউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৯৭ রানে। মাত্র ৩ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১০৭ বলে খেলা তার ইনিংসে ৭টি চার ও ৩ ছক্কার মার ছিল।

বল হাতে কোয়েটজে ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৪ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ নেন ২টি করে উইকেট।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়