ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

ঝড় তুলে বাংলাদেশের হারের ষোলোকলা পূর্ণ করলেন মার্শ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১১ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৮:৫৯, ১১ নভেম্বর ২০২৩
ঝড় তুলে বাংলাদেশের হারের ষোলোকলা পূর্ণ করলেন মার্শ

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৩০৬/৮ (৫০ ওভারে)
অস্ট্রেলিয়া: ৩০৭/২ (৪৪.৪ ওভার)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: মিচেল মার্শ (১৭৭*)।

সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপ খেলতে গেলেও ফিরলো খালি হাতে। ৯ ম্যাচের ৭টিতে হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করলো হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

আজ শনিবার লিগপর্বের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে বাংলাদেশের হারের ষোলোকলা পূর্ণ করেন মিচেল মার্শ। ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের করা ৩০৬ রান তারা টপকে যায় ৩২ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে। মার্শ ১৩২ বল খেলে ১৭টি চার ও ৯ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৭৭ রানে। তার সঙ্গে ৬৪ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্টিভেন স্মিথ। তার আগে ৫৩ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ত্রাভিস হেড ১০ রান করে আউট হন। একটি উইকেট নেন তাসকিন। অপর উইকেট নেন মোস্তাফিজ।

স্মিথের ফিফটি, জয়ের পথে অস্ট্রেলিয়া:
মার্শের দেড়’শ এর পর ফিফটি তুলে নিলেন স্টিভেন স্মিথ। তিনি ৫৫ বল খেলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি পূর্ণ করেন। তার ফিফটিতে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে অস্ট্রেলিয়া।

অপ্রতিরোধ্য মার্শের দেড়’শতে আড়াই’শ পেরুলো আস্ট্রেলিয়া:
ওয়ান ডাউনে নেমে দুর্দান্ত খেলেন মিচেল মার্শ। ৩৭ বলে করেন ফিফটি। এরপর ৮৭ বলে করেন ১০০। আর ১১৭ বলে ১৬টি চার ও ৭ ছক্কায় পূর্ণ করেন দেড়’শ। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিলেন ১২১ রান। তার আগে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে সিডনিতে করেছিলেন অপরাজিত ১০২ রান। তার দেড়’শ রানের ইনিংসে ভর করে আড়াই’শ রান পেরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দাপটের সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে জয়ের দিকে।

মার্শ-স্মিথ জুটিরও সেঞ্চুরি:
ত্রাভিস হেড আউট হওয়ার পর ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ জুটি ১২০ রান তোলেন ১১৫ বলে। এরপর ওয়ার্নার ৫৩ রান করে আউট হলে মাঠে নামেন স্টিভেন স্মিথ। তিনি ও মার্শ তৃতীয় উইকেটে জুটিতে ইতোমধ্যে শতাধিক রান তুলেছেন। মাত্র ৮৮ বলে তারা ১০৮* রান তুলেছে। তার মধ্যে স্মিথের অবদান ৪৪। আর মার্শের ৬২। তাদের দুজনের ব্যাটে জয়ের বন্দরের দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

বিশ্বকাপে মার্শের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি:
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে খেলেছিলেন ১২১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে আবার হাসলো তার ব্যাট। তুলে নিলেন এবারের আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। যা তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয়। ৮৭ বল খেলে ১১টি চার ও ৪ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। তার ব্যাটে ভর করে দাপট দেখিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ার্নার-মার্শের ১২০ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ:
দলীয় ১২ রানেই ত্রাভিস হেড ফেরার পর দাঁড়িয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। তারা দুজন হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। মাত্র ১১৫ বলেই দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ১২০ রান। অবশ্য দলীয় ১৩২ রানের মাথায় বিপদজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মোস্তাফিজ। তার বলে মিড অনে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬১ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করে যান তিনি।

ওয়ার্নার-মার্শ জুটির সেঞ্চুরি:
দলীয় ১২ রানেই তাসকিন আহমেদের বলে আউট হন ত্রাভিস হেড। এরপর জুটি বাঁধেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। এই জুটি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে ইতোমধ্যে। মার্শ তুলে নিয়েছেন ঝড়ো ফিফটি। ওয়ার্নারও করেছেন ফিফটি। তাতে এই জুটি মাত্র ৯২ বলেই শতরান পূর্ণ করেছে। ৯৮ বলে এই জুটির সংগ্রহ ১১০ রান। মার্শ ৬১ রানে ও ওয়ার্নার ৫১ রানে ব্যাট করছেন।

মার্শের ফিফটিতে শতরান পেরুলো অস্ট্রেলিয়া:
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া উইকেট হারালেও পুষিয়ে দিচ্ছেন মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। মার্শ মারদাঙ্গা ব্যাটিং করে মাত্র ৩৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ফিফটিতে ১৫ ওভারেই শতরান পেরোয় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নারও আছেন ফিফটির পথে। এই জুটিও এগিয়ে যাচ্ছে শতরানের পথে।

ওয়ার্নার-মার্শে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া:
শুরুতেই ত্রাভিস হেডের উইকেট হারালেও ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শের ব্যাটে এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। মার্শ বেশ মারমুখী ব্যাটিং করছেন। অন্যদিকে ওয়ার্নার খেলছেন দেশে-শুনে। তাদের দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লে’তে ১ উইকেটে ৫৮ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

তাসকিনের বলে ফিরলেন হেড
আগের বলেই চার হজম করেছেন তাসকিন। পরের বলেও মারতে গেলেন ট্রাভিস হেড।বলটা তাসকিন করেছিলেন খানিকটা ঝুলিয়ে। সেটাকেই লেগে টেনে তুলে মারতে গেলেন হেড। কিন্তু সুইংয়ে বোল্ড! তাতেই শেষ হয় ১১ বলে ১০ রানের ইনিংস। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ। 

তাসকিনে বাংলাদেশের শুরু
অস্ট্রেলিয়ার সামনে লড়াকু লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে নতুন বলে প্রথম ওভারে আক্রমণে এসেছেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় বলে চার হজম করলেও বাকি ডেলিভারিগুলো থেকে রান নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৩০৬/৮ (৫০ ওভার)

তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিং ও টপ অর্ডারের দারুণ নৈপুণ্যে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩০৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয়। ৭৯ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে এই ইনিংস খেলেন তিনি।

এছাড়াও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাস ও তানজিদ হাসান করেন সমান ৩৬ রান করে। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩২ রান। ২০ বলে ৪ চারের মারে ২৯ রানের ক্যামিও খেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

অবশেষে থামলেন তাওহিদ
ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন তাওহিদ। তা দেখেই ফুলটস করেছেন মার্কাস স্টয়নিস। ঘুরিয়ে মারতে গিয়েছিলেন তাওহিদ। ব্যাটে-বলে হয়নি। মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই ব্যাটার। ফিল্ডার সেই লাবুশেন! । ৭৯ বলে ৭৪ রান করে থেমেছেন হৃদয়, তিন অঙ্ক থেকে বেশ দূরেই। 

মুশফিকের বিদায়ে বড় স্কোরের আশায় ধাক্কা
৪৩তম ওভারের প্রথম বলেই ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। অ্যাডাম জ্যাম্পা নিলেন তার দ্বিতীয় উইকেট। শর্ট লেংথের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ধরা খেয়েছেন মুশফিক। সহজ ক‍্যাচ নেন প‍্যাট কামিন্স। ভাঙে ৩৯ বল স্থায়ী ৩৭ রানের জুটি। তাতে বড় স্কোরের আশা আরেকবার ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। ২৪ বলে এক ছক্কায় ২১ রান করেন মুশফিক।

হৃদয়ের ফিফটি
দারুণ খেলে ফিফটি আদায় করে নিলেন তাওহিদ হৃদয়। ৬১ বলে অর্ধশতক পেলেন এ ব্যাটার। চারে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক। শান্ত ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে জুটি গড়ার পর মুশফিকের সঙ্গে জুটির পথে ফিফটির দেখা পান তিনি। দুটি করে ছক্কা ও চারে পঞ্চাশ সাজিয়েছেন তিনি।

মাহমুদউল্লাহর রান আউটে আরেকটি সম্ভাবনাময় জুটির সমাপ্তি
জশ হ্যাজলউডের বলটা কাভারের দিকে খেলেই রান নিতে ছুটেছিলেন হৃদয়। তার ডাকে সাড়া দিয়েই নিজের বিপদ ডেকে আনলেন মাহমুদউল্লাহ। লাবুশেনের দ্রুতগতির ডাইভ আর থ্রো-তে স্টাম্প ভেঙেছে সরাসরি।তাতেই থামতে হলো বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। মাহমুদউল্লাহ খেলছিলেন দারুণভাবে। ২৮ বলে ৩২ রান করে থেমেছেন তিনি।

দুইশ পেরিয়ে বাংলাদেশ
নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে দুইশ পার করেছেন তাওহিদ হৃদয়।মাহমুদউল্লাহ এখনো আক্রমণাত্মক, এখন পর্যন্ত মেরেছেন ৩টি ছক্কা। মিচেল মার্শের করা ৩২তম ওভারে এসেছে ১৭ রান। ৩৩তম ওভারে ২০০ পেরিয়েছে বাংলাদেশ। 

নিজের খামখেয়ালিতে রান আউট শান্ত
তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে জুট বেঁধে দারুণ খেলছিলেন শান্ত। এসে পড়েছিলেন ফিফটির কাছাকাছি। কিন্তু নিজের খামখেয়ালিতে রান আউট ফিরলেন এই ওপেনার।স্কয়ার লেগে বলটা ঠেলে দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ডাবলস না নিতে গিয়েছিলেন, মারনাস লাবুশেনের থ্রো ধরে বাকি কাজটি সেরেছেন জশ ইংলিস। তাতে হয়ত আক্ষেপ আরও বেড়েছে শান্তর। ৬৬ বলে ৬৩ রানে ভেঙেছে তৃতীয় উইকেট জুটি।

শান্ত-হৃদয়ের জুটিতে বাড়ছে রান
লিটন দাসের বিদায়ের পর ক্রিজে যাওয়া তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন এ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে দ্রুত এগোচ্ছে বাংলাদেশ। দুজন মিলে সমান ৫০ বলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি। বাংলাদেশ পেরিয়েছে দেড়শ রানের ঘর।

আরেকবার প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিলেন লিটন
জাম্পার লেংথ বল। স্টাম্প ববাবর। তবে খানিক ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। লোভ সামলাতে না পেরে একটু সামনে ঝুঁকে তুলে মারতে গেলেন বাংলাদেশ ওপেনার। টাইমিং ভালোই ছিল। কিন্তু জোর ছিল না। সরাসরি ক্যাচ গেছে লং অনে থাকা মারনাস লাবুশেনের হাতে।আরেকবার বেশ ভালো শুরু পেয়ে উইকেট ছুড়ে এলেন লিটন। আউট হয়েছেন ৩৬ রানে।

অস্ট্রেলিয়ার ব‍্যর্থ রিভিউ
উইকেটে এসেই সুইপ খেলার চেষ্টা করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বল লাগে প্যাডে। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন প‍্যাট কামিন্স। রিপ্লেতে দেখা যায়, প‍্যাডে লাগার আগে গ্লাভস ছুঁয়ে গিয়েছিল বল। নষ্ট হয় অস্ট্রেলিয়ার একটি রিভিউ।

শর্ট বলের শিকার হয়ে তানজিদের বিদায়
ভালো শুরু করেও ধরে রাখতে পারলেন না তানজিদ হাসান। শন অ্যাবটের শর্ট লেংথের বলে ধরা পড়লেন এই বাঁহাতি। শর্ট বল দেখে তানজিদ ভড়কে গিয়ে লাফিয়ে উঠে শেষদিকে ঘুরিয়ে খেলার চেষ্টা একেবারেই ব্যর্থ হয়েছে। নিজের বলে গিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন অ্যাবট। অস্ট্রেলিয়া পেয়েছে প্রথম ব্রেকথ্রু। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি এবার থামল ৭৬ রানে। তানজিদের ইনিংস থেমেছে ৩৪ বলে ৩৬ রান করে।

পাওয়ারপ্লে-তে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরু
পাওয়ারপ্লে-তে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। সাবধানী শুরুর পর ধীরে ধীরে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছেন তারা। বাড়ছে রানের গতি। তাদের জুটিতে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে ৫০ বলে।

আসরে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটির এটি কেবল দ্বিতীয় পঞ্চাশ। এই মাঠেই ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রান যোগ করেছিলেন দুই ওপেনার। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ারপ্লে-তে বাংলাদেশের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬২ রান।

৩৪ বলে পাঁচটি চারে ২৮ রানে ব‍্যাট করছেন লিটন। ৩২ বলে চারটি চারে ৩২ রানে ব‍্যাট করছেন তানজিদ।

সাবধানী শুরুর পর চড়াও লিটন-তানজিদের ব্যাট
সাবধানী শুরুর পর অজি বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন লিটন ও তানজিদ। শুরুর ৫ ওভারে খোলসবন্দি লিটন তানজিদ পরের তিন ওভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ৬টি। এর মধ্যে অষ্টম ওভারে শন অ্যাবটকে টানা তিন চার হাঁকিয়েছেন লিটন।পরের অভারেই কামিন্সের ওপর চড়াও হয়েছেন তানজিদ। শুরুতেই মেরেছেন চার।

৬ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ৪৮। বাউন্ডারি এসেছে মোট সাতটি। ২৫ বলে চার চারে ২০ রানে খেলছেন লিটন। ২৪ বলে তানজিদের রান ২০। অতিরিক্ত থেকে এসেছে ৭ রান।

লিটন-তানজিদের সাবধানী শুরু
অস্ট্রেলিয়ের বিপক্ষে শুরুটা দেখেশুনে করেছেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও তানজিদ হাসান তামি। দুই জনেই শুরুতে সাবধানী শুরু করলেও ধীরে ধীরে চড়াও হচ্ছেন। ৫ ওভারের পর কামিন্সের এক ওভারেই দুই চার হাঁকিয়েছেন তানজিদ।

৬ ওভারে বাংলাদেশের রান বিনা উইকেটে ২৯। বাউন্ডারি কেবল তিনটি। ১৮ বলে এক চারে ৮ রানে খেলছেন লিটন। ১৮ বলে তানজিদের রান ১৪। অতিরিক্ত থেকে এসেছে ৭ রান।

দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক সাকিব দেশে দিরে এসেছেন, তাই তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন আরেক অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসান। আগের ম্যাচে ৩ উইকেট নেওয়া তানজিম হাসান সাকিবের জায়গায় এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তৌহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্র্যাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মারনাস লাবুসচেন, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), মার্কাস স্টয়নিস, শন অ্যাবট, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজেলউড।

টস
ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার আমন্ত্রণে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বেলা ১১টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

বাংলাদেশের লক্ষ্য পাকিস্তানের টিকিট
আসরে প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে শুরু করলেও এরপর টানা ছয় ম্যাচ পরাজয়ের বৃত্তে বন্দি হয়ে থাকে বাংলাদেশ। একের পর এক হারে বিশ্বকাপে সেমির আগেই বিদায় নিশ্চিত হলেও পাকিস্তানে ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে সাকিব আল হাসানের দল। 

আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিতলেই আসরটিতে খেলার টিকিট নিশ্চিত করবে টিম টাইগার্স। হারলেও সুযোগ থাকবে, তবে হারের ব্যবধানটা হতে হবে অল্প ব্যবধানে। 

পরিসংখ্যানের খতিয়ান
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে বেশ এগিয়ে প্যাট কামিন্সের দল। ২১ ওয়ানডেতে অজিদের ১৯ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র একটিতে, ফলাফল হয়নি এক ম্যাচে। ২০০৫ সালে কার্ডিফে একমাত্র জয়ের স্মৃতি নিয়ে মাঠে নামবে লাল-সবুজের দল।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সাক্ষাৎ হয়েছে তিনবার। দুই দলের তিন দেখায় ওয়েস্ট ইন্ডিজে হওয়া ২০০৭ বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে ৭ উইকেট ও ২০১৯ সালে ৪৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল। ২০১৫ আসরের ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়।

ঢাকা/আমিনুল/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়