ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

ওরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে আমাকে ছাড়েনি: ডোনাল্ড

ইয়াসিন হাসান, মুম্বাই থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ১৩ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১৪:৫৫, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
ওরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে আমাকে ছাড়েনি: ডোনাল্ড

শেন জার্গেনসনকে ভাগ্যবান বলতেই হবে! বাংলাদেশ ক্রিকেটে তার কাটানো শেষ দিনে বিসিবি ফেয়ারওয়েল অন্তত আয়োজন করেছিল। কেক কেটে, ক্রেস্ট পেয়ে, হাজারো ছবি তুলে, মুখে চওড়া হাসি নিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন জার্গেনসন। বাকি বেশিরভাগের সঙ্গে যা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর কোর্টনি ওয়ালশকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় পর্যন্ত বলা হয়নি। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি টিম হোটেলে নিজের লাগেজ টেনে গাড়িতে তুলে বাংলাদেশের অধ্যায়ের সমাপ্তি টানেন। স্টিভ রোডস দলের সঙ্গে দেশে ফিরে জানতে পারেন তাকে আর রাখা হবে না। বেচারা স্ত্রীকে নিয়ে আবার ধরেন ফিরতি ফ্লাইট। সবশেষ অ্যালান ডোনাল্ডের সঙ্গেও ঘটে গেল এমন কিছু। 

পেস বোলিং কোচ বাংলাদেশ ক্রিকেটে কাটানো অধ্যায় শেষ করেছেন পারিবারিক কারণে। বিশ্বকাপ শেষে চুক্তি নবায়ন করবেন না তা আগেভাগে জানিয়ে দিয়েছিলেন বিসিবিকে। পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগে ড্রেসিংরুমে সতীর্থ এবং শিষ্যদের থেকে বিদায় নেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তির প্রস্থান হয়েছে এক আকাশ অভিমান নিয়ে। দেশে ফিরে রাইজিংবিডিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সেসব নিয়ে কথা বলেছেন ‘সাদা বিদ্যুৎ’ খ্যাত ডোনাল্ড…

পরিবারের কাছে ফিরে নিশ্চয়ই এখন খুশি?
অ্যালান ডোনাল্ড: ওরা আমার অপেক্ষায় ছিল। ওদের কাছে ফিরে আমি খুশি। ওরাও আমাকে পেয়ে আনন্দিত। আসলে দিনশেষে পরিবারের কাছে ফেরা আসল গন্তব্য। কাজের জন্য আমাদেরকে বাইরে থাকতে হয়। খেলোয়াড়ী জীবনে সেই কাজটা করেছি। পরে কোচিংয়ে। লম্বা সময়ই বাইরে কাটাতে হয়েছে। এখন বয়স অনেক কিছু পারমিট করে না। মনে হচ্ছে কিছুটা সময় ওদেরকে দেওয়া প্রয়োজন। তাই ইচ্ছে করেই আমি এখন ওদের সাথে।

পরিবারের জন্যই তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেন?
অ্যালান ডোনাল্ড: আপাতত হ্যাঁ। ভবিষ্যতে কোথায় যাবো। কি করবো সেসব নিয়ে চিন্তা করিনি। আপাতত পরিবারকে নিয়ে ভাবছি। ওরা আমাকে মিস করছিল। আমিও তাই। টানা ৮৪ দিন আমি কাজে যুক্ত ছিলাম। আমার ২ বছরের নাতি আছে। ওর সঙ্গ, বেড়ে ওঠা মিস করছি। সেজন্য আমাকে বেছে নিতে হয়েছে পরিবারকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যে ব্যস্ততা তাতে আমাকে কাজ করতে হলে পরিবারকে ছেড়ে থাকতে হবে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমাকে তাই পরিবারের কাছে ফিরতেই হতো। 

শুভকামনা। বাংলাদেশে দেড় বছরের মতো সময় কাটিয়েছেন। নিজের কাটানো সময় নিয়ে কি বলবেন?
অ্যালান ডোনাল্ড: আমি সেরা বোলিং অ্যাটাক নিয়ে কাজ করেছি। নিশ্চিতভাবেই ওরা ক্ষিপ্র। ওরা সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। ওরা বিশ্ব জয়ের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কাউকে নিয়ে আলাদা করে কোনো মন্তব্য নয়। স্রেফ বলবো ওরা প্রত্যেকে অসাধারণ ছিল। নিজের কাজের প্রতি ডেডিকেটেড ছিল। সাফল্য-ব্যর্থতা ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। আপনার পরিশ্রম, নিবেদন সেই ভাগ্য গড়ে দেয়। ওরা মাঠে সেই নিবেদন দেখাচ্ছিল দিনের পর দিন। সেজন্য ওদের সঙ্গে প্রবলভাবে মিশে গিয়েছিলাম। কাউকে সাফল্য-ব্যর্থতা দিয়ে মূল্যায়ন করার চেয়ে তার কাজের প্রতি ভালোবাসাটা কতোটা গাঢ় সেটা আমলে আনা উচিত। ওরা সেই সমস্ত ছেলে যারা মন থেকে উজাড় করে খেলতে ভালোবাসত। সেজন্য ওদের ব্যর্থতাও আমি উপভোগ করতাম। 

আপনার আগে ওটিস গিবসন এখানে কাজ করেছেন। তার হাত ধরে বেশ ভালো উন্নতি হয়েছিল পেসারদের। সেখান থেকে তাদের এগিয়ে নেওয়ার কাজটা তো কঠিন ছিল অবশ্যই? 
অ্যালান ডোনাল্ড: আমি আসার আগে ওদের সঙ্গে কাজ করেছেন ওটিস গিবসন। ও আসলে যে সুর ধরে দিয়েছিল, সেটার তাল লয় আমাকে ধরে আগাতে হতো। সেই কাজটাই আমি করেছি। সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা, আমার কোচিং তাদেরকে শাণিত করছিল। আমি একেবারে সতেজ পেসারদের নিয়েও কাজ করেছি। তাই বুঝতে পেরেছি ওদের উঠে আসা কিভাবে হয়েছে। এছাড়া জাতীয় দলে যারা ছিল তাদেরকে দেখে বুঝেছি কোথায় কাজ করতে হবে। হ্যাঁ, চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি মনে করি ওদের সেই চ্যালেঞ্জ উতরে দিতে পেরেছি। তাই নয় কি?

সেটা পেরেছেন। নয়তো আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ পেত না? শুনেছি আপনার বিদায়ে পেসাররা কিছুটা আবেগতাড়িত?
অ্যালান ডোনাল্ড: দেখুন, কোনো কোচ বকা দিয়ে কাজ আদায় করে। কোনো কোচ বন্ধুত্ব দিয়ে। আমি দ্বিতীয় সারির লোক। আমার কাছে বন্ধুত্ব মানেই সব। ওরা আমার বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। আমাদের পেসারদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। ওদের সঙ্গে নিত্যদিনের কাজ, সামনের পরিকল্পনা এসব নিয়ে কথা হয় প্রতিনিয়ত। সেখানে আমরা মজা করি। সিরিয়াস কথা বলি। এটাই তো বন্ধুত্ব। স্বাভাবিকভাবেই ওরা যখন এটা আমার কাছে পেয়ে এসেছে, ওরা যখন বন্ধু হারাচ্ছে কষ্ট তো পাবেই। আমি তো তাদের দূরের কেউ নই। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যখন ওদের থেকে বিদায় নিচ্ছিলাম, ওরা বলছিল, গ্রুপটা থাকুক। বিদায় নিতে হবে কেন? আড্ডা, খোঁজ খবর রাখার জন্য গ্রুপটা থাকুক। সেদিনই আমার মনটা ভরে গিয়েছিল। ওরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে আমাকে ছাড়েনি। আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, আমাদের সম্পর্কটা পেশাদারিত্বের থেকেও বেশি কিছু।

শুধু তো ২২ গজের অনুশীলন নিয়ে এই বন্ধুত্ব গাঢ় হয়নি?
অ্যালান ডোনাল্ড: অবশ্যই না। আমরা এজন্য নিজেদেরকে সময় দিয়েছি। সব কিছু স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করেছি।নিজেদের দূর্বলতা নিজেরা বের করেছি। নিজেদের সাফল্য সবাই মিলে উপভোগ করেছি। আপনি শেষ কবে দেখেছেন, বাংলাদেশের পেসাররা এক হয়ে নিজেরা আলাদা করে কফি খেয়েছে বা একসঙ্গে লাঞ্চ বা ডিনার করেছে। আমাদের মধ্যে এটা হয়েছে। আমরা সপ্তাহে একবার চা চক্রে বসেছি। লাঞ্চ করেছি। আমরা হয়তো খুবই অল্প সময়ের জন্য বসেছি। কিন্তু এগুলো আমাদেরকে কাছে টেনেছে। আমরা একসঙ্গে সফর করেছি যা ছিল অসাধারণ। এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা আমরা এখান থেকেই পেয়েছি।

এই দলটাকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবেন?
অ্যালান ডোনাল্ড: মিস করছি এখনই। ফিরে এসে প্রত্যেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। দুয়েকজনের নিগল আছে। সেগুলো নিয়ে আপাতত কাজ করতে হবে। সামনে খেলা আছে। ওদেরকে ঠিকমতো যত্ন নিতে হবে। 

একটু বলবেন ড্রেসিংরুমে কি হয়েছিল যাতে আপনি অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। সঙ্গে জানতে চাই, বিসিবির প্রস্তাব এক বছরের জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার…সেটাতে রাজি না হবার পেছনে কেবল কি পরিবারই কারণ। নাকি ড্রেসিংরুমের অস্থিরতা?
অ্যালান ডোনাল্ড: একটু বড় প্রশ্ন। উত্তরটাও বড়। কারণ আলোচনাটা গভীর। আমার প্রথম আপত্তি ড্রেসিংরুমের কথা বাইরে আসা নিয়ে। শেষ ঘটনাই বলি। আমি পুনেতে ক্রিকেটার, আমার কলিগ, সাপোর্টিং স্টাফ সবার থেকে বিদায় নিয়েছি। তাদের বলেছি, দিস ইজ মাই লাস্ট ডে এট ওয়ার্ক। ওরা খুব স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে এবং যাদের মনে হয়েছে আমি থাকলে ভালো হতো তারা কিছুটা কষ্ট পেয়েছে বলবো না, আবেগতাড়িত হয়েছে। মুহূর্তেই সেই কথাটা বিশ্ব জেনে গেল। আমি মিটিংয়ে বসার আগে চন্ডিকার সঙ্গে কথা বলেছিলাম যেন, বাইরে এগুলো না যায়। কিন্তু কি ভয়ংকর কাণ্ড। আমাদের অনুশীলন চলাকালীন বিশ্ব জেনে গেল। কে করেছে, কেন করেছে সেসব খুব ভালোভাবেই জানা। কিন্তু সেসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করা ঠিক হবে না। কেননা আই লেফট উইথ গুড মেমোরিজ ফ্রম মাই চাইল্ড (পেসাররা)। এখানে সন্তুষ্টি আছে। 

হ্যাঁ আমাকে বিসিবি প্রথমে মৌখিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল। আমার মনে হয় সর্বপ্রথম আমাকেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি সময় নিয়েছিলাম। কেননা ব্যাক অব দ্য মাইন্ডে আবার পরিবার কাজ করছিল। তবুও ভাবছিলাম আর কিছুটা দিন কাটানো যায় কিনা। কেননা মাত্র দেড় বছর হয়েছে। আরো কিছুটা সময় পেলে ওদের উন্নতিতে অবদান রাখা যাবে। তরুণ যারা আসছে তাদের সময় কাটানো যাবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারকে প্রথম প্রায়োরিটি দিতে হলো। বিশ্বকাপ চলাকালীন জালালের (ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান) সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি প্রথমে তাকেই জানাই। এরপর আবার দেখা হলে জানিয়ে দেই, শেষ ম্যাচই আমার শেষ অফিস। এইতো। তবে এর সঙ্গে অন্য কিছুর সম্পর্ক নেই।

শোনা যাচ্ছে টাইমড আউট নিয়ে আপনাকে শোকজ করা হয়েছিল?
অ্যালান ডোনাল্ড: প্রথমত এমন কিছু হয়নি। বিসিবি থেকে কোনো চিঠি আমার কাছে আসেনি। বিসিবি আমাকে বলেছে, আমার কথায় তারা খুশি নয়। এতোটুকুই। এখন আমি তো আমার মত দিয়েছি। ওইটুকু স্বাধীনতা তো আছে নিশ্চয়ই। এটা দলের বিরুদ্ধে গেলেও আমি মনে করি আমার স্টেটমেন্টে আমি ঠিক ছিলাম।

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন ছিল? সে বলেছে, ইউ উইল বি মিসড?
অ্যালান ডোনাল্ড: ভালো এবং পেশাদারিত্বের সম্পর্ক। দেখুন যাদের সঙ্গে আমরা কাজ করি। একেক জন একক চরিত্রের। কেউ নরম। কেউ গরম। কেউ আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে ভালো হলে কাজে লাগাবে। কেউ কেবল শোনার জন্যই শুনবে। দিন শেষে নিজেরটা করবে। চন্ডিকা বলেছে আমাকে মিস করবে সেটা আপনার থেকেই প্রথম শুনলাম। এরকম কিছু ড্রেসিংরুমে বলা হয়নি।

আপনি একটি ভিন্ন ক্রিকেট সংস্কৃতি থেকে এসে বাংলাদেশকে দেখেছেন। যদিও এর আগে উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে আপনার। তবুও জানতে চাই, আপনার চোখে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সংস্কৃতিটা কেমন?
অ্যালান ডোনাল্ড: একটু আলাদা। এখানে সবাই ফল খোঁজে। কিন্তু ফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়া ঠিক আছে কিনা সেটা নিয়ে কেউ ভাবে না। প্রক্রিয়া অনুসরণ না করলে আপনি কিভাবে বিশ্বসেরাদের কাতারে যাবেন? কেউ কি ভেবে দেখে সেটা। রাতারাতি কোনো সাফল্য আসে না বন্ধু।  ওটিস যেখানে রেখে গিয়েছিল সেখান থেকে ওদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য ফাইন টিউন করতে হয়েছে। আমি সেটা করেছি। সফলতা পেয়েছি। কিন্তু আরও উন্নতির দরকার ছিল। পেস বোলারদের জন্য কেবল উইকেট নেওয়া সব নয়। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে না পারলে আপনি কিসের পেসার হলেন? আপনার ভয়ে থাকবে ব্যাটসম্যানরা সেখানেই তো আপনার সার্থকতা। 

ক্রিকেটারদের কথা বলবো, ওরা আন্তরিক। শিখতে চায়। কিন্তু ওদের সময় দিতে হবে। শেখার মঞ্চ দিতে হবে। আমরা মিরপুরের উইকেট নিয়ে বারবার কথা বলি। কিন্তু ওদের প্রস্তুতির জন্য এই উইকেট আদর্শ নয়। আপনি কেবল ঘরের সাফল্য নিয়ে কখনো বিদেশে ভালো দলকে প্রতিদিন হারাতে পারবেন না। আপনাকে স্পোর্টিং উইকেটে খেলতেই হবে। তাতে কখনো জিতবেন। কখনো হারবেন। কিন্তু ওই হারের মধ্যে দিয়ে আপনি জানতে পারবেন আপনার ঘাটতি, আপনার দূর্বলতা।

বলতে দ্বিধা নেই, এদেশের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে। আমি বলবো, ক্রিকেট তাদের জীবনে প্রভাব রাখে। হারলে কষ্ট পায়। জিতলে আনন্দ করে। তাই ক্রিকেটারদের বিরাট দায়িত্ব তাদেরকে খুশি রাখা। আপনি কখনো হারবেন, কখনো জিতবেন। কিন্তু হারলেও যে আপনি লড়াই করেছেন সেটা যেন ফুটে উঠে। 

আপনার কথায় পেশাদারিত্বের ঘাটতি উঠে আসছে। এটা কি উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে?
অ্যালান ডোনাল্ড: হ্যাঁ। বোর্ড থেকে শুরু করে টিম বয় পর্যন্ত প্রত্যেকের পেশাদার হতে হবে। বোর্ডের বুঝতে হবে কোথায় সীমান্ত। কতটুকু পর্যন্ত কাজে হস্তক্ষেপ করা যাবে। কোচদের বুঝতে হবে কোনটা করণীয়। কোথায় গিয়ে থামতে হবে। ক্রিকেটারদের বুঝতে হবে তাদের কাজ কতটা মহৎ। কত মানুষের নায়ক তারা। কত তরুণের প্রেরণা তারা। 

একেবারে শেষ পর্যায়ে আমরা। যদি শেষ কিছু বলতে চান?
অ্যালান ডোনাল্ড: আমি তোমাকে ভালোবাসি। এটা ওরা আমাকে শিখিয়েছে। বাংলাটা বলতে পারিনা। তবে কিছু বুঝি।

মুম্বাই/ইয়াসিন/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়