ঢাকা     সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৮ ১৪৩১

শামি ঝড়ে বেসামাল নিউ জিল্যান্ড, ১২ বছর পর ফাইনালে ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪০, ১৫ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২৩:১৩, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
শামি ঝড়ে বেসামাল নিউ জিল্যান্ড, ১২ বছর পর ফাইনালে ভারত

এক মোহাম্মদ শামির কাছে হারলো নিউ জিল্যান্ড। দফায় দফায় এসে ঝড় তুলে উইকেট তুলে নেন তিনি। তাতে থেমে যায় নিউ জিল্যান্ডের রানের গতি। এক এক করে শামি তুলে নিয়েছেন নিউ জিল্যান্ড সাত-সাতটি উইকেট। তাতে রানের চাপে বেসামাল হয়ে কিউইরা শেষ পর্যন্ত অলআউট হয় ৪৮.৫ ওভারে ৩২০ রানে। ৭০ রানের জয়ে ২০১১ সালের একবার ফাইনালে নাম লেখায় ভারত।

৯.৫ ওভার বল করে ৫৭ রান দিয়ে ৭টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন শামি।

নিউ জিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল ৯টি চার ও ৭ ছক্কায় সর্বোচ্চ ১৩৪ রান করেন। কেন উইলিয়ামসন ৮ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৬৯ রান। আর গ্লেন ফিলিপস ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করে যান ৪১ রান। বাকিদের কেউ ১৩ রানের বেশি করতে পারেনি।

আরো পড়ুন:

 

তাল মেলাতে গিয়ে বেসামাল নিউ জিল্যান্ড:
২২০ রান পর্যন্ত ট্র্যাকেই ছিল নিউ জিল্যান্ড। কেন উইলিয়াসন ও ড্যারিল মিচেল দলকে জয়ের সম্ভাবনার পথেই রেখেছিলেন। কিন্তু এই রানে পর পর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কিউইরা। তাতে বাড়তে থাকে রানের চাপ। বাড়তে থাকে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধান। সেটার সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে বেসামাল হয়ে পড়ে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তাতে ৪৮.২ ওভারে ৩২১ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৯ উইকেট।

কেন উইলিয়ামসন ৬৯, টম ল্যাথাম ০, গ্লেন ফিলিপস ৪১, মার্ক চ্যাপম্যান ২, ড্যারিল মিচেল ১৩৪, মিচেল স্যান্টনার ৮ ও টিম সাউদি ৯ রান করে আউট হয়েছেন।

মোহাম্মদ শামি একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট।

মিচেল-ফিলিপস টানছেন নিউ জিল্যান্ডকে:
২২০ রানের মাথায় পর পর দুই উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। তারা দুজন টানছেন দলকে। যদিও সামনে কঠিন সমীকরণ। জিততে মাত্র ৪৮ বলে করতে হবে ১১০ রান। ওভার প্রতি লাগবে ১৩.৭৫ রান করে।

মিচেল ১২৮ ও ফিলিপস ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।

মিচেল-উইলিয়ামসনে ২০০ পেরুলো নিউ জিল্যান্ড:
৩৯ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। তৃতীয় উইকেটে তারা দুজন ১৪১ বলে ১৭৪ রানের জুটি গড়েছেন। তাদের দারুণ এই জুটিতে ভর করে নিউ জিল্যান্ড ২০০ রান পেরিয়ে গেছে। ৩১ ওভার শেষে কিউইদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ২১৩।

মিচেল ৯৮ ও উইলিয়ামসন ৬৪ রানে ব্যাট করছেন।

উইলিয়ামসন-মিচেলের ব্যাটে শতরান পেরুলো নিউ জিল্যান্ড:
৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩০ রানে প্রথম ও ৩৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় নিউ জিল্যান্ড। ফিরে যান ডেভন কনওয়ে (১৩) ও রাচীন রবীন্দ্র (১৩)। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা দুজন ইতোমধ্যে ৫৯ বলে ৭০ রান সংগ্রহ করেছে। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ১৭ ওভারেই ১০০ পেরিয়েছে কিউইরা।১৭ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ড: ১০৪/২

রেকর্ড ৩৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে নিউ জিল্যান্ড:
ভারতের ছুড়ে দেওয়া রেকর্ড ৩৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে নিউ জিল্যান্ড। শুরুতেই তারা ডেভন কনওয়ের উইকেট হারিয়েছে। ব্যাট করছেনন রাচীন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন।

নিউ জিল্যান্ডকে রেকর্ড ৩৯৮ রানের টার্গেট দিলো ভারত:
বিরাট কোহলি ও শ্রেয়াস আয়ারের সেঞ্চুরি এবং শুভমান গিলের ব্যাটে ভর করে নিউ জিল্যান্ডকে রেকর্ড ৩৯৮ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে ভারত। মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান করে ভারত। যা বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে সর্বোচ্চ। এর আগে নিউ জিল্যান্ড করেছিল সর্বোচ্চ ৩৯৩ রান।

ভারতের যে ছয়জন ব্যাটসম্যান আজ ব্যাট করতে নামেন তাদের পাঁচজনই ভালো রান পান।

তার মধ্যে কোহলি ১১৩ বলে ৯টি চার ও ২ ছক্কায় করেনন সর্বোচ্চ ১১৭ রান। আয়ার মাত্র ৭০ বলে ৪টি চার ও ৮ ছক্কায় করেন ১০৫ রান। শুভমান গিল ৬৬ বলে ৮টি চার ও ৩ ছক্কায় করেন অপরাজিত ৮০ রান। রোহিত শর্মা ২৯ বলে ৪টি চার ও ৪ ছক্কায় করে যান ৪৭ রান। আর লোকেশ রাহুল ২০ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৩৯ রানে। সূর্যকুমার যাদব ১ রান করে আউট হন।

বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০ ওভারে ১০০ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ৮৬ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট।

কোহলির রেকর্ড সেঞ্চুরি ও আয়ার ঝড়ে ৩০০ পেরিয়ে ভারত:
বিরাট কোহলির রেকর্ড ৫০তম সেঞ্চুরি ও শ্রেয়াস আয়ার ঝড়ে ৪২ ওভারেই ৩০০ রান পেরিয়ে গেছে ভারত। কোহলি ১০৬ বলে ৮টি চার ও ১ ছক্কায় পূর্ণ করেন এবারের আসরে চতুর্থ সেঞ্চুরি। সব মিলিয়ে যা ওয়ানডেতে ৫০তম। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেন শচীন টেন্ডুলকারকে। পাশাপাশি ভাঙেন আরও দুই রেকর্ড।

অন্যদিকে শ্রেয়াস ৩৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় তুলে নেন ফিফটি। তার ৭৭ ও শচীনের ১১৭ রানের ইনিংসে ভর করে ৪৪ ওভারেই সোয়া তিন’শ অর্থাৎ ৩২৫ রান পেরিয়ে যায় ভারত। অবশ্য কোহলি ১১৭ রানে টিম সাউদির বলে ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। যাওয়ার আগে আয়ারের সঙ্গে ১২৮ বলে ১৬৩ রানের জুটি গড়ে যান।
৪৪ ওভার শেষে ভারত ৩২৭/২

কোহলির রেকর্ড ফিফটি, ২০০ পেরিয়ে ভারত:
রোহিত শর্মা ফেরার পর দারুণ খেলছিলেন শুভমান গিল। সঙ্গে বিরাট কোহলিও। কিন্তু দলীয় ১৬৪ রানের মাথায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান গিল। ৮টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬৫ রান করেন তিনি। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন শ্রেয়াস আয়ার। অন্যদিকে কোহলি তুলে নেন বিশ্বকাপের এক আসরে রেকর্ড অষ্টম ফিফটি। পেছনে ফেলেন শচীন টেন্ডুলকার ও সাকিব আল হাসানকে। বিশ্বকাপের নকআউট স্টেজে এটা তার প্রথম ফিফটি। কোহলি ও আয়ারের  ব্যাটে ভর করে ভারত ১ উইকেটে ২০০ রান পেরিয়ে গেছে ২৮.১ ওভারেই।
২৮.২ ওভার শেষে ভারত: ২০১/১

ঝড়ো শুরুর পর গিলের ফিফটি, শতরান পেরোলো ভারত:
চলমান বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছে ভারত। তাতে পাওয়ারপ্লে’র দুই ওভার পরই দলীয় শতরান পেরিয়ে গেছে রোহিত শর্মার দল। রোহিত ঝড়ো শুরু এনে দিয়ে আউট হলেও আক্রমন অব্যাহত রেখেছেন শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ১৪ ওভারে ১ উইকেটে হারিয়ে ১১৪ রান। ১৪ বলে ১৪ রানে খেলছেন কোহলি। ওপেনার শুবমান গিল তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ব‍্যাট করছেন ৪১ বলে ৫০ রানে।

এর আগে ভারতকে ঝড়ো শুরু এনে দেন রোহিত। পেসারদের উপরে চড়াও হওয়া রোহিত শার্মার ঝড় থেকো রক্ষা পেলেন না স্পিনাররাও। তাতে ৩২ বলে দল ও উদ্বোধনী জুটির রান স্পর্শ করে পঞ্চাশ। পরের বল ছিল শর্ট, পিছিয়ে গিয়ে পুল করে গ‍্যালারিতে পাঠান ভারত অধিনায়ক।

তবে টিকতে পারেননি। খরুচে দুই ওভারের পর কিছুটা বিরতি নিয়ে আক্রমণে ফিরেই আঘাত হানলেন টিম সাউদি। তাকে ছক্কা মারার চেষ্টায় কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়লেন রোহিত। ২৯ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারে ৪৭ রান করেন রোহিত।

সাউদির স্লোয়ার বলে টাইমিং করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। বল উঠে যায় বেশ উঁচুতে, সঙ্গে দূরত্বও পায় বেশ। মিড অফ থেকে পেছন অনেকটা পেছন দিকে গিয়ে শেষ মুহূর্তে ঝাঁপিয়ে দারুণ এক ক‍্যাচ নেন উইলিয়ামসন। ভাঙে ৫০ বল স্থায়ী ৭১ রানের জুটি।

ঢাকা/বিজয়/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়