ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

সেমি-ফাইনালের পিচ পরিবর্তন: গিল জানতে চাইলেন, ‘কি নিয়ে বিতর্ক?’

ক্রীড়া প্রতিবেদক, মুম্বাই থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ১৬ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ০৮:৪৪, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
সেমি-ফাইনালের পিচ পরিবর্তন: গিল জানতে চাইলেন, ‘কি নিয়ে বিতর্ক?’

শুভমান গিল যেন আকাশ থেকে পড়লেন। 

‘সকাল থেকে পিচ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ভারত সেমি-ফাইনালের উইকেট বদলে ফেলেছে। এই ঘটনায় দলের ভেতরে কোনো আলোচনা হয়েছে? কিংবা প্রভাব পড়েছে?’ 

ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের রাতে ভারতের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শুভমান গিল। সেঞ্চুরির পথে থাকা এ ব্যাটসম্যান ক্রাম্প হওয়ায় মাঠ ছেড়ে উঠে যান ৬৬ বলে ৮০ রান করে। পরে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন। তাই দলের ভেতর-বাইরের খবর খুব ভালোভাবেই তার জানা।

সেমি-ফাইনাল ম্যাচের জন্য নতুন সতেজ উইকেট তৈরি রাখা হয়েছিল। কিন্তু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে ভারত পিচ পাল্টে ফেলে ম্যাচে আগে। দুই ম্যাচ খেলা হয়েছে এমন উইকেট বেছে নেয় তারা। আইসিসির আইন অনুযায়ী ও সকল প্রক্রিয়া মেনে কাজটি হয়েছে। তবে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় ম্যাচের আগে উইকেট পরিবর্তন করায়। 

সংবাদ সম্মেলনে দ্বিতীয় প্রশ্নই উঠল পিচ বিতর্ক নিয়ে। কিন্তু গিল এমন অবয়ব দেখালেন যে, পিচ নিয়ে আজ (গতকাল) প্রথম কথা শুনছেন সংবাদ সম্মেলন রুমে এসে। পরবর্তীতে স্বীকারও করে নেন, তিনি কিছুই জানেন না, ‘আমি তো এইমাত্র শুনতে পেলাম পিচ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। আপনিই জানালেন।’সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হাসির রোল পড়ে যায় গিলের উত্তরে। পরের মুহূর্তেই গিল নিজ থেকে জানতে চান, ‘কি নিয়ে বিতর্ক?’

এ নিয়ে প্রায় দশ মিনিটের সেই সংবাদ সম্মেলনে আর কোনো কথা হয়নি। থেমে যায় সব আলোচনা। তাতে স্পষ্ট বোঝা যায়, মাঠের বাইরে পিচ নিয়ে আলোচনা হলেও ভারতের ড্রেসিংরুমে কোনো আলোচনাই হয়নি। ক্রিকেটাররা নিজেদেরকে এসব থেকে বিরত রেখেছেন। 

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বুধবার ৭ নম্বর পিচে হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনাল। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে ম্যাচটি হয় ৬ নম্বর পিচে। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, ওয়াংখেড়ের পাঁচ ম্যাচের জন্য পিচের ধারা ছিল ৬-৮-৬-৮-৭। সেমির আগ পর্যন্ত ৬-৮-৬-৮ ব্যবহার করা হয়। শেষ ম্যাচে ৭ নম্বর পিচ ব্যবহার করা হতো। কিন্তু ম্যাচের দুদিন আগে ভারতের চাওয়ায় সিদ্ধান্ত বদলে ৬ নম্বর পিচে খেলা হয়। যেখানে আগে খেলেছিল ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত ও শ্রীলঙ্কা। দুটি ম্যাচেই রান হয়েছে সাড়ে তিনশর বেশি। সেমি-ফাইনালের সেই একই ছবি। ভারত আগে ব্যাটিং করে ৩৯৭ রান করে। জবাবে ৭০ রানে হেরে যায় নিউ জিল্যান্ড। 

আইসিসির আইন অনুযায়ী, পূর্বনির্ধারিত পিচ বাদ দিয়ে ভিন্ন পিচে খেলা চালানো নতুন কিছু নয়, অস্বাভাবিকও নয়। পিচ চূড়ান্তকরণের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট ধারা নেই। যে ভেন্যুতে খেলা হবে, তারা ম্যাচের সম্ভাব্য সেরা পিচ ও আউটফিল্ড দেখে খেলার ব্যবস্থা করে। ফলে ভারত–নিউ জিল্যান্ড সেমি-ফাইনালের ক্ষেত্রে মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমসিএ) দায়িত্বই চূড়ান্ত। সব আলোচনা থামিয়ে দিতে এতোটুকুই যথেষ্ট নয়? তাই ভারতের বিরুদ্ধে আঙুল তোলার কোনো সুযোগই নেই। 

মুম্বাই/ইয়াসিন/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়