ঘরে বসে বিশ্বকাপ দেখার চেয়ে এটা অনেক ভালো হয়েছে: হেড
ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাবেন কিনা সেটা নিয়ে দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল তার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। হেডকে নিয়েই চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে।
ইনজুরির কারণে প্রথম পাঁচ ম্যাচে সুযোগ পাননি তিনি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েই করেন সেঞ্চুরি। এরপর সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে ফাইনালে তোলেন। আর আজ ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৩৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলকে ষষ্ঠ শিরোপা উপহার দেন। হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড়ও।
পুরস্কার নিতে এসে হেড বলেন, ‘খুবই অসাধারণ একটি দিন! এটার অংশ হতে পেরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। ঘরের খাটে বসে (ইনজুরির কারণে) বিশ্বকাপ দেখার চেয়ে এটা অনেক ভালো হলো। আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু মার্নাস ল্যাবুশেন অসাধারণভাবে খেলেছে এবং সমস্ত চাপ উড়িয়ে দিয়েছে। আসলে যেভাবে মিচেল মার্শ খেলার টোন সেট করে দিয়েছিল এবং এমনটাই আমরা চেয়েছিলাম। টস জিতে প্রথমে বোলিং করাটা দুর্দান্ত একটি সিদ্ধান্ত ছিল এবং খেলা চলার সাথে সাথে উইকেট আরও ভালো হয়েছিল। এটি আমাদের বেশ খানিকটা সুবিধা দিয়েছে এবং ভূমিকা রেখেছে।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি এমন কিছু যেটার জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। ভরা স্টেডিয়ামে নার্ভ ধরে রেখে অবদান রাখতে পেরে ভালো লাগছে।’
বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে ফাইনালে ম্যাচসেরা হন হেড। তার আগে রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট পেয়েছিলেন এই পুরস্কার।
হেড বলেন, ‘ফাইনালে ম্যাচসেরা হয়ে নিশ্চিতভাবে তালিকায় তৃতীয় (রিকি পন্টিং, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ট্র্যাভিস হেড) হতে পেরে ভালো লাগছে এবং দলে অবদান রাখতে পেরে আমি খুশি।’
হেড ১২০ বল খেলে ১৫টি চার ও ১ ছক্কায় ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতের কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়ে নেন।
ঢাকা/আমিনুল