ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৫ ১৪৩১

কেউ বিশ্বকাপ রাখে মাথায়, কেউ পায়ের তলায়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২০ নভেম্বর ২০২৩  
কেউ বিশ্বকাপ রাখে মাথায়, কেউ পায়ের তলায়

কপিল দেব ও মিচেল মার্শ

ক্রিকেট ভারতীয়দের কাছে কেবল একটি খেলা নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু। অনেকটা ধর্মের মতো পূজনীয়। তাইতো কপিল, শচীন, ধোনি, কোহলিদের মতো ক্রিকেটার জন্ম হয় সেখানে। ক্রিকেটের জন্য ভারতের কোটি কোটি মানুষ অন্তপ্রাণ। ক্রিকেট তাদের হাসায়, কাঁদায়। কখনো উল্লাসের উপলক্ষ্যে এনে দেয়, কখনোবা ব্যর্থতার চাদরে মুড়িয়ে হৃদয় ভাঙে নীরবে।

একটি বিশ্বকাপের শিরোপা ভারতের জন্য বহুল প্রার্থিত, পূজনীয়। তাইতো ১৯৮৩ সালে কপিল দেব প্রথম বিশ্বকাপ জিতে সেটাতে মাথায় তুলে নিয়েছিলেন। ৩৮ বছর পর ২০১১ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনি দ্বিতীয় শিরোপা জিতে কম আদিখেত্যা দেখাননি। ধোনি থেকে জনপ্রিয় মাহি হয়ে উঠেছিলেন এক বিশ্বকাপ জিতে।

তার ১২ বছর পর রোহিত-কোহলিদের হাত ধরে আরও একটি শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল ভারত। দোর্দণ্ড প্রতাপে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে এলেও একটি ম্যাচ খারাপ খেলে হৃদয় ভাঙে সবার। আনন্দাশ্রুর পরিবর্তে চোখের জলে লাগে জোয়ার। উল্লাসের পরিবর্তে চাপা কান্নায় শেষ হয় প্রার্থনা ও প্রত্যাশা। ভারতের দেড়’শ কোটি ক্রিকেটভক্তকে কাঁদিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

আরো পড়ুন:

শিরোপা জয়ের পর মিচেল মার্শের একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় ড্রেসিং রুমে বিশ্বকাপের ট্রফিকে পায়ের নিচে রেখে ছবি তুলতে পোজ দিচ্ছেন তিনি। সেই ছবির সাথে কপিল দেবের ছবি জুড়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। সেখানে বানের জলের মতো নানারকম কমেন্টস করা হচ্ছে। কেউ বিশ্বকাপকে মাথায় তুলে রাখে, আবার কেউ সেটাকে পায়ের তলায় রাখে।

আসলে অস্ট্রেলিয়ার মতো একটি পেশাদার দলের কাছে ট্রফি কিংবা বিশ্বকাপ জয় অতোটা আবেগ ছড়ায় না। তারা জিতলেও যেমন বাস্তবতায় থাকে, হারলেও বাস্তবতায় থাকে। আবেগ কেবল কাজ করে উপ-মহাদেশের দলগুলোতে। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থক এবং কিছু কিছু ক্রিকেটারদের মধ্যেও। বিশ্বকাপ জয় নিঃসন্দেহে বিশেষ কিছু। বিশেষ অনুভূতির জন্ম দেয়। তাই বলে সেই শিরোপা মাথায় তুলে রাখার মতো আবেগ হয়তো অজি ক্রিকেটারদের মধ্যে কাজ করে না।

নতুবা আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যে অতিমানবীয় ইনিংস খেলে দলকে সেমিফাইনালের টিকিট পাইয়ে দিয়েছিলেন, সেটার পর আবেগে ভেসে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু অপরাজিত ২০১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েও তিনি ছিলেন নির্বিকার, নিরাবেগ। উপমহাদেশের কোনো ক্রিকেটার এমন এক ইনিংস খেলে দলকে সেমিফাইনালে তুললে নিঃসন্দেহে আবেগাপ্লুত হতেন। তাই নয় কি?

ঢাকা/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়