ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

শেষ বলে জিতে কাটা ঘায়ে প্রলেপ দিলো ভারত

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:১৪, ২৩ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২৩:২৬, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
শেষ বলে জিতে কাটা ঘায়ে প্রলেপ দিলো ভারত

বিশ্বকাপে ফাইনালে ভারত তাদেরই মাটিতে, তাদের দর্শকের সামনে হারিয়েছিল ভারত। এরপর আজ বৃহস্পতিবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটায় ৩ উইকেটে ২০৮ রান করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার জোগাড় করেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ইশান কিষাণের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ বলে জিতে কাটা ঘায়ে প্রলেব দিলো ভারত। অস্ট্রেলিয়ার ছুড়ে দেওয়া বিশাল টার্গেট তারা ছুয়ে ফেলে ২ উইকেট হাতে রেখে।

রান তাড়া করতে নেমে ভুল বোঝাবুঝিতে ১১ রানেই সহ-অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট হারায় ভারত। ২২ রানের মাথায় ফেরেন তার আউটের পেছনে থাকা যশস্বী জয়সাওয়াল। ৮ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ২১ রান করে যান তিনি।

সেখান থেকে ইশান কিষাণ ও সূর্যকুমার মাত্র ৬০ বলে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ১১২ রান। তাতে জয়টা নাগালে চলে আসে। দলীয় ১৩৪ রানের মাথায় ইশান ফিরেন ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৮ রান করে। ১৫৪ রানের মাথায় তিলক ভার্মার উইকেট হারায় ভারত। সূর্য তখনও ঝড় তুলে যাচ্ছিলেন। জয় থেকে ১৫ রান দূরে থাকতে আউট হন তিনি। মাত্র ৪২ বলে ৯টি চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রান করে ফেরেন তিনি। 

আরো পড়ুন:

শেষ ওভারে জিততে ৭ রান প্রয়োজন হয় ভারতের। কিন্তু ঘটতে থাকে নাটকীয়তা। একে একে অক্ষর প্যাটেল, রবি বিষ্ণোই ও অর্শ্বদীপ সিং ফেরেন সাজঘরে। তাতে শেষ বলে জিততে ১ রান প্রয়োজন হয়। আইপিএল স্টার রিংকু সিং লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কায় হাঁকান। অবশ্য তার আগেই নো বলে জয় নিশ্চিত হয় ভারতের। রিংকু ৪ চারে ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার তানভীর সাংঘা ২টি উইকেট নেন।

তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৩১ রান তোলেন স্টিভেন স্মিথ ও ম্যাথিউ শর্ট। এই রানে শর্ট ফেরেন বোল্ড হয়ে রবি বিষ্ণোইর বলে। ১১ বলে ৩ চারে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে সেখান থেকে স্মিথ ও জশ ইংলিস ১৩০ রানের জুটি গড়েন দ্বিতীয় উইকেটে। দলীয় ১৬১ রানের মাথায় ১৬তম ওভারের পঞ্চম বলে রান আউট কাটা পড়েন স্মিথ। ৪১ বলে ৮ চারে ৫২ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এ সময় ঝড় তোলেন ইংলিস। মাত্র ৪৭ বলে ৯টি চার ও ৮ ছক্কায় তিন অঙ্কের ম্যাজিক্যাল ফিগার স্পর্শ করেন তিনি। যা টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। তার আগে ২০১৩ সালে অ্যারোন ফিঞ্চ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিলেন ৪৭ বলে সেঞ্চুরি।

১৮০ রানের মাথায় ইংলিসকে ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন যশস্বী জয়সাওয়ালের হাতে। মাত্র ৫০ বলে ১১টি চার ও ৮ ছক্কায় ১১০ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

এরপর মার্কাস স্টয়েনিস ও টিম ডেভিড মিলে দলীয় সংগ্রহে আরও ২৮ রান যোগ করে মাঠ ছাড়েন। তাতে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় অজিরা। ডেভিড ১৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৯ রানে ও স্টয়েনিস ৬ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়