ঢাকা     সোমবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৬ ১৪৩১

সিলেট টেস্ট: পাঁচ বছরের দুঃস্মৃতি সুখস্মৃতিতে পরিণত করার লড়াই

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে: || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৭ নভেম্বর ২০২৩   আপডেট: ১০:২৫, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
সিলেট টেস্ট: পাঁচ বছরের দুঃস্মৃতি সুখস্মৃতিতে পরিণত করার লড়াই

২০১৮ সালের নভেম্বরে টেস্ট ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের টেস্ট দিয়ে পথ চলা শুরু হয় নয়নাভিরাম এই ক্রিকেট মাঠের। ক্রিকেটের আভিজাত্যের ফরম্যাটে বাংলাদেশের পথ চলার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। জিম্বাবুয়ের কাছে বিব্রতকর হারের কালিমা লেগে আছে দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়ামে। পাঁচ বছর পর আবার লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেতে যাচ্ছে সিলেট। 

এবার বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকা দল নিউ জিল্যান্ডকে আতিথেয়তা দিতে যাচ্ছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় চক্রের প্রথম লড়াইয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে দুই দল। নিউ জিল্যান্ড প্রথম চক্রে চ্যাম্পিয়ন হলেও দ্বিতীয় চক্রে র‌্যাংকিংয়ে ছয়ে ছিল। এবার নিশ্চিতভাবেই তারা শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে চাইবে। আর বাংলাদেশ দুইবারই র‌্যাংকিংয়ের তলানিতে। সাম্প্রতিক সময়ে যে মানের ক্রিকেট খেলছে তাতে খুব বেশি আশা করার সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। 

দেশের মাটিতে উপমহাদেশের বাইরের দল মানেই স্পিনে ফাঁদ পাতা। এবারও নিশ্চিত তেমন কিছুই করবে স্বাগতিকরা। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বরাবরই ফল খুঁজে বেড়ান। সিলেটের ২২ গজে তাই স্পিন-বিষে নীল হওয়ার একটা শঙ্কা থাকছেই প্রতিপক্ষের। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ দেখলেও ধারণা পাওয়া যাবে। তাইজুল, মিরাজ, নাঈমের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে হাসান মুরাদকে।

আরো পড়ুন:

সফরকারীরাও বড্ড সচেতন। এজাজ প্যাটেল, ঈশ সোদি, মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্রর মতো একঝাঁক স্পিনার নিয়ে সফরে এসেছে নিউ জিল্যান্ড। তারা কিছুটা সাহস পেতে পারে পাঁচ বছর আগের স্মৃতি মনে করে। সেবার স্পিন-ফাঁদই স্বাগতিকদের জন্য হয়েছিল শাপেবর। ম্যাচটি বাংলাদেশ দল হেরেছিল ১৫১ রানে। সেবার দুই দলের কোনো ইনিংসই ৩০০ ছুঁতে পারেনি। এবার বাংলাদেশ কেমন করে সেটাই দেখার। 

২০১৩ সালের পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে টেস্ট খেলবে নিউ জিল্যান্ড। ১০ বছর আগের সিরিজে ড্র হয়েছিল দুটি ম্যাচই। এবার তেমন কিছু চাইবে না অতিথিরা। দুই টেস্ট থেকে ২৪ পয়েন্ট নিশ্চিত করতে চাইবে ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’রা। তাইতো বিশ্বকাপের পর ভ্রমণ ক্লান্তি এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের টানা ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও কেন উইলিয়ামসন, ডেভন কনওয়ে, ডার্ল মিচেল, টম লাথাম, টিম সাউদি, রাচীন রবীন্দ্রদের মতো সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে কিউইরা বাংলাদেশে এসেছে। টেস্ট মর্যাদার লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ার কোনো সুযোগই তারা নিচ্ছে না। বাংলাদেশ যদি প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে পারে তাহলে নিশ্চিতভাবেই ব্যাট-বলে উত্তাপ ছড়াবে। নয়তো পাঁচ বছর আগের দুস্মৃতি আবার ফিরে আসবে। 

দর্শকরা মাঠে বসে টেস্ট ম্যাচটি উপভোগ করতে পারবেন সর্বনিম্ন একশো থেকে এক হাজার টাকায়। ম্যাচের আগের দিন থেকে শুরু করে ম্যাচের দিনও টিকিট মিলবে স্টেডিয়ামের বাইরের গেটে।

সিলেট/ইয়াসিন/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়