ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ||  কার্তিক ১৫ ১৪৩১

নিজেরা ‘ব্যর্থ’ হয়ে বোলারদের পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় জয়রা

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ২৮ নভেম্বর ২০২৩  
নিজেরা ‘ব্যর্থ’ হয়ে বোলারদের পারফরম্যান্সের অপেক্ষায় জয়রা

স্কোরবোর্ডে চোখ বুলালে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা সম্ভব। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে রান ৯ উইকেটে ৩১০। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় এ রান তেমন কিছুই নয়। শক্ত ভিতরে ওপর দাঁড়িয়ে থেকেও দিন শেষে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। প্রথম দুই সেশনে দুটি করে উইকেট হারানো বাংলাদেশ শেষ সেশনে হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। লেজের দুই ব্যাটসম্যান অপরাজিত থেকে গিয়েছেন ড্রেসিংরুমে। তাই চাইলেও আনন্দে থাকার সুযোগ নেই।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ের প্রথম দিন বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে তা বোঝা গেল দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়ের কথাতেই, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (আক্ষেপের দিন)। আমাদের কিন্তু বড় ইনিংস করার সুযোগ ছিল দুর্ভাগ্যবশত মিস করে ফেলছি।’

ব্যাটসম্যানরা নিজেদের উইকেট আত্মহত্যা করেছেন। অধিনায়ক শান্ত, অভিজ্ঞ মুশফিকসহ সোহান, শাহাদাত, মিরাজ ও নাঈম থিতু হওয়ার পর উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। যা বড় স্কোর গড়ার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আক্ষেপ করেই বলতে থাকেন, ‘সবাই মোটামুটি ভালো শুরু করছিল। কিন্তু ইনিংসটা বড় করতে পারেনি। ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারানোয় আমরা ব্যাকফুটে চলে গেছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল, ৩৫০-৩৮০ রান হলে খুব ভালো হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত হয়নি।’

আরো পড়ুন:

ওপেনিংয়ে নেমে জয় টিকে ছিলেন চা-বিরতির আগ পর্যন্ত। ১৬৬ বলে ১১ চারে সাজান ৮৬ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে ইশ শোধির বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। নিজের সেঞ্চুরি মিসে আক্ষেপ আছে জয়েরও, ‘ওপেনার হিসেবে প্রতিদিন আমার সুযোগ আসবে না বড় স্কোর করার। আজ সুযোগ এসেছিল মিস হয়ে গেছে। আক্ষেপের ব্যাপার।’ 

স্কোরবোর্ডে বড় পুঁজি না পেলেও স্বাগতিকরা স্বস্তি পাচ্ছে লড়াকু সংগ্রহ থাকায়। উইকেট কেমন তা নতুন করে বলার নেই। দুই দলই স্পিনে আক্রমণ বাড়িয়ে মাঠে নেমেছে। উইকেটে টার্ন আছে। নিচু বাউন্স। অসমান নয় অবশ্য। সামনে উইকেট ফাঁটবেও। স্পিনাররা তাই বাড়তি সুবিধা পাবে। এমন উইকেটে খাবি খাওয়া ব্যাটসম্যানরা অপেক্ষায় বোলারদের থেকে সেরা পারফরম্যান্সের।

বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে তিন স্পিনার নাঈম, মিরাজ ও তাইজুলকে নিয়ে। পেসার কেবল শরিফুল ইসলাম। তাদের থেকে সেরা পারফরম্যান্সের প্রত্যাশায় জয়, ‘আমাদের স্কোরবোর্ডে ৩০০ রান আছে। এখনও একটা ভালো পজিশনে আছি। আমরা এখন চেষ্টা করব যে, ওই রানের মধ্যে আমাদের যে কোয়ালিটি স্পিনার আছে, ভালো জায়গায় যদি বোলিং করতে পারে ওদের কম রানে অলআউট করা পসিবল।’

৫৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে গ্লেন ফিলিপস বিস্ময় ছড়িয়েছেন। তার বলে তেমন ধার না থাকলেও সফল হয়েছেন। মিরাজ, নাঈম, তাইজুল ভালো কিছু করবে বলেই বিশ্বাস জয়ের, ‘উইকেট দেখতে যতটা সহজ মনে হয়েছে, ততটা সহজ না। মাঝে মধ্যে টার্ন করে। আমাদের স্পিনাররা যদি ভালো করে তাহলে দেখা যাবে ওদের আমরা খুব কম রানে অলআউট করতে পারব। উইকেট একটু স্লো আছে। আমরা স্পিনারদের উপর বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছি। যদি খুব ভালো টাইট লেন্থে বোলিং করে তাহলে ভালো করব।’

ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরুর পরও দিন শেষের হাসিটা হাসতে পারেনি। বোলাররা প্রথম ইনিংসে লড়াই করতে না পারলে ম্যাচের ভাগ্য লিখা হয়ে যাবে অতি সহজেই। নিউ জিল্যান্ড প্রবল শক্তিশালী ও পেশাদার দল। জয়ের সামান্যতম সুযোগও তারা হাতছাড়া করবে না।

ঢাকা/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়