ম্যাচ বাঁচাতে তীব্র লড়াই করবে নিউ জিল্যান্ড
ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম
৩৩২ রানের লক্ষ্য। নিউ জিল্যান্ডের দীর্ঘ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তারা কেবল দুইবার তিন’শ-এর বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জিতেছে। ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২৪ এবং ২০০৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩১৭ রান তাড়া করে জিতেছিল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই রান যদি তারা করতে পারে তাহলে অতীতের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের পাতায় নতুন অধ্যায় যুক্ত হবে।
কিন্তু কাজটা খুবই কঠিন। প্রায় অসম্ভব। কেননা নিউ জিল্যান্ডের ৭ ব্যাটসম্যান ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে। স্কোরবোর্ডে রান ১১৩। হাতে ৩ উইকেট রেখে তারা এখনও ২১৯ রান পিছিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ বাঁচানোর চিন্তাই মাথা আসে। জয়ের চিন্তা পরে। নিউ জিল্যান্ডেরও তাই। নাটাই নিজেদের হাতে না থাকায় কিউইরা পঞ্চম দিনে ম্যাচ বাঁচাতে চাইছে।
দলের স্পিনার এজাজ পাটেল চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথাই বললেন, ‘হ্যাঁ। পরিস্থিতিটা কঠিন। আমাদের কাল ব্যাটিংয়ে লম্বা সময় কাটাতে হবে। এখনও ক্রিজে মিচেল আছে যে কিনা আজ খুব ভালো ব্যাটিং করেছে এবং আমরা জানি ইশ সোধী কতটা ভালো ব্যাটিং করতে পারে। আমি মনে করি আমরা যতটা সম্ভব লড়াই করবো যেন আমরা গর্ব করতে পারি। মনে হচ্ছে দারুণ একটি দিন যাবে। আমরা মাঠে নামবো এবং তীব্র লড়াই করবো যেটা আমাদের প্রয়োজন।’
উইকেট ভাঙছে। বল ঘুরছে। বাংলাদেশের স্পিনারদের বিষে নাকানিচুবানি খাচ্ছেন তারা। তবে উইকেট একেবারে আনপ্লেয়েবল নয় বলে মন্তব্য করেছেন এজাজ, ‘সকালে বেশ ধারাবাহিক বল হয়েছে। দিন যত গড়িয়েছে তত স্পিন বেড়েছে। আগামীকাল উইকেট কেমন আচরণ করবে সেটা দেখার। একটা বিষয় লক্ষ্যণীয়, পুরোনো বলের চেয়ে নতুন বল এখানে বেশি ছোবল দিচ্ছে। কারণ বল পুরোনো হলে নরম হয়ে যাচ্ছে। এজন্য ততটা ঘুরছে না।’
‘উইকেট খারাপ নয়। তাদের বোলাররা শৃঙ্খল বোলিং করেছে এবং ভালো জায়গায় বল করেছে। আমাদেরকে লম্বা সময় ধরে পরীক্ষা নিয়েছে। আসলে উপমহাদেশে আপনাকে সব সময়ই স্পিনের বিপক্ষে পরীক্ষা দিতে হবে। আগামীকাল আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন ভালো পরিকল্পনা থাকে তাদের বোলিং আক্রমণ খেলার।’
এজাজের কণ্ঠে ঝরল তাইজুলের প্রশংসা। যিনি এখন পর্যন্ত ম্যাচে ৮ উইকেট পেয়েছেন, ‘হ্যাঁ ও খুব ভালো বোলিং করেছে। ও লম্বা সময় ধরে খেলছে। খুব ভালো বোলার। স্কিলফুল। তাকে ক্রেডিট দিতে হবে। লম্বা সময় ধরে ভালো জায়গায় বল করতে পারে যেটা খুব প্রয়োজনীয় এই ফরম্যাটে।’
ইয়াসিন/আমিনুল