আর্জেন্টিনাকে হারানো জার্মানরা এবার পরলো চ্যাম্পিয়নের মুকুট
সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে পরাস্ত করেছিল জার্মানি। সেই তারাই এবার ফ্রান্সকে হারিয়ে জিতে নিয়েছে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের ২০২৩ সালের শিরোপা। শনিবার (২ ডিসেম্বর) ফাইনালে ইন্দোনেশিয়ার মানাহান স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময়ে ২-২ গোলে সমতার পর টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে এই আসরে প্রথমবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরে জার্মানি।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে জার্মান কিশোররা। তাতে ম্যাচের ২৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। গোল করেন পারিস ব্রুনের। ডি বক্সে জার্মানির বিলাল ইয়ালসিনকায়াকে ফেলে দেন ফ্রান্সের এক খেলোয়াড়। পেনাল্টি পায় জার্মানরা। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন ব্রুনের।
প্রথমার্ধে দুই দলই একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে। জার্মানির লক্ষ্য ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া। এদিকে ফ্রান্স খেলতে থাকে গোল শোধের আশায়। তবে এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দুই দলের কেউ আর গোল না পাওয়ায় প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় জার্মানরা।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমেও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে জার্মানি। ফলাফলও পায় হাতেনাতে। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি করেন দ্বিতীয় গোলটি করেন নোয়া ডার্ভিচ। মাঠের ডানদিক থেকে বল নিয়ে এগিয়ে সুযোগ পাচ্ছিলেন না ব্রুনের। তিনি বল বাড়ান ডার্ভিচের দিকে। বাকি কাজ অনায়াসে সারেন ডার্ভিচ।
গোল খাওয়ার তিন মিনিটে পরই ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। এক গোল শোধ করে তারা। ৫৩ মিনিটে ব্যবধান কমান সিমোঁ বুয়াব্রা। গোল পেয়ে উজ্জিবীত হয়ে ওঠা ফ্রান্স সমতাসূচক গোলটি করে ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে। বক্সে বল পেয়ে জোরালো শটে গোল করে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে যান মেথিস আমুগু।
কিন্তু প্রবল স্নায়ুচাপের পেনাল্টি শুটআউটে আর পারেনি ফরাসিরা। ছয় শটের শুটআউটে তিনটি মিস করে ফ্রান্স। বিপরীতে চারটি লক্ষ্যভেদ করে উল্লাসে মেতে ওঠে জার্মানরা। এ নিয়ে ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার টাইব্রেকারে কপাল পুড়লো তাদের। এর আগে জুনে অনূর্ধ্ব-১৭ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে এই জার্মান দলের বিপক্ষেই পেনাল্টি শুটআউটে হেরেছিল ফ্রান্স।
ঢাকা/বিজয়