৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো নিউ জিল্যান্ড
::সংক্ষিপ্ত স্কোর::
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৭২/১০ (৬৬.২ ওভার)
নিউ জিল্যান্ড: ৫৫/৫ (১২.৪ ওভার)
পিছিয়ে: ১১৭ রানে।
যেভাবে মিরাজ ও তাইজুল চেপে ধরেছিলেন নিউ জিল্যান্ডকে তাতে পুরোদিন খেলা হলে ম্যাচের দৃশ্যপট কেমন হতো সেটা বলা মুশকিল। কিউইরা ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হয় ৮.২ ওভার আগে। বাংলাদেশের চেয়ে এখনও ব্ল্যাক ক্যাপসরা পিছিয়ে আছে ১১৭ রানে। গ্লেন ফিলিপস ৫ ও ড্যারিল মিচেল ১২ রানে অপরাজিত আছেন। তারা দুজন আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবার ব্যাট করতে নামবেন।
মিরাজ-তাইজুলে দিশেহারা নিউ জিল্যান্ড:
মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে রীতিমতো দিশেহারা নিউ জিল্যান্ড। মাত্র ৪৬ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসেছে ৫ উইকেট। তার দুটি নিয়েছেন তাইজুল, তিনটি মিরাজ। দ্বাদশ ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন মিরাজ। দ্বিতীয় বলে কেন উইলিয়ামসন আউট হন সামনেই দাঁড়ানো শাহাদাত হোসেন দীপুর হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর চতুর্থ বলে টম ব্লানডেল এলবিডব্লিউ হয়ে যান। তাতে ৪৬ রানেই ৫ উইকেট নাই হয়ে যায় সফরকারীদের।
তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার নিকোলস:
এক ওভার পরে এসেই আবারও উইকেট নিলেন তাইজুল। তার করা নবম ওভারের পঞ্চম বলটি ডাউন দ্য ট্র্যাকে খেলতে এসে মিড অনে ক্যাচ দেন হেনরি নিকোলস। সেটি তালুবন্দি করেন শরীফুল ইসলাম। ১০ বল খেলে ১ রান করে যান তিনি।
মিরাজের পর কিউই শিবিরে তাইজুলের আঘাত:
পাঁচ ওভারে বিনা উইকেটে ১৯ রান করেছিল নিউ জিল্যান্ড। ষষ্ঠ ওভারে এসে কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সরাসরি বোল্ড করেন ডেভন কনওয়েকে। পরের ওভারেই আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। তিনি উইকেটের পেছনে নুরুল হাসান সোহানের তালুবন্দি করান টম ল্যাথামকে। ২০ বল খেলে ৪ রান করে যান তিনি।
এটা ছিল ঘরের মাঠে তাইজুলে ১৫০তম উইকেট।
১৭২ রানেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
সিলেটে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল বাংলাদেশ। মিরপুরে তাই জয়ের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে শুরুতেই উল্টো পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৬৬.২ ওভারে মাত্র ১৭২ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করলেও এক পর্যায়ে ৫০ রানের আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা। সেখান থেকে মুশফিকুর রহিম ও শাহাদাত হোসেন দলকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করলেও মুশফিকের এক বোকামিতে ভাঙে জুটি। এরপর শাহাদাত একপ্রান্ত আগলে রাখতে চেষ্টা করলেও টিকতে পারেননি।
বাংলাদেশের পক্ষে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন মুশফিক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শাহাদাত। নিউ জিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপস। দুই উইকেট নেনে এজাজ প্যাটেল ও ১টী উইকেট দখল করেন টিম সাউদি।
স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার মিরাজ
সোহানের বিদায়ের পর খোঁচা মেরে আউট হলেন মিরাজও।মিচেল স্যান্টনারের অফ স্টাম্পে পিচ করে বাড়তি বাউন্সের সঙ্গে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলটা আলতো খোঁচা মারলেনমিরাজ। প্রথম স্লিপে সহজ ক্যাচ নিলেন ড্যারিল মিচেল।২ চারে ৪২ বলে ২০ রান করে স্যান্টনারের তৃতীয় শিকার হলেন মিরাজ।
সোহানের খামখেয়ালি আউট
ক্রিজে আসার পর থেকেই আউট হওয়ার চেষ্টাই যেন করছিলেন সোহান।অবশ্য তার ইচ্ছা পুরণও হয়েছে। গ্লেন ফিলিপসের অফ স্টাম্পে করা ডেলিভারি ইনসাইড আউট শটে কভারের ওপর দিয়ে খেলার চেষ্টা করেন সোহান। কিন্তু হলো না। ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ উঠে যায় মিড অনে। বল মুঠোয় নিতে কোনো ভুল হয়নি মিচেল স্যান্টনারের। ৭ রান করে ফিরেছেন সোহান।
ভাঙল শাহাদাতের প্রতিরোধ
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে টিকে থাকার চেষ্টা করেন শাহাদাত হোসেন কিন্তু সেট হয়েও পারলেন না। সিলেট টেস্টের পুনরাবৃত্তিই যেন করলেন। গ্লেন ফিলিপসের লেগ স্টাম্পের পিচ করা ডেলিভারি টার্ন করে আরও অনেকটা বেরিয়ে যাচ্ছিল। বল কিপারের গ্লাভসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে অন সাইডে খেলার চেষ্টা করেন শাহাদাত। ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়া বল সহজেই ক্যাচ নেন কিপার হেনরি নিকোলস।২ চারে ১০২ বলে ৩১ রান করেন এই তরুণ।
হাত দিয়ে বল ঠেলে আউট মুশফিক
কাইল জেমিনসনের বল হাত দিয়ে ঠেলে আউট হলেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিকেটের অভিধানে এই আউটকে বলা হয়েছে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল।’ বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হলেন মুশফিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১তম এবং টেস্টে ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হলেন মুশফিক।
কাইল জেমিসনের স্টাম্পের ওপর করা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। বল তার ব্যাটে লাগার পর পপিং ক্রিজে ড্রপ করে আরও ডান দিকে সরে যাচ্ছিল। তখন ডান হাত দিয়ে বলটি আরও ঠেলে দেন মুশফিক। সঙ্গে সঙ্গেই আবেদন করেন জেমিসন। টিভি রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউটের সিদ্ধান্ত জানান থার্ড আম্পায়ার।
মুশফিকের বিদায়ে ভাঙল ১৫৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। আউটের আগে ৮৩ বলে এক ছক্কা ও তিন চারে ৩৫ রান করেন মুশফিক।
৪৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১১৪ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ খেলছেন ৬ রানে। শাহাদাত হোসেন অপরাজিত ২৫ রানে।
মুশফিক-শাহাদাতের ব্যাটে পঞ্চাশ রানের জুটি
পঞ্চাশ রানেই চার উইকেট হারানোর পর জুটি বেঁধেছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু। এই দুজনের ব্যাটে দলীয় ৫০ পার করা বাংলাদেশ এবার পেল জুটির পঞ্চাশ। মুশফিক-শাহাদাতের মিলে গড়েছেন ৫০ রানের জুটী। সেই সঙ্গে দলীয় রানের ঘর পার করেছেন ১০০।
এজাজ প্যাটেলের বলে প্রিয় স্লগ সুইপে ছক্কা মারলেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের প্রথম ছক্কা! স্ট্রাইক পাওয়ার পর ওভারের শেষ বলে ২ রান নিলেন শাহাদাত হোসেন। দেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যানের সঙ্গে তার জুটি স্পর্শ করল পঞ্চাশ। ক্যারিয়ারের দুই প্রান্তে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের জুটিতে পঞ্চাশ এসেছে ১৩৮ বলে। সেখানে শাহাদাতের অবদান ৬৮ বল ২১। অভিজ্ঞ মুশফিকের অবদান ২৯ রান।
এখন পর্যন্ত ৩৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৩ রান। মুশফিক ৩৪ ও শাহাদাত ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
শুরুর ধাক্কা সামলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশ
শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়। পরে হাল ধরতে গিয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। শুরুতেই চার উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।তাতে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮০২ রান। ১৮ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুশফিক। ১৪ রানে অপরাজিত আছেন শাহাদাত হোসেন।
প্রতিরোধ গড়ছেন মুশফিক-শাহাদাত
শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়। পরে হাল ধরতে গিয়ে দলকে আরও বিপদে ফেলে যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। শুরুতেই চার উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখাচ্ছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপু। এই দুজনের ব্যাটে চড়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ
উইকেট বিলিয়ে দিলেন শান্ত
মুমিনুলের পথ ধরে উইকেট বিলিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্তও। মিচেল স্যান্টনারের বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় এলবিডব্লিউ হলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন শান্ত। ব্যাটেও লাগার আগে বল প্যাডে আঘাত করে। জোরাল আবেদন করেন নিউ জিল্যান্ডের ফিল্ডাররা। তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার।
কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নেন টিম সাউদি। রিভিউ নিয়ে সফল হয় নিউ জিল্যান্ড। ৯ রান করে ফিরেছেন শান্ত। ছয় নম্বরে নেমেছেন শাহাদাত হোসেন।
মুমিনুলও টিকতে পারলেন না
শুরুতে দুই উইকেট হারানো বাংলাদেশের ভরসা হয়ে ক্রিজে এসেছিলেন মুমিনুল হক, কিন্তু টিকতে পারলেন না তিনিও। পানি বিরতির পর প্রথম ওভারেই ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন মুমিনুল হক। পঞ্চাশের আগে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
এজাজ প্যাটেলের অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা ডেলিভারি পেছনের পায়ে কাট করার চেষ্টা করেন মুমিনুল। কিন্তু নিখুঁত টার্নে ভেতরে ঢুকে যাওয়া বলে কাট করার মতো জায়গা পাননি তিনি। ব্যাটের নিচের কানায় লেগে বল জমা পড়ে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। আউটের আগে ৫ রান করেছেন মুমিনুল। পাঁচ নম্বরে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪১ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত অপরাজিত ৩ রানে।
জয়কে ফেরালেন এজাজ
আগের ওভারেই উইকেট বিলিয়ে দিয়েছিলেন জাকির হাসান। তখনও দলের ভরসা হয়ে ছিলেন জয়। কিন্তু টিকতে পারলেন না। জয়ের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটালেন এজাজ প্যাটেল। এজাজের করা ডেলিভারি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার চেষ্টা করেন জয়। কিন্তু ড্রিফটে পরাস্ত হন তিনি। ব্যাটের ভেতরের কানা ছুঁয়ে বল যায় শর্ট লেগে, সেখানে কোনো ভুল করেননি টম ল্যাথাম।
২ চারে ৪০ বলে ১৪ রান করেছেন জয়। ১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২৯ রান। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক।
উইকেট ছুড়ে এলেন জাকির
অহেতুক শটে উইকেট বিলিয়ে এলেন ওপেনার জাকির হাসান। মিচেল স্যান্টনারের গতি কমিয়ে কিছুটা টেনে করা ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন জাকির। বল তার ব্যাটের ওপরের কানায় লেগে উঠে যায় আকাশে। মিড অনে সহজ ক্যাচ নেন কেন উইলিয়ামসন।
২৪ বলে ৮ রান করে ফিরেছেন জাকির। তিন নম্বরে নেমেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
সূর্যের দেখা নেই, ফ্লাড লাইটের আলোতে চলছে সকালের সেশন
ভোরের আলো দেখা মিললেও দেখা মিলছিল না সূর্যের। এমন বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে মিরপুরে শুরু হয় বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। খেলা শুরুর মিনিট কয়েকের মধ্যে জ্বলে ওঠে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট।
অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় টেস্টে একাদশ পাল্টায়নি বাংলাদেশের। অফ স্পিনার নাঈম হাসান চোট পেলেও ব্যাপারটা গুরুতর কিছু না হওয়ায় তাকে একাদশে রাখা হয়েছে।আবহাওয়া মেঘলা হওয়ায় টসটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। তাতে জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশ একাদশ: মাহমুদুল হাসান, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, শাহাদাত হোসেন, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম।
টস
সিরিজ জয়ের ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ফিল্ডিং করবেনিউ জিল্যান্ড। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে ম্যাচটি।
প্রথম সিরিজ জয়ে চোখ রেখে মাঠে নামছে বাংলাদেশ
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে ঘরের মাঠে টেস্টে কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। তবে সিলেটে সেই স্বাদ পায় শান্ত-তাইজুলরা। এবার মিরপুরে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। এই টেস্টে বাংলাদেশ জয় পেলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জয়ের নজির স্থাপন করবে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
ঘুরে দাঁড়াতে চায় নিউ জিল্যান্ডও
তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে কিউইরা। সেটা যে কেবল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট রক্ষা করার জন্য তা নয়। তারা চাইবে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজ না হারার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে।
ইশ সোধী অবশ্য ঢাকা টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী, ‘আমাদের এই দলটির একটি বিশেষ দিক হলো ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা। সেটা সাফল্যের ক্ষেত্রে হোক কিংবা ব্যর্থতার। যদিও প্রথম ম্যাচ হারার পর ঘুরে দাঁড়ানোটা কঠিন কিছুটা। তবে আমি মনে করি আমরা কিছুটা ছন্দ পেয়েছি। বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে অবশ্যই ভালো খেলেছে। তবে তারা আমাদেরকে ভালো করার রাস্তাও দেখিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে এই কন্ডিশনে। আশা করি এই ম্যাচে আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করে ভালো কিছু করতে পারবো।’
ঢাকা/বিজয়/আমিনুল