তাওহীদের সেঞ্চুরি, তানভীরের ৫ উইকেট
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। এছাড়া বল হাতে ৫ উইকেট পেয়েছেন জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা তানভীর ইসলাম। পৃথক দুই মাঠে এই দুই ক্রিকেটার মাইলফলক ছুঁয়েছেন।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ তাওহীদ নর্থ জোনের হয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। নাঈম ইসলামের ১২২ রানের ইনিংসে ভর করে সেন্ট্রাল জোন ২৮১ রান করে। জবাবে তাওহীদের সেঞ্চুরিতে বুধবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ পর্যন্ত নর্থ জোনের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৬ রান। তাওহীদ ১৩২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। ২৫২ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ১৩৮ বল খেলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় সাজিয়েছেন ইনিংসটি।
এছাড়া ৪৬ রান করেন রিশাদ হোসেন। বাকিরা কেউ ভালো করতে পারেননি। ওপেনার তানজিদ শূন্য, সাব্বির হোসেন ১৯ রান করেন। আকবর আলীর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৬ রান। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার, শহিদুল ইসলাম ও শুভাগত হোম। আগের দিনের ১০৩ রানের সঙ্গে আজ আরও ১৯ রান যোগ করে থামেন নাঈম ইসলাম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রেকর্ড ৩৩ সেঞ্চুরি এখন তার দখলে। পেসার নাহিদ রানার বলে তাওহীদের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১৯৫ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান রেকর্ড সেঞ্চুরির ইনিংসটি। বল হাতে নর্থ জোনের মুশফিক হাসান ৩৭ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
এদিকে চট্টগ্রামে বিসিবি সাউথ জোনের হয়ে ৫ উইকেট পেয়েছেন তানভীর। প্রথম ইনিংসে ইস্ট জোন ৪০২ রানে অলআউট হয়। ৪২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১১৪ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ ফাইফার। আগের দিনের ২৪২ রানের সঙ্গে ১৬০ রান যোগ করে ইস্ট জোন। ফিফটির স্বাদ পেয়েছেন শামসুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব।
শামসুর ৫৩ ও তানজিম ৬৬ রান করেন। শেষ দিকে রেজাউর রহমান রাজার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। জবাব দিতে নেমে সাউথ জোন শুরুটা ভালো করলেও ১৪ রানের ব্যবধানে দুই ওপেনারকে হারায় তারা। প্রথমে এনামুল হক বিজয় ১৯ রানে আউট হন। তার দেখানো পথ অনুসরণ করেন ৩৮ রান করা সৌম্য। দুজনকেই থামান নাঈম আহমেদ। সেখান থেকে ফজলে মাহমুদ (৩২) ও মোহাম্মদ মিথুন (৩১) জুটি গড়ে দলকে নিরাপদ অবস্থানে নিয়ে যান। ২ উইকেটে ১২৩ রান তুলে দিনের খেলা শেষ করেন তারা। এখনও তারা ২৭৯ রানে পিছিয়ে।
ইয়াসিন/আমিনুল