নাঈমের রেকর্ড ছোঁয়া ম্যাচে অমিতের শেষ হাসি
দেরিতে হলেও সেঞ্চুরির রেকর্ডের পুরস্কার পেলেন নাঈম ইসলাম। বিসিএলের প্রথম দিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ৩৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন নাঈম। যা বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ। শুক্রবার ম্যাচ শেষে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট। যেখানে লিখা থাকে, ‘৩৩তম প্রথম শ্রেণির সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ।’
নাঈমের রেকর্ড ছোঁয়া সেঞ্চুরির ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। সিলেটে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে বিসিবি সেন্ট্রাল জোন ও নর্থ জোন। চট্টগ্রামেও বিসিবি ইস্ট জোন ও বিসিবি সাউথ জোনের ম্যাচটিও ড্র হয়েছে। তবে শেষ দিন সব আলো কেড়ে নিয়েছেন অমিত হাসান। ডানহাতি ব্যাটসম্যান তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
চট্টগ্রামে ১ রানে দিন শুরু করে ইনিংস ঘোষণার আগ পর্যন্ত ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন অমিত। ১০ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে ইস্ট জোন দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ২৪৯ রান করে। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। এই ইনিংস দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৯ হাজার রান পেরিয়ে যান শামসুর। এছাড়া জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান।
চতুর্থ ইনিংসে সাউথ জোন ৩৭০ রানের লক্ষ্য পায়। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি। ২ রানে সৌম্য সরকার ড্রেসিংরুমে ফেরেন। আফিফ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। এনামুল হক ফিফটির পর থেমে যান ৫৫ রানে। শেষ বিকেলে ১৬ ওভার ব্যাটিং করে ৮০ রান তুলে সাউথ জোন। নাসুম পেয়েছেন ২ উইকেট এরপর দুই দল ড্র মেনে নেওয়ায় ম্যাচ আর আগায়নি। ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাসুম।
সিলেটে ১৩২ রানে দিন শুরু করে বিসিবি নর্থ জোনের ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয় থেমেছেন ১৬৫ রানে। ১৬৬ বলে ১৩ চার ও ৮ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। তার দেড়’শ ছাড়ানো ইনিংসের পরও প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারেনি নর্থ জোন। সেন্ট্রাল জোনের ২৮১ রানের জবাবে নর্থ জোন করে ২৭৭ রান। ৪ রানে এগিয়ে থেকে সেন্ট্রাল জোন দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিনা উইকেটে ৫৪ রান করলে ম্যাচের ফল ড্র মেনে নেয় দুই দল।
নাঈম শেখ ২০ ও রনি তালুকদার ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। তাওহীদ হৃদয় পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। নাঈমকে দেওয়া হয় বিশেষ স্বীকৃতি।
ইয়াসিন/আমিনুল