নিউ জিল্যান্ডের কাছে অসম্ভব নয় কিছুই
কতো রান হলে নিরাপদ? কতো রান টার্গেট পেলে নিউ জ্যিলান্ড তাড়া করতে পারবে?
ঢাকা টেস্টে যেভাবে এগোচ্ছে এই প্রশ্নই উঠছে চারিদিকে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮ রানের লিড পাওয়া নিউ জিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়িয়েছে দারুণভাবে। বাংলাদেশকে ১৭২ রানে অলআউট করলেও তাদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো ছিল না। ৫ উইকেট হারায় ৪৬ রান তুলতে। সেখান থেকে ১৮০ রানে শেষ হয় তাদের প্রথম ইনিংস। গ্লেন ফিলিপসের ৮৭ রানে ভর করে লিড পায় অতিথিরা।
পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের অবস্থানও ভালো অবস্থায় নেই। দিন শেষ করেছে স্কোরবোর্ডে ৩৮ রান তুলে। কিন্তু উইকেট হারিয়েছে ২টি। ৩০ রানের লিড কতদূর যাবে সেটাই বিরাট প্রশ্ন। বাংলাদেশ অন্তত দুই’শ রান করতে চায়। নিউ জিল্যান্ড বাংলাদেশকে আটকাতে যায় দুই’শ-এর নিচে। এক ইনিংস ব্যাটিং করে দুই দল একটি জিনিস বুঝেছে, এই উইকেটে এই রানই যথেষ্ট।
কতো রান টার্গেট পেলে তাড়া করা সম্ভব এমন প্রশ্নের উত্তরে ফিলিপস বলেছেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি প্রথম ইনিংসে। বাংলাদেশের ফিল্ডাররাও ভালো কয়েকটি ক্যাচ নিয়েছে। যা আমাদের শুরুতে ব্যাকফুটে পাঠিয়েছে। এখন পযর্ন্ত যেরকম উইকেট আছে, লম্বা সময় উইকেট কাভার করা ছিল…যদি ১৮০-২০০ রানের টার্গেটও হয় সেটা তাড়া করা কঠিন হবে। অসম্ভব নয় অবশ্যই। কঠিন কাজ করতে হবে। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনায় স্থির থাকি এবং ভালো পারফর্ম করি তাহলে তাদের দুই’শ-এর নিচে আটকে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।’
১১৭ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ফিলিপস এখন পযর্ন্ত ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য কতটা কঠিন তা তার চেয়ে আর কে ভালো বলতে পারবেন! মন খুলে বললেনও ফিলিপস, ‘আমার মতে উইকেট প্রথম দিন যেমন আচরণ করেছে আজ তেমনিই ছিল। কিছুটা স্পিন, কিছুটা স্কিড। যেখানে টিকে থাকা কঠিন ছিল। ব্যাটসম্যানদের ঝুঁকি নিয়েই ব্যাটিং করতে হয়েছে। আপনি উইকেটে গিয়ে অনেক বল খেলতে পারবেন। কিছুটায় স্কোরও পাবেন। কিন্তু কোন বলগুলো খেলতে পারবেন সেগুলো বাছাই করে নিতে হবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং।’
০-১ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে নিউ জিল্যান্ড। ম্যাচটা জিততে পারলে টেস্ট সিরিজে সমতা আনবে তারা। বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সিরিজটি জয় পেতে মুখিয়ে। কার মুখে হাসি ফুটে সেটাই দেখার।
ইয়াসিন/আমিনুল