ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

শহীদ জুয়েল একাদশের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩   আপডেট: ২০:১১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
শহীদ জুয়েল একাদশের জয়

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ক্রিকেটার শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও সংগঠক মুশতাক আহমেদ। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তাদের স্মরণে বিজয় দিবসে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছিল মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। সাবেক ক্রিকেটারদের মিলনমেলায় গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় দুই মুক্তিযোদ্ধাকে।

বেলা ১১টায় সেলিম শাহেদ, মিনহাজুল আবেদীন, মোহাম্মদ রফিক, হাবিবুল বাশার সুমন, শফিউদ্দিন আহমেদ, জাভেদ ওমর বেলিম, আকরাম খানরা মাঠে নামেন। মাঠে নামার আগে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়। এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। এরপর শুরু হয় ব্যাট-বলের লড়াই।

১৫ ওভারের খেলায় টস জিতে আগে ব্যাটিং করে শহীদ মুশতাক আহমেদ একাদশ ৭ উইকেটে ১২৯ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন তুষার ইমরান। ২৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তুষার। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান মেহরাব হোসেন অপি ২৩, হাবিবুল বাশার, এহসানুল হক সেজান এবং নিয়ামুর রশিদ রাহুল ১৪ রানের তিনটি ইনিংস খেলেন।

বল হাতে শহীদ জুয়েল একাদশের সেরা ছিলেন জাভেদ ওরম। ২১ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন রফিক, সাজেদুল ইসলাম ও ফয়সাল হোসেন।

লক্ষ্য তাড়ায় ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে শহীদ জুয়েল একাদশ। ১ ওভার আগেই তারা ম্যাচ জিতে নেয়। ব্যাট হাতে ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। ডলারের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। ম্যাচসেরার পুরস্কার পাওয়া ডিকেন্স ৪৩ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৬৬ রান। ডলারের ১৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংসে ছিল ১ চার ও ৩ ছক্কা। মিনহাজুল আবেদীন ৭, মোহাম্মদ রফিক করেন ১৮ রান।

বল হাতে আব্দুর রাজ্জাক ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ শেষে পুরস্কার তুলে নেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান, বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও শহীদ ক্রিকেটার আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের বোন সুরাইয়া খানম।

শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী, যিনি জুয়েল নামে পরিচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে শাহাদাৎ বরণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানি সেনারা তাকে ধরে নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর তাকে হত্যা করে। অসীম সাহসিকতার জন্য তাকে বীরবিক্রম খেতাবে ভূষিত করা হয়।

শহীদ মুশতাক ছিলেন শহীদ জুয়েলের বন্ধু। তিনিও অসাধারণ প্রতিভাধর ক্রিকেটার ও সংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে নিহত বন্ধুর হত্যার প্রতিশোধ নিতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীনতার মাত্র একদিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে তিনিও শাহাদাৎ বরণ করেন। ক্রীড়াজগতের অন্যতম সেরা দুই কৃতি সন্তানের স্মরণে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের দুটি স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে তাদের নামে।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়