ঢাকা     রোববার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ১৪ ১৪৩১

তবুও তৃপ্ত নন খালেদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১০, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩  
তবুও তৃপ্ত নন খালেদ

২ ম্যাচে ১৮ উইকেট। বোলিং গড় ১০.৮৩। ইকোনমি ৩.৫৩। ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭। ম্যাচসেরা তো বটেই, পকেটে ঢুকেছে টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার, সেরা বোলারের খেতাব এবং প্রথমবারের মতো বিসিএলের শিরোপা।

ইস্ট জোনের পেসার খালেদ এর চেয়ে বেশি আর কি চাইতে পারেন? তবুও ডানহাতি পেসার তৃপ্ত নন। কারণটা তার মুখ থেকেই শুনুন, ‘উইকেট বেশ স্পোর্টিং ছিল। আরও উইকেট পাওয়া যেত। এমন উইকেটে খেলে আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায়।’

ব্যক্তিগত নৈপূণ্যে খালেদ অনন্য। তৃতীয় রাউন্ডে তার ৭ উইকেটের বিধ্বংসী বোলিংয়ে নর্থ জোন ১৩২ রানে গুটিয়ে যায়। ইনিংস ব্যবধানে জেতে ইস্ট জোন। প্রথমবার বিসিএল শিরোপা পাওয়ায় খুশি এ পেসার, ‘আমি খুশি যে দলের সাফল্যে অবদান রাখতে পেরেছি। আমার পারফরম্যান্স দলের কাজে এসেছে। এটা আমাদের প্রথম শিরোপা ছিল (বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেট)। এজন্য বাড়তি আনন্দ কাজ করছে।’

আরো পড়ুন:

অতীতে দেখা যেত, পেসারদের কাজই ছিল কেবল বল পুরোনো করে দেওয়া। উইকেট এমন বানাত যেখানে তাদের কিছুই করার থাকত না। কেবল স্পিনাররাই হাত ঘোরাবেন। পুরোনো রীতি পাল্টেছে অনেক আগে। এখন পেসাররা সমানতালে পারফর্ম করছেন। ম্যাচ জয়ে ভূমিকা রাখছেন। হচ্ছেন নায়ক।

উইকেটের চরিত্র পাল্টানোয় পেসারদের পারফরম্যান্স সামনে এসেছে বলে বিশ্বাস করেন খালেদ, ‘আমরা টুর্নামেন্ট জুড়ে স্পোর্টিং উইকেটে খেলেছি। ব্যাটসম্যান ও বোলারদের সমান ভারসাম্য থাকে। ওরাও রান করতে সংগ্রাম করছে। আমরাও উইকেট পেতে কষ্ট করছি। এজন্য বোলিং করে আনন্দ পেয়েছি।’

জাতীয় দলের সঙ্গে থাকায় প্রথম রাউন্ড খেলতে পারেননি। জাতীয় দলে এখন নিয়মিত মুখ। দলে তিন পেসার খেলালে নিশ্চিতভাবেই খালেদ একাদশে ঢুকে যান। বাইরে তাকে ঘিরেই তৈরি হয় পরিকল্পনা। বোলিংয়ে নিজের উন্নতির কথা জানিয়ে খালেদ যোগ করেন, ‘আমার এখন একটাই কাজ সঠিক লাইন এবং লেন্থে ধারাবাহিক বোলিং করা। তাতে ব্যাটসম্যানদের ভোগাতে সুবিধা হয়। ধারাবাহিক এক জায়গায় বোলিং করলে ব্যাটসম্যানরা ঝুঁকি নেবে। তাদের সেই পরীক্ষায় ফেলে সুবিধা আদায় করে নেই। আমার আউটসুইং আগের থেকে ভালো হয়েছে। ইনসুইং আমার সহজাত ছিল। এখন দুদিকেই বল করতে পারছি যা আমার বোলিংয়ে সাহায্য করছে।’

আগামী বছর বাংলাদেশ ১৪ টেস্ট খেলবে। সারা বছর খেলার জন্য যে ফিটনেস দরকার তা বিরতির সময়ে কাজ করে নিচ্ছেন খালেদ। সামনে বিসিএল ওয়ানডের পর বিপিএল খেলবেন। সব মিলিয়ে ব্যস্ততা যাবে। তারপরও নিজের যত্ন নিয়ে কোনো আপোষ করবেন না বলেই জানালেন এ পেসার। দেশে ও বাইরে মিলিয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে সর্বোচ্চটা দিয়ে করতে চান।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়