নিউ জ্যিলান্ড থেকেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি
২০২৪ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। ২০ দলের এই আসর হতে যাচ্ছে আইসিসির সবচেয়ে বড় মহাযজ্ঞ। যেখানে র্যাংকিংয়ে এগিয়ে থাকার বিবেচনায় বাংলাদেশও খেলার সুযোগ পাচ্ছে।
সূচি এখনো ঠিক হয়নি। তবে বাংলাদেশকে বরাবরের মতো এবারও প্রথম পর্বে খেলতে হবে। বাছাইকৃত দলগুলোকে নিয়ে হবে প্রথম পর্ব। সেখান থেকে সুপার টেন। গতবার সেরা আট দলে থাকতে পারলে বাংলাদেশও সরাসরি প্রথম পর্বে খেলার সুযোগ পেত। সাকিবরা সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বরারই বাংলাদেশের জন্য বিরাট দীর্ঘশ্বাস। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা না থাকায় ক্রিকেটের ছোট্ট সংস্করণের বড় আসরে কখনো ভালো অবস্থায় যেতে পারেনি বাংলাদেশ। র্যাংকিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলগুলোর বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় ছাড়া বড় কোনো সাফল্য আসেনি বিশ্বকাপের মঞ্চে। এবার হবে তো? প্রশ্নটা সময়ের কাছেই তোলা থাক।
আপাতত প্রস্তুতি নিয়েই কথা বলা যাক। বিশ্বকাপের বাকি নেই ছয় মাস। দল এখন নিউ জিল্যান্ড সফরে। বাংলাদেশের বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে এই নিউ জিল্যান্ড সফর দিয়েই। বিশ্বকাপের আগে এফটিপি অনুযায়ী ১১ টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনটি, মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি এবং এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচটি। এর মধ্যে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি ছাড়া বাকি দুটি ঘরের মাঠে।
বিশ্বকাপের আগে এই ১১ ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বের এবং দল গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন, ‘বলতে গেলে বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। নিউ জিল্যান্ডে তিনটি টি-টোয়েন্টির পর আমাদের দল লম্বা সময় পর আবার টি-টোয়েন্টি খেলবে। ওখানের কন্ডিশনে ওদেরকে হারাতে পারলে আমরা এই ফরম্যাটেও ভালো বুস্টআপ পাবো। প্রস্তুতির ভালো সুযোগ এটি।’
হাবিবুল মনে করিয়ে দিলেন সামনে বিপিএলও আছে, ‘বিপিএল প্রতি মৌসুমে একজন দুজন করে খেলোয়াড় সামনে আসে। গতবার যেমন তাওহীদ হৃদয় বিপিএলে সবার নজর কেড়ে সামনে আসলো। এখন দুই ফরম্যাটে খেলছে। বিপিএল আমাদের জন্য বিরাট একটা প্ল্যাটফর্ম। এখানে ভালো করতে পারলে অবশ্যই সুযোগ আসবে। রনি তালুকদারও কিন্তু বিপিএলে রান করে জাতীয় দলে ফিরেছে। সে এখন নিউ জিল্যান্ডে আছে। বিপিএলে ভালো করলে অবশ্যই সুযোগ মিলবে।’
ইয়াসিন/আমিনুল