ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২১ ১৪৩১

শের-ই-বাংলায় পুরোনো রূপে ‘নতুন’ সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৪৩, ৮ জানুয়ারি ২০২৪  
শের-ই-বাংলায় পুরোনো রূপে ‘নতুন’ সাকিব

কালো রঙের প্রাইভেটকার থেকে নেমে কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম ঢুকে গেলেন মিরপুর শের-ই-বাংলার ইনডোরে। তখন ইনডোরে অনুশীলন শেষে বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাসকিন আহমেদ।

হঠাৎ করে ফাহিম কেন আসলেন, এমন জল্পনার মধ্যে, আরেকটি গাড়িতে করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসকসহ আসেন আরও দুই কর্মকর্তা। এর মাঝে আসেন, বিসিবির ফিজিও-ট্রেনার।

কোচ-ফিজিও-ট্রেনারদের হঠাৎ ফাঁকা ইনডোরের আগমনের হেতু কি? এমন প্রশ্ন করতেই, বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মাত্র ৩ মিনিট অপেক্ষা করেন।’

৩ মিনিটও অপেক্ষা করতে হয়নি। কালো রঙের মাইক্রোবাস এসে দাঁড়ালো ইনডোরের গেটে। নিরাপত্তারক্ষীদের হুড়োহুড়ি লেগে যায়। ততক্ষণে বোঝা গেলো কেন বিসিবির ফিজিও হতে শুরু করে ট্রেনার-কোচের এতো ব্যস্ততা।

গাড়ি থেকে নেমে একটি ব্যাট ঘোরাতে-ঘোরাতে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ঢুকে যান ইনডোরে। অথচ গতকাল মধ্যরাতেও সাকিব ব্যস্ত ছিলেন ভোটের লড়াইয়ে। মাগুরা-২ আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া সাকিবকে মিরপুরে এই সময়ে পাওয়া যাবে কেউ-ই হয়তো কল্পনা করেননি।

সাকিব বলে কথা। সংসদ সদস্য পদে লড়ার ঘোষণার পর থেকে একটি প্রশ্ন বেশি শুনেছেন সাকিব, ক্রিকেট আর রাজনীতি কিভাবে করবেন এক সঙ্গে? সাকিব জানিয়েছেন, ম্যানেজ করেই চলবেন। এবার বুঝিয়ে দিলেন হাতে-কলমে। নির্বাচিত হওয়ার পরদিনই ভোটের মাঠ থেকে চলে এলেন ক্রিকেট মাঠে।

বিশ্বকাপের পর থেকে সাকিব ব্যস্ত ছিলেন নির্বাচনী কাজে। বিশ্বকাপ পাওয়া চোটের কারণে আঙুলে ব্যান্ডেজ নিয়ে চষে বেড়িয়েছেন ভোটের মাঠ। মাগুরায় নির্বাচনী কাজের ফাঁকে ফিটনেস নিয়ে কাজ করলেও এবার শুরু হলো ব্যাট-বলের লড়াই।

ইনডোরে শুরুতে ব্যাট হাতে নিজেকে ঝালিয়ে নেন ২০ মিনিটের মতো। হার্ড বলে বোলিং মেশিন দিয়ে ব্যাটিং করেন তিনি। এ সময় তাকে পর্যবেক্ষণ করেন ফিজিও-ট্রেনারসহ কোচ ফাহিমও।

ব্যাটিং শেষ হলে সাকিবকে বরণ করে নেন মিরপুরের মাঠকর্মীরা। এ সময় তাকে ফুলের মালা আর ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করেন তারা। মাঠ কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকলে এক পর্যায়ে সাকিব বলেন, ‘এটা কিন্তু রাজনীতির মাঠ না। ক্রিকেট মাঠ। আমরা আগের জায়গায়ই আছি।’

মাঠকর্মীদের ফুলের মালা গ্রহণ শেষে সাকিব শের-ই-বাংলায় রানিং করেন লম্বা সময় ধরে। এ সময় ফিজিও-ট্রেনাররা তাকে পর্যবেক্ষণ করেন। দৌড়াতে-দৌড়াতে একটা পর্যায়ে সাকিবকে ক্লান্ত হতে দেখা যায়। হাঁটছিলেন যেন রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে। প্রায় দুই ঘণ্টার অনুশীলন শেষে সাকিব চলে যান মাঠ ছেড়ে।

গুরু ফাহিম সাকিবকে কেমন দেখেছেন? রাইজিংবিডিকে মুঠোফোনে বলেন, ‘অনেক দিন পর ব্যাটিং করেছে, কোনো সমস্যা আছে কি না দেখার জন্য আমি গিয়েছিলাম। ভালোই ছিল, জড়তা ছিল না।’

‘আঙুলের যে সমস্য ছিল সেটাও বুঝতে চেয়েছিল। কোনো ব্যথা ছিল না। যতক্ষণ ব্যাটিং করেছে কোনো সমস্যা ছিল না। এটাতো ম্যাচের ব্যাটিং না, যতটুক প্রয়োজন করেছে, কোনো সমস্যা ছিল না’ -আরও যোগ করেন ফাহিম।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়