টানা তৃতীয়বার বিপিএলে দেশি আম্পায়ারদের ম্যাচ ফি বাড়ছে
ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দায়িত্ব পালন করা দেশি আম্পায়ারদের মধ্যে ম্যাচ ফি নিয়ে অসন্তোষ এই আসরেও বিরাজমান। বিদেশিদের সঙ্গে ম্যাচ ফি’র পার্থক্যের কারণে মূলত এই অসন্তোষ।
বিপিএলের নবম আসরে দেশি আম্পায়াররা ম্যাচ প্রতি পেয়েছেন ২৫ হাজার টাকা। আর বিদেশি আম্পায়াররা পেয়েছেন ৫০০ ডলার। আম্পায়ারদের দাবির মুখে গত দুই আসরে ১১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা হয়। বিদেশিদের সঙ্গে ব্যবধান অর্ধেক থাকায় আম্পায়ারদের মধ্যে এখনও অসন্তোষ রয়েছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আম্পায়ার্স কমিটি বিপিএল কর্তৃপক্ষকে টানা তৃতীয়বারের মতো ম্যাচ ফি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আম্পায়ার্স কমিটি থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রাথমিক প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত বাড়তে পারে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
দেশি আম্পায়ারদের ম্যাচ ফি বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিপিএল কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি। আম্পায়ার্স কমিটির একটি সূত্র রাইজিংবিডিকে জানায়, ‘আমরা প্রস্তাব করছি ১০ হাজার টাকা করে বাড়ানোর জন্য। আমরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
২০২১ সালে বিপিএলে দেশি আম্পায়ারগণ ম্যাচ ফি পেয়েছে ১৪ হাজার টাকা করে। নির্বাচনের পর নতুন কমিটি এলে ২০২২ সালে ১৪ হাজার থেকে ম্যাচ ফি ২০ হাজার করা হয়। একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০২৩ সালে বাড়ানো হয় ৫ হাজার টাকা।
১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের দশম আসর। আম্পায়াররা ইতিমধ্যে ম্যাচ ফি বাড়ানো নিয়ে কথা বলছেন, অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নিয়মিত বিপিএলে দায়িত্ব পালন করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন জন আম্পায়ার রাইজিংবিডিকে ম্যাচ ফি নিয়ে বৈষম্যের কথা জানান।
রাইজিংবিডিকে অভিজ্ঞ এক আম্পায়ার বলেন, ‘আমরা ম্যাচ প্রতি গত বছর পেয়েছি ২৫ হাজার টাকা। বিদেশি যারা আসছে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও পাচ্ছে ৫০০ ডলার। যা ৫০ হাজার থেকে বেশি। এত বেশি পার্থক্য মানা যায় না। আমাদের অভিজ্ঞতা তাদের থেকে কম না।’
দেশি-বিদেশিদের বৈষম্য নিয়ে আম্পায়ার্স কমিটির কাছে জানতে চাইলে রাইজিংবিডিকে বলা হয়, এই কমিটি আসার পর দুটি বিপিএল হয়েছে। দুই বিপিএলে সব মিলিয়ে আমরা ১১ হাজার টাকা বাড়িয়েছি। এবারও বাড়ানোর পথে হাঁটছি আমরা।’
‘এই কমিটি যখন দায়িত্ব নেয় আম্পায়ারদের ম্যাচ ফি ছিল ১৪ হাজার টাকা। তখন যদি আম্পায়াররা কথা বলতেন এই বৈষম্য থাকতো না। আমরা চেষ্টা করছি যতটুক বাড়ানো যায়। সব আমাদের হাতেও না, এটা বুঝতে হবে।’
রিয়াদ/আমিনুল