ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  আশ্বিন ১১ ১৪৩১

‘প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি দিন চ্যালেঞ্জিং’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৬, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৮, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
‘প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি দিন চ্যালেঞ্জিং’

বিপিএলে অন্যান্য দলগুলো যখন নিজেদের গুছিয়ে নিতে সময় নিচ্ছে সেখানে রংপুর রাইডার্স নিয়মিত অনুশীলন করে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে। নিজের মাঠে লম্বা সময় নিয়ে চলছে তাদের অনুশীলন। অসীম সময় থাকায় কখনো ব্যক্তিগত কাজ করছেন ক্রিকেটাররা। কখনো দলগত অনুশীলনে নিজেদের রাখছেন ব্যস্ত। আজ ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় চলেছে তাদের অনুশীলন। ব্যাট-বলে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন রংপুরের স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মাহেদী হাসান। 

জাতীয় দলে টি-টোয়েন্টিতে অটো চয়েজ আপনি। প্রত্যাশাও তাই বেশি আপনার থেকে?
মাহেদী হাসান: প্রথমত আপনি যে কথাটা বলছেন, আমি অটো চয়েজের খেলোয়াড় না। আমার অনেক কিছু স্ট্রাগল করে খেলতে হয়। দেখা যাচ্ছে ১০ ম্যাচ, ১৫ ম্যাচ পর একটা সুযোগ আসে। ওই সুযোগটার জন্যই আমি মুখিয়ে থাকি। সুযোগ আসলে সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকি, চেষ্টা করি। বাদবাকি যা হওয়ার সবই আল্লাহর ইচ্ছা। 

পাওয়ার প্লে বোলিং অনুশীলন করছেন নিয়মিত। তাতেই কি সফলতা মেলে?
মাহেদী হাসান: না, এরকম কিছু না। দেখুন, একজন বোলার হিসেবে নিজেকে যখন তৈরি করেছি তখন অভ্যাস আছে পাওয়ার প্লেতে বোলিং করার। এটা আমার কাছে ম্যাটার করেন না।

আরো পড়ুন:

শেষ ম্যাচের ম্যান অব ম্যাচ বিপিএলে অনুপ্রাণিত করবে কিনা?
মাহেদী হাসান: অনুপ্রাণিত তো প্রত্যেকটা ম্যাচেই আমার মনে হয়। ক্রিকেটে আপনি আজ ভালো খেলবেন মানে পরের দিনও যে ভালো খেলবেন সেটার তো নিশ্চয়তা নেই। প্রত্যেকটা ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং এবং প্রত্যেকটা দিনই চ্যালেঞ্জিং। তো ওইভাবেই নিজের চিন্তা করি, প্রত্যেক খেলোয়াড়ই ওইভাবে চিন্তা করে। গত ম্যাচে আপনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ বা সিরিজ হয়েছেন, এই হিসেব করে কোনো খেলোয়াড়ই খেলে না। যেদিন যার যা থাকে সেদিন নিয়ে সেটা নিয়েই সে ব্যস্ত থাকে।

এবারের বিপিএলে আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য?
মাহেদী হাসান: লক্ষ্য তো ভেতরেই থাকে, লক্ষ্য ভেতরে থাকাটাই ভালো। ইনশাআল্লাহ দেখা যাক কি হয়। 

রংপুর রাইডার্স আলাদা অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে। নিজেদের মাঠ। নিজেদের সব কিছু...
মাহেদী হাসান: আমার জানা মতে রংপুরের মতো সুযোগ-সুবিধা কোনো দলের নেই। আমরা গতবারও এখানে অনুশীলন করেছিলাম। এরকম পরিবেশে অনুশীলন করতে পারলে ভালো লাগে, অনেক সময় পাওয়া যায়। দেখা যায় মিরপুরে ২ ঘণ্টা সময় থাকে, সব দল একসঙ্গে অনুশীলনের জন্য থাকে। সেখানে নির্দিষ্ট কোনো স্কিল নিয়ে কাজ করা যায় না। এরকম গ্রাউন্ড থাকলে দেখা যাচ্ছে যার যেটা সমস্যা সেটা অল্প সময়ের মাঝেই সমাধানের চেষ্টা করতে পারে। আমরা ভাগ্যবান যে রংপুরে এরকম সুযোগ-সুবিধা আছে।

ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়