ঢাকা     শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ১ ১৪৩১

দল ভারসাম্যপূর্ণ, সিলেটের হয়ে বিপিএল রোমাঞ্চে কাটিং

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ১৭ জানুয়ারি ২০২৪  
দল ভারসাম্যপূর্ণ, সিলেটের হয়ে বিপিএল রোমাঞ্চে কাটিং

এবারের বিপিএলে কাটিংই একমাত্র অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ, ব্র্যাড হজ, শন টেইটরা বিপিএল খেলে গেছেন। তবে কখনোই বিপিএলে নিয়মিত ছিল না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। ব্যস্ত সূচি ও অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ বিপিএলের প্রায় একই সঙ্গে মাঠে গড়ানোয় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা বাংলাদেশে আসতে পারেন না।

তবে উপমহাদেশের এই প্রান্তে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট বিপিএল উপভোগ করতেন বলেই বিশ্বাস করেন কাটিং। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে বিপিএল খেলতে এসেছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তার মুখ থেকেই শুনুন বাকিটা, ‘অস্ট্রেলিয়ানরা বিপিএলে কেন কম খেলে, এটার কারণ তো একেবারে সাধারণ। একই সময়ে বিগ ব্যাশ চলে অস্ট্রেলিয়াতে। আমার মতো অন্য লিগ খেলতে পারে খুব কম অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারই। ২-১ জন ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটারই শুধু খেলতে পারে। আমার সঙ্গে ক্রিস লিন আছেন সম্ভবত। তবে ছেলেরা বিপিএল খেলতে এলে অনেক উপভোগ করত। বিগ ব্যাশের সাথে সূচি সাংঘর্ষিক না হলে অস্ট্রেলিয়ার অনেকেই খেলতে পারত।’

পেস বোলিংয়ে কার্যকরী ভূমিকা ও ব্যাটিংয়ে বিগ শট খেলতে পারদর্শী কাটিং। ২০৯ ম্যাচে ১৪৬ স্ট্রাইক রেট তা-ই বলছে। কাটিংও বিশ্বাস করেন দর্শকরা যে চার ছক্কা দেখতে পছন্দ করেন সেই ধারাবাহিকতা তিনি রাখতে পারবেন টুর্নামেন্ড জুড়ে, ‘আমি আশা করি আপনি কিছু ছক্কা আশা করতে পারেন। আমি ব্যাটে-বলে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছি। আশা করি, ভালো কিছু ম্যাচ খেলতে পারব।’ 

আরো পড়ুন:

সিলেট দলকে ভারসাম্যপূর্ণ মনে হচ্ছে এই অস্ট্রেলিয়ানের কাছে, ‘আমি মনে করি দলটি ভারসাম্যপূর্ণ। কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে আজই প্রথম দেখা হলো। কারো কারো বিপক্ষে আমি আগে খেলেছি। দারুণ যে এখন তাদের নিজের দলে পাচ্ছি। আমি মনে করি আমাদের শক্তিশালী এবং ভারসাম্যপূর্ণ লাইনআপ আছে। ভালোমানের বিদেশির সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে দলটি করা হয়েছে। এ ধরণের টুর্নামেন্টে এটাই প্রয়োজন।’

গতবার সিলেট কাগজে কলমে পিছিয়ে থাকলেও মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছিল। এবারও দলটা পিছিয়ে আছে। বড় নাম একদমই নেই। নিজেদের দল নিয়ে কাটিং আত্মবিশ্বাসী থাকলেও এখনই ফাইনাল নিয়ে চিন্তা করতে রাজি নন, ‘ফাইনালে পৌঁছানো কঠিন। অবশ্যই আপনি ফাইনালে যেতে চান এবং ফাইনাল জিততে চান। সব দল তা করতে পারে না। টুর্নামেন্টে সাতটি দল রয়েছে এবং মাত্র দুটি চূড়ান্ত পর্যায়ে যেতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ না আমরা ভালো ক্রিকেট খেলি, আমাদের প্রক্রিয়ায় আঁকড়ে থাকি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছেলেরা যদি তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে তাহলে কিছু একটা হবে। আমি মনে করি এটা মৌসুমের শেষের দিকের আলোচনা। অনেক পথ এখনও পাড়ি দিতে হবে।’

বিপিএলের উইকেট নিয়ে প্রায়ই অভিযোগ উঠে। কাটিং উইকেট নিয়ে বড় কোনো ধারণা নিয়ে আসেননি, ‘লড়াইটা ব্যাট-বলের। উইকেট ব্যাটিং বান্ধব হলে বোলিং কেমন সেটা প্রভাব ফেলবে না। উইকেট কেমন হবে এসব নিয়ে সত্যি বলতে এখনও কিছু শুনিনি। টিভিতে বিপিএল দেখেছি, দেখলাম অনেক রান হয়। আবার সময়ের সাথে সাথে উইকেটে অনেক স্পিন ধরে। শেষদিকে উইকেট এমন হবেই, যে কোনো লিগে।’

বিপিএলের লিগ পর্বের সিলেটের ১২ ম্যাচের মধ্যে ৫টিই হবে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। প্লে–অফে জায়গা করে নিতে হলে সেই ৫টি ম্যাচকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন কাটিং, ‘কোনো ম্যাচ খেলার আগে ফলাফলের ব্যাপারে কথা বলাটা কঠিন। পুরো দল নিয়ে আজকে আমাদের প্রথম অনুশীলন। এটি আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর ব্যাপার। প্রথম ম্যাচে নামার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। এই উইকেটের ব্যাপারে অনেক কথা শুনেছি। এই উইকেটে খেলা কঠিন। এখানে দুটি ম্যাচ খেলে আমরা সিলেটে যাব। আমাদের ঘরের মাঠের দর্শকদের সামনে খেলব। সেখানে আপনি পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিই জিততে চাইবেন, যা আমাদের টুর্নামেন্টের বাকি পথটা মসৃণ করে দেবে।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়