রিয়ালকে বিদায় করে কোপা দেল রে’র কোয়ার্টারে অ্যাটলেটিকো
খুব বেশিদিন আগের কথা না। এক সপ্তাহ আগেই মাদ্রিদ ডার্বিতে বয়ে গেছিলো উত্তেজনার জোয়ার। তাতে যোগ করা সময়ে রিয়াল মাদ্রিদের ভাগ্য ফিরলেও কোপা দেল রে’তে আর পারলো না তারা। রিয়ালকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রে’র কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) অ্যাটলেটিকোর ঘরের মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোয় ম্যাচের শুরু থেকেই লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ম্যাচে গোলের প্রথম সুযোগ পায় রিয়াল। তবে কাজে লাগাতে পারেননি জুড বেলিংহ্যাম। লুকা মদ্রিচের ক্রস পেয়ে বক্সে প্রতিপক্ষের দুই জনের বাধা এড়িয়ে তার নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
রিয়ালের আক্রমণের মাঝে অ্যাটলেটিকো প্রথম সুযোগটি পায় ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে। আর তাতেই এগিয়ে যায় তারা। রুদ্রিগো ডি পলের ক্রসে অ্যান্তোনিও গ্রিজমানের মাথা ছুঁয়ে আসা বল হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের দিকে ঠেলে দেন অ্যান্টোনিও রুডিগার। সুযোগ পেয়ে মিস করেননি স্যামুয়েল লিনো।
এক গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে অ্যাটলেটিকো। মদ্রিচের ফ্রি-কিক এগিয়ে এসে কয়েক জনের মাথার ওপরে হাত বাড়িয়ে পাঞ্চ করতে যান ওবলাক, বল তার হাতের ওপরের দিকে লেগে নিজেদের জালেই জড়ায়, আত্মঘাতী গোল!
দ্বিতীয়ার্ধে নেমে একই গতিতে খেলতে থাকে দুই দল। তাতে আবারও এগিয়ে যায় অ্যাটলেটিকো। এবার নিজেদের ভুলে গোল হজম করে রিয়াল। ৫৮তম মিনিটে প্রতিপক্ষের একজনের শট এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পায়ে লেগে বাক বদল করে। রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন এগিয়ে এসেও ছুঁতে পারেননি। বাকি কাজটা করেন জায়গায় থাকা আলভারো মোরাতা।
এরপর একের পর এক আক্রমণ করে যেতে থাকে দুই দল। তবে ব্যবধান বাড়েনি। নির্ধারিত সময় যখন শেষের দিকে, ঠিক তখনি রিয়ালের বাজিমাত। ৮২ মিনিটের মাথায় ভিনিসিউসের পাস পেয়ে দূরের পোস্টে ক্রস বাড়ান বেলিংহ্যাম, দারুণ এক হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অরক্ষিত হোসেলু।
নির্ধারিত সময় ২-২ তে সমতা থাকায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তাতেই বাজিমাত করে দেয় রিয়ালের প্রতিবেশীরা। প্রথমে জাদু দেখান গ্রিজম্যান। ভিনিসিউসকে এক ডোজে ছিটকে ফেলে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে জালে বল পাঠান সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
এরপর ১১৯তম মিনিটে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা রদ্রিগো রিকেলমে। মেমফিস ডিপাইয়ের পাস থেকে বলে পেয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে গোলটি করেন ২৩ বছর বয়সী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার। আর তাতেই স্পেনের শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ঊঠে যায় অ্যাটলেটিকো।
ঢাকা/বিজয়