প্রথম ম্যাচে পরাজয় ‘লাকি’ হিসেবে দেখছেন লিটন
ব্যাট হাতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারেনি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচটা এক পর্যায়ে রূপ নেয় টান-টান উত্তেজনায়। শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ঢাকার কাছে শেষ ওভারে হারলেও খুশি বাংলাদের প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার (১৯ জুলাই) ম্যাচ শেষে প্রথম ম্যাচে হারকে ‘লাকি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস। যদিও লিটনের ভাবনাটা এসেছে কোচ সালাউদ্দিনের কাছ থেকে, ‘আমি স্যারের (সালাউদ্দিন) সঙ্গে সেদিনও কথা বলছিলাম, স্যার বলছিল আমরা প্রথম ম্যাচ এমনেই হেরে যাই। আর হারলেই নাকি স্যারের জন্য লাকি।’
বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৪৩ রান করে কুমিল্লা। তাড়া করতে নেমে ১২.৩ ওভারে শতরান করলেও এক পর্যায়ে উইকেট হারাতে থাকে ঢাকা। মোস্তাফিজুর রহমানদের আগুনে বোলিংয়ে ম্যাচ যায় শেষ ওভারে। শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোসাদ্দেক হোসেনের ঢাকা।
গত আসরে কুমিল্লা প্রথম তিন ম্যাচ হেরে গিয়েও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায়নি। পরের ১১ ম্যাচ টানা জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ করে বিপিএল। সেই হিসেবে লিটনরা লাকি হিসেবে এই হারকে নিয়েছেন।
লাকি হিসেবে দেখলেও প্রথম ম্যাচে হার অধিনায়ক হিসেবে খারাপ লাগছে লিটনের, ‘দেখেন, প্রত্যেকটা হারই তো কষ্টের। প্রথমবার অধিনায়কত্ব করছি, আমি তো চাইবো প্রথম ম্যাচ জিততে। এদিকে দিয়ে তো অবশ্যই খারাপ লাগবে যে, হেরে গেছি প্রথম অধিনায়কত্বের ম্যাচে।’
অবশ্য এই হারে বোলারদের লড়াইকে পজিটিভ হিসেবে দেখছেন লিটন। প্রথম ৭৫ বলে ১০০ রান করলেও পরের ৪৪ রান করতে ঢাকা খেলে ৪২ বল, হারায় ৫ উইকেট। এ সময় তানভীর ইসলাম নেন ৩ উইকেট আর মোস্তাফিজ নেন ২ উইকেট।
লিটন বলেন, ‘একটা জিনিস আমাদের ভালো হইছে যে, একটা মোটামুটি স্কোর করেও... আমাদের বোলাররা আমাদের দেখিয়েছে যে আমরাও পারি। আমরা পুরো দলটা দেখতে পারলাম, কোন জায়গায় কমতি আছে, কোন জায়গায় শক্তিশালী। এখন আমরা বসে আলোচনা করে জিনিসটা তৈরি করতে পারবো। দ্বিতীয় ম্যাচ থেকে আশা করি ভালো কিছু হবে।’
রিয়াদ/আমিনুল