ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ২০ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:৫৩, ২০ জানুয়ারি ২০২৪
শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের

আবারো দক্ষিণ আফ্রিকায় বসেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। চার বছর আগে যেখানে বাংলাদেশ জিতেছিল স্বপ্নের শিরোপা। পুরোনো ডেরায় বিশ্বকাপ ফেরায় আবারো শিরোপার আশায় বুক বাঁধা বাংলাদেশের। কিন্তু শুরুটা একদমই ভালো হলো না সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। ভারতের কাছে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ হেরেছে ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে। 

টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে নিজেদের কাজ করে রেখেছিল ভালোভাবেই। বোলারদের দারুণ নৈপুণ্যে ভারত বড় পুঁজি পায়নি। পুরো ৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে ভারতীয়রা।

কিন্তু জবাব দিতে নেমে ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন। শুরুতে উইকেট হারিয়ে পথ ভোলা বাংলাদেশ লড়াই করলেও শেষ দিকে হতাশা বেড়ে যায়। সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানের বেশি করতে পারেনি। ফলে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হার মানতে হয় ৮৪ রানে। 

ব্লুমফন্টেইনে ৩১ রানে ভারতের প্রথম ২ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। বাঁহাতি পেসার মারুফের বলে উইকেট কিপার আশিকুরের হাতে ক্যাচ দেন আরশিন কুলকার্নি ও মুশির খান। তৃতীয় উইকেট ভারত প্রতিরোধ পায়। আদর্শ সিং ও অধিনায়ক উদয় শরণ ১১৬ রানের জুটি গড়েন। এ জুটিতেই ভারত মূলত লড়াইয়ে ফেরে। পরবর্তীতে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে লড়াকু পুঁজি পায় তারা। 

৩২তম ওভারে মিডিয়াম পেসার চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭৬ রান করা আদর্শকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন। সঙ্গী হারানোর পর উদয় বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৬৪ রানে ভারতের অধিনায়ক আউট হন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমানের বলে। পরের গল্পটা কেবল মারুফের। ভারতের শেষ তিন উইকেট নিয়ে বাঁহাতি পেসার ফাইফারের স্বাদ পান। মারুফ বাদে বাকি ২টি উইকেট ভাগাভাগি করেন রিজওয়ান ও মাহফুজুর।

জবাব দিতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান তুলতে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। আশিকুর রহমান শিবলি ১৪ করে পান্ডের বলে বোল্ড হন। আরেক ওপেনার জিশান আলমের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। তিনে নামা চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান খুলতে পারেননি রানের খাতা। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান আহরার আমিন ৫ রানে থেমে যান। 

পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশ প্রতিরোধ পায় আরিফুল ইসলাম ও শিহাব জেমসের ব্যাটে। দুজন ৭৭ রানের জুটি গড়েন। উইকেট আটকে রেখে তারা এগিয়ে গেলেও জয়ের জন্য যে গতিতে রান তোলার দরকার ছিল তা আসেনি। ফলে আসকিং রান রেট চাপ বাড়াতে থাকে। সেই চাপ আর নিতে পারেনি কেউ। 

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন জেমস। ৪১ রান আসে আরিফুলের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানের একজন কেবল দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারে। ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহরিয়ার পারভেজ জীবন। বল হাতে ভারতের হয়ে পান্ডে ২৪ রানে ৪ উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন মুশের খান। 

গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচে ২২ জানুয়ারি, সোমবার। আয়ারল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে একই মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। 
 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়