চট্টগ্রামের রান পাহাড়ে আটকে বরিশালের হ্যাটট্রিক হার
ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম
বল হাতে এলোমেলো বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতে ফরচুন বরিশালের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। বিস্ফোরক ইনিংস খেলে পাকিস্তানি ব্যাটার আহমেদ শেহজাদ ফিরে গেলে রানের গতি কমে যায়। শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ আর দুনিথ ভেলালাগে ক্যামিও ইনিংস খেলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রান পাহাড় টপকাতে পারেননি, হারের ব্যবধানটাই শুধু কমেছে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার (২৬ জানুয়রি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯৩ রান করে চট্টগ্রাম। তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৮৩ রান করে বরিশাল। ১০ রানে হেরে হারের হ্যাটট্রিক করলো তামিম ইকবালের দল। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চার ম্যাচের মধ্যে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে।
বরিশালকে শুরুতে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন শেহাজাদ। পাওয়ার প্লে-তে আসে ৬০ রান! মাত্র ১৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। তার আউটের পর তামিমের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। দুই প্রান্তেই রানের গতি কমে যায়। দুজনের জুটিতে আসে ২৯ বলে মাত্র ৩৬ রান। তামিম ২৯ বলে ৩৩ রান করে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। তামিম ফিরতেই সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। এই বাঁহাতি ১৬ বলে ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি।
তামিম-সৌম্যর ধীরগতিতে খেলার চাপ সামলে উঠতে পারেনি বরিশাল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ-ইয়ানি কারিয়াহ দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারেননি। এরপর বরিশাল এগোতে থাকে মিরাজ-মুশফিকের ব্যাটে। এক প্রান্তে মিরাজ বিস্ফোরক ইনিংস খেললেও আরেক প্রান্ত মুশফিক যেন খেলেছেন টেস্ট মেজাজে। মিরাজ ১৬ বলে ৩৫ ও মুশফিক ২২ বলে ২৩ রান করেন। তাইজুল ইসলাম ৪ বলে ১০ ও আব্বাস আফ্রিদি ৯ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে আভিষ্কা ফার্নান্দোর।ফিফটি ও শেষ দিকে কার্টিস ক্যাম্ফারের ঝড়ে রান পাহাড়ে চড়ে বসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও উজ্জ্বল ছিলেন ক্যাম্পার। ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। তাইজুল ইসলামের করা প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই বিদায় নেন তানজিদ। ফেরার আগে অবশ্য পাঁচ বলে ১২ রান করেন তিনি। তাইজুলের পরের ওভারে বিদায় নেন ইমরানউজ্জামান। ৮ বলে ৪ রান করে বোল্ড হোন এই ব্যাটার।
এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আভিষ্কা ফার্নান্দো এবং শাহাদাত হোসেন দিপু। দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। এদের জুটি ভাঙেন ইয়ানিক ক্যারিয়াহ। দিপুকে বোল্ড করেন বিদায় করেন তিনি। ২৯ বলে ৩১ রান করেন দিপু। একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪০তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন আভিষ্কা।
হাফ সেঞ্চুরির পর আরও আগ্রাসী হয়ে যান এই শ্রীলঙ্কান। স্বদেশী দুনিথ ওয়েলালাগের একই ওভারে টানা তিন বলে একটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে দলের রান বাড়াতে থাকেন তিনি। জাদরানকে ফিরিয়ে দুজনের ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
শেষে এসে ঝড় তোলেন ক্যাম্ফার। চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুটিয়ে ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কার মারে করেন ২৯ রান। আভিষ্কা অপরাজিত থাকেন ৫০ বলে ৫ চার ও ৭ ছক্কায় ৯১ রানে।
সিলেট/রিয়াদ/বিজয়