ঢাকা     বুধবার   ০৩ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৯ ১৪৩১

রান নেই ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:৩৬, ২৭ জানুয়ারি ২০২৪
রান নেই ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে

বেন কাটিংয়ের বল প্রথম বলেই তেড়েফুড়ে মারতে গেলেন লিটন দাস। টপ এজে পয়েন্ট দিয়ে বল গড়িয়ে যায় বাউন্ডারিতে। দ্বিতীয় বলে দৃষ্টিনন্দন কাট শটে চার। এক বল বিরতির পর লিটন এলবিডব্লিউ। ১৩, ১৪-র পর লিটন এবার থেমে গেলেন ৮ রানে। বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটনের প্রথম তিন ম্যাচের স্কোর এগুলো।

এবার নাজমুল হোসেন শান্তর কথায় আসা যাক। শেষ বিপিএলের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের ওপর এবার ভরসা ছিল আকাশচুম্বি। কিন্তু সিলেট স্ট্রাইকার্সের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিজে ডুবে আছেন ব্যর্থতায়। ডুবছে তার দলও। গতবারের ফাইনালিস্ট সিলেট এখনও ম্যাচ জিততে পারেনি। শান্তর তিন ম্যাচে রান কেবল ৫৫।

জাতীয় দলের বাকি ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্সের অবস্থাও যাচ্ছেতাই। ৫, ৬, ১৫ ও সবশেষ ম্যাচে ১১ রান করেছেন রংপুরের রনি তালুকদার। সৌম্য সরকার এক ম্যাচে ৪২ রান করলেও বাকি তিন ম্যাচে করেছেন ১, ১৭ ও ১৭। রানে নেই তাওহীদ হৃদয়। ৪৭ রানে বিপিএল শুরুর পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটসম্যানের পরের দুই ম্যাচে রান যথাক্রমে শূন্য ও ৯। জাতীয় দলে সবশেষ দুই টি-টোয়েন্টি খেলা শামীম হোসেন ৩৪ ও ৩০ রানের দুটি ইনিংস খেললেও ইমপ্যাক্ট রাখতে পারেননি। বাকি দুই ম্যাচে তার রান ২ ও ১৭। শেষ দিকে নেমে মাহেদী হাসান ২৯, ০ ও ১২ রান করেছেন।

মোট কথা জাতীয় দলের কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই এখন পর্যন্ত বিপিএলে রান নেই। প্রভাব বিস্তারকারী কোনো পারফরম্যান্স নেই। ছোট হলেও ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেওয়ার মতো কোনো ইনিংস নেই। যা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ এ বছরই আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। জাতীয় দল তো বটেই, বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানদের ব্যাটেও কোনো রান নেই। 

তানজিদ হাসান ৪ ম্যাচে করেছেন কেবল ৮২ রান। এনামুল হক ৩ ম্যাচে ৭২, যেখানে এক ইনিংসে ৬৩ রান করে দলকে জিতিয়েছিলেন। আফিফ ৩ ম্যাচে ৭১, নাঈম শেখ ৩ ম্যাচে ৬০ রান করেছেন। মোদ্দাকথা, স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে রান নেই। নজরকাড়া কোনো পারফরম্যান্স নেই। যা রীতিমত হতাশার। দুয়েকটি ব্যতিক্রম আছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শাহাদাত হোসেন দিপু প্রথম ম্যাচে ৩৯ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন ৪টি করে চার ও ছক্কায়।

বিপিএলে যুক্ত থাকা জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের কণ্ঠে হতাশা ফুটে উঠল, ‘স্থানীয় কোনো ব্যাটসম্যান এখনও আলো ছড়াতে পারেনি। যা চিন্তার কারণ। ৩টি করে ম্যাচ এরই মধ্যে খেলেছেন প্রায় প্রত্যেকে। কিন্তু তেমন বলার মতো কিছু করতে পারেনি। এ বছরই বিশ্বকাপ আছে। আমরা টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ কম পাই। যদিও বিশ্বকাপের আগে বেশ কিছু ম্যাচ আছে। তবুও এই বিপিএলই তো নিজেদের রান করার জায়গা।’

বাইরে যারা আছে বা তরুণ ব্যাটসম্যানরা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় আশরাফুলের হতাশা বাড়ল, ‘তরুণদের বিপিএল হচ্ছে সেরা মঞ্চ নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলার। এখানে সবার চোখ থাকে। আগ্রহ থাকে তরুণ প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার বের করার। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ সেভাবে নজরে আসেনি।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ভালো করতে না পারলেও নির্বাচকরা এখনও উদ্বিগ্ন নন। হাবিবুল বাশার সুমন বললেন, ‘এখনও সময় আসেনি ওদের পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করার। টু আর্লি। আমরা নজরে রাখছি সবার পারফরম্যান্স। ওদেরকেও থিতু হবার জন্য সময় দিতে হবে।’ 

ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়