ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

সিলেটের এবার ‘ইউ-টার্ন’, শেষ পরিণতি কি? 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১১, ২৯ জানুয়ারি ২০২৪  
সিলেটের এবার ‘ইউ-টার্ন’, শেষ পরিণতি কি? 

বিমর্ষ মুখে ম্যাচের পর ম্যাচ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এগিয়ে যান মাশরাফি বিন মুর্তজা। ম্যাচ হারের ব্যাখ্যা দেন সঞ্চালককে। আজও তার ব্যত্যয় ঘটল না।

বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকার্সের আরেকটি হার। বিপিএলের শুরুর ম্যাচে যেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে সিলেট হেরেছিল, আজ প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছিল তাদের সামনে। কিন্তু সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পুরোপুরি ভরাডুবি। টানা চার ম্যাচ হেরে বিপিএলে নিজেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেলে দিয়েছেন সিলেটের ক্রিকেটাররা। 

অথচ গতবার সিলেট খেলেছিল ফাইনাল। একটুর জন্য শিরোপা হাতছাড়া করেছিল। এবার শুরু থেকেই পারফরম্যান্সের ইউ টার্ন। এক বছর আগে বিপিএলের সবশেষ আসরের প্রথম চার ম্যাচে চারটিতেই হারা জিতেছিল। এবার প্রথম চার ম্যাচে চারটিতেই হার। একেবারেই ইউ-টার্ন। পারফরম্যান্সের ঘাটতি তো আছেই। সঙ্গে এবার দল গোছাতেও সিলেট হিমশিম খেয়েছে। গত আসরে সিলেটে ছিলেন একাধিক ম্যাচ উইনার। নির্দিষ্ট কারো ওপর সিলেট নির্ভর করেনি। এবারও দলে ভালোমানের খেলোয়াড় থাকলেও পারফরম্যান্স এখনও বের হয়নি। 

গতবার সিলেটের ব্যাটিং ধ্রুবতারা ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৫১৬ রান করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। এবার চার ম্যাচে শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৬০ রান। সিলেটের ব্যাটিং এবার সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে। ওপেনিং থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার ও লেট অর্ডারে দলের হাল ধরার কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। গত আসরে শান্তর সঙ্গে কাজ ভাগাভাগি করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান। জাকির হাসান চেষ্টায় ত্রুটি রাখছেন না। তবে ডুবতে থাকা সিলেটকে একা উদ্ধার করতে পারছেন না।

বিদেশি সংগ্রহে এবার পিছিয়েই আছে সিলেটে। গতবার আমির, ইমাদ ও থিসারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ ভালো সার্ভিস দিয়ে ধারাবাহিকা ধরে রেখেছিলেন। এবার বেন কাটিং, হ্যারি টেক্টর, সামিট পাটেল, হেমন্তদের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হলেও তাদের থেকে সেরা পারফরম্যান্স এখনও বের হয়নি। অন্যান্য দলের দুয়েকটি নজরকাড়া পারফরম্যান্স থাকলেও এবার তাদের কিছুই নেই। ব্যাটিং কিংবা বোলিং সমানতালে পারফরম্যান্স খারাপ হচ্ছে। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারানোর সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তিন ক্যাচ মিস করে ব্যর্থতায় শুরু হয় তাদের মিশন।

গতবারও সিলেট ছিলেন বাজেট নির্ভর দল। এবারও তাই। কিন্তু নিজেদের সেরা বাজেটে যুৎসই ক্রিকেটার পায়নি তারা। যা পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব রেখেছে। তবে এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে। সিলেটের বাকি আছে আরও ৮ ম্যাচ। এর মধ্যে অন্তত ৬টি ম্যাচ তাদের জিততেই হবে। 

সমীকরণ কোথায় গিয়ে ঠেকে কেউ বলতে পারে না। ১২ ম্যাচের অর্ধেক জিতে প্লে’ অফে খেলার সুযোগ থাকে। মাশরাফির দল নিশ্চিতভাবে সেই প্রত্যাশাতেই থাকবে। মাশরাফিও একই প্রত্যাশায় রয়েছেন। তাইতো পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা পারছি না এটা সত্য। আবার আমাদের একটি জয় সব হিসেব পাল্টে দিতে পারে। একটি জয় ছন্দ এনে দিতে পারে। আমরা জয়ের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে।’ 

পেছন থেকে এসে বড় কিছু পাওয়ার ঘটনা বিপিএলে রয়েছে। বিপিএলের অন্যতম সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রতি আসরেই শুরুতে ছন্দ খুঁজে পেতে সময় নেয়। এরপর তারা চলে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কুমিল্লাকে একবার শিরোপা জেতানো মাশরাফি নিশ্চয়ই সেই সুর ধরতে চাইবেন।

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়