ঢাকা     শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৮ ১৪৩১

আরিফুল-জিশানের ফিফটিতে নেপালকে হারালো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১২, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:৪০, ৩১ জানুয়ারি ২০২৪
আরিফুল-জিশানের ফিফটিতে নেপালকে হারালো বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে অনায়াস জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। নেপালকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে।

ব্লুমফন্টেইনে টস জিতে ব্যাট করতে নামা নেপালকে বাংলাদেশ অলআউট করে মাত্র ১৬৯ রানে। জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও জিততে পাঁচ-পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা। শেষ পর্যন্ত আরিফুল হকের অপরাজিত ৫৯ ও জিশান আলমের ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ২৫.২ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশ।

এই জয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো ব্যবধানে জিতলেই নিশ্চিত হবে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল।

আরো পড়ুন:

এদিন রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান তোলেন আশিকুর রহমান শিবলি ও জিশান আলম। সেখান থেকে ৯২ রানে যেতেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথমে ৬৭ রানের সময় শিবলি (১৬), ৮৫ রানের মাথায় মো. রিজওয়ান চৌধুরী (১৫) ও ৯২ রানের সময় জিশান ফেরেন সাজঘরে। তিনি ৪৩ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৫ রান করে যান।

১৩৭ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আহরার আমিন ফিরেন ব্যক্তিগত ১২ রানে। ১৫৩ রানের সময় শিহাব জেমস ডাক মেরে ফেরেন। সেখান থেকে আরিফুল ও শেখ পারভেজ জীবন ম্যাচ শেষ করে আসেন। আরিফুল ৩৮ বলে ৭টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন। তার সঙ্গে ৫ রানে অপরাজিত থাকেন জীবন।

বল হাতে বাংলাদেশের পাঁচটি উইকেটই নেন নেপালের সুবাস ভান্ডারি। তিনি ৮ ওভার বল করে ৪৪ রান দিয়ে ফাইফার নেন।

তার আগে বোলিংটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। রোহানাত দৌল্যা বর্ষণ ও শেখ পারভেজ জীবনের বোলিং তোপে ৪৯.৫ ওভারে নেপাল অলআউট হয় মাত্র ১৬৯ রানে। বর্ষণ ৮.৫ ওভারে ২ মেডেনসহ মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। জীবন ১০ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ ৩৪ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন, মারুফ মৃধা ও জিশান আলম।

বাংলাদেশের বোলিং তোপে নেপালের মাত্র চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে বিশাল বিক্রম সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন। ১০০ বল খেলে ৬ চারে এই রান করেন তিনি। দেব খানাল ৬০ বল খেলে ৩ চারে করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান।

২৯ রানেই ৩ উইকেট হারানোর পর তারা দুজন দলীয় সংগ্রহকে টেনে নেন ৯১ পর্যন্ত। তাদের ৬২ রানের জুটিতে নেপালের সংগ্রহ ১০০ পেরোয়। এরপর বিশাল ও গুলসান ঝা ৩০ রানের জুটি গড়েন পঞ্চম উইকেটে। দলীয় ১২১ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙার পর সুবাস ভান্ডারি অপরাজিত ১৮ রান করেন। এর বাইরে অরুণ কুমাল করেন ১৪ রান। তাতে নেপালের রান ১৬৯ পর্যন্ত যায়।

অবশ্য বাংলাদেশ অতিরিক্ত ৩১ রান না দিলে নেপালের রান ১৩৮ এর বেশি হতো না। তবে দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরা হন বর্ষণ।

ঢাকা/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়