ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

মিঠুন বললেন, ‘মাশরাফি ভাই এখনও আমাদের ক্যাপ্টেন’

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১৭, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৯:২৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
মিঠুন বললেন, ‘মাশরাফি ভাই এখনও আমাদের ক্যাপ্টেন’

মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে গতবছর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফির দলের কাছে এবার ভক্তদের চাওয়া ছিল আরও বড়। কিন্তু ম্যাচের পর ম্যাচ হেরে হতাশ করেছে চায়ের নগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

রাজনৈতিক ব্যস্ততার কারণে পঞ্চম ম্যাচের পর বিপিএল থেকে বিরতি নেন মাশরাফি। অধিনায়কের দায়িত্ব পান সহ-অধিনায়ক থাকা মোহাম্মদ মিঠুন। যিনি পারফরম্যান্সের কারণে পঞ্চম ম্যাচে বাদও পড়েছিলেন। ষষ্ঠ ম্যাচে অধিনায়কসুলভ পারফরম্যান্স করে দলকে প্রথম জয় এনে দেন।

টানা পাঁচ ম্যাচে হার, এরপর আপনার নেতৃত্বে জয়, ব্যাট হাতে আপনি সেরা পারফর্মার, অধিনায়কের পারফরম্যান্স কি সিলেটের জয়ের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে? দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ১৫ রানে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে মিঠুন ‘না’ সূচক উত্তর দিয়েছেন। তার মতে মাশরাফি এখনো সিলেটের ক্যাপ্টেন। 

‘মাশরাফি ভাই এখনও আমাদের ক্যাপ্টেন। উনার অনুপস্থিতিতে আমি এই দায়িত্বটা পালন করছি। আমাদের দল থেকে শুরু করে কীভাবে চলবো, সবসময় সবকিছুর সাথে উনি যুক্ত আছেন। আজকে সকালেও কথা হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন উনার ব্যস্ততার কারণে বিপিএলে অংশ নিতে পারছেন না।’

‘বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন অনেকে আছে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাদের যে অবদান এটা শুধু একটা ম্যাচ বা একটা টুর্নামেন্ট দিয়ে বিচার করতে পারবেন না। বাংলাদেশের ক্রিকেটে উনাদের অনেক অবদান। আমাদের সবার উচিৎ, যারা বাংলাদেশের ক্রিকেটে অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান রাখা’ -মাশরাফির অবদানকে সম্মান জানানোর আহ্বান রেখে আরও যোগ করেন মিঠুন।  

বিপিএলের শুরু থেকে মাশরাফির পারফরম্যান্স নিয়ে সমালোচনা হয়। সাবেক ক্রিকেটার, বিসিবি পরিচালক পর্যন্ত মাশরাফির খেলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। মাশরাফি জানান, ফ্র্যাঞ্চাইজির চাওয়ায় তিনি খেলছেন। ৫ ম্যাচে বল হাতে মাত্র ১ উইকেট পেয়েছেন। এক ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে দিয়েছেন ১৯ রান। পুরোদমে বোলিং করতে পারেননি। আর ব্যাট হাতে আসে ৮ রান। 

মাশরাফি না থাকায় তার জায়গায় একাদশে সুযোগ পান মিঠুন। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচেই ফিফটি করেন। তার ব্যাটে ভর করে ঢাকাকে ১৪৩ রানের লক্ষ্য দেয় সিলেট। তাড়া করতে নেমে ১২৭ রানে থামে ঢাকার ইনিংস।

নিজের ইনিংস নিয়ে মিঠুনের ভাষ্য, ‘আসলে আমার ইনিংসটা কিছু নয়। দলের দরকার ছিল সেটা। এটা আমি না করে অন্য কেউ করলেও একই হতো। কেউ একজন দরকার ছিল যে শেষপর্যন্ত যাবে। পাওয়ার প্লে-তে না রান হয়েছে, আবার উইকেটও পড়ে গেছে। ডিফেন্ড করার মতো স্কোর গড়তে ওখান থেকে একটা পার্টনারশিপ দরকার ছিল। আমার আর সামিতের সেটা হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আমি না হয়ে অন্য কেউও হতে পারত।’

জয়ে খুশির সঙ্গে আফসোসও হচ্ছে মিঠুনের, ‘প্রথমে রিলিফ, এরপর আফসোস! দুটাই বলতে পারেন। আমাদের প্রথম তিনটা ম্যাচেই জেতার সুযোগ ছিল। দুর্ভাগ্যবশত হয়নি। আমরা একটা জয় দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছিলাম। আজ সেই দিন। আলহামদুলিল্লাহ আজ জিততে পেরেছি।’

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়