ঢাকা     রোববার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||  ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

‘উইকেট না হারাতে’ ১১ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি নেই সৈকতের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  
‘উইকেট না হারাতে’ ১১ ওভার পর্যন্ত কোনো বাউন্ডারি নেই সৈকতের

লক্ষ্য দুইশ রানের বেশি। অথচ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার সৈকত আলীর রান প্রথম ২৯ বলে ১৭! অর প্রায় পাঁচ ওভার হজম করে তিনি ওভারপ্রতি তিনের একটু বেশি রান করেছেন। প্রথম ১১ ওভার কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি। ওপেনিংয়ে নামা এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ১৯তম ওভারে। রান আউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৫ বলে সর্বোচ্চ ৬৩ রান। 

রংপুর রাইডার্সের ২১২ রান তাড়া করতে নেমে চট্টগ্রাম এই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হারে ৫৩ রানে। ওপেনিংয়ে নেমে এমন ইনিংসের হেতু কি? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে সৈকত জানান, তিনি উইকেট দিতে চাননি প্রতিপক্ষকে, ‘আমি আজ প্রথমবার ওপেন করলাম। আমি শুধু একটা মোমেন্টাম খুঁজতে ছিলাম। আর ওই সময় সাকিব ভাই এবং মাহেদী হাসান খুব ভালো বোলিং করছে, প্রথম ছয় ওভার। আমাদের যখন জশ এবং টম দুজন যখন আউট হয়ে যায় তখন চেষ্টা করেছি অযথা উইকেট ছুড়ে না আসতে। চেষ্টা করেছি মোমেন্টাম খুঁজতে।’

রানের চাপে অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারাচ্ছিল চট্টগ্রাম। অন্য প্রান্তে মোমেন্টাম খুঁজে পেতে বড্ড দেরি করে ফেলেন সৈকত। যতক্ষণে তিনি মোমেন্টাম খুঁজে পান, ততক্ষণে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম। শেষ দিকে এক ওভারে ২২ রান নিয়েছেন সৈকত, কিন্তু কোনো কাজে আসেনি হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া। সৈকতের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি ছক্কায়, ফিফটির দেখা পান ৪২ বলে। 

আজ শের-ই-বাংলার উইকেট পড়তে ভুল করেছিল চট্টগ্রাম। দল সাজানো হয় বোলারদের আধিক্য দিয়ে। একাদশে বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ছিলেন মাত্র ৪ জন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বোলাররা নিয়মিত ভালো করলেও এই ম্যাচে ছিলেন ছন্নছাড়া। 

‘আমরা ভেবেছিলাম বোলিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হবে। একটু গ্রিন টাফ ছিল। নাজিবুল্লাহ জাদরান খেলতে পারেনি। ওর একটু ইনজুরি আছে। ওই খানে আবার ক্যাম্ফার চলে এসেছে। অলরাউন্ডার। ম্যাচের আগেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আজ পেস বোলার একটু বেশি খেলবে। তবে হিসেব করলে কিন্তু চার ব্যাটসম্যানের বেশি’-যোগ করেন সৈকত।

সৈকত কৃতিত্ব দিয়েছেন রংপুরের বোলারদের, ‘রংপুরের সবাই অবশ্যই ভালো বোলিং করেছে। আপনি দেখেন ওদের প্রত্যেকটা বোলারই টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট। আমরাও চেষ্টা করেছি। যখন আমাদের প্রথম দুই তিনটি উইকেট পড়ে যায় তখন রানরেট অনেক স্লো হয়ে যায়।’

ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়

সম্পর্কিত বিষয়:


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়