ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

স্বস্তির জয়ে প্লে’অফের দৌড়ে চট্টগ্রাম 

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩২, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২২:৩৩, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
স্বস্তির জয়ে প্লে’অফের দৌড়ে চট্টগ্রাম 

শেষ ওভারে প্রয়োজন ২২ রান। বোলিংয়ে শহিদুল ইসলাম। প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ব্যবধান কমান মোসাদ্দেক। পরের তিন বলে একটি ডটসহ আসে ২ রান। যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় জয়। এরপর হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া দুর্দান্ত ঢাকার আর কোনো উপায় ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৯ রানে জয় পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বন্দর নগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। তাড়া করতে নেমে ১৪৯ রানে থামে দুর্দান্ত ঢাকার ইনিংস। ১১তম ম্যাচে এসে ষষ্ঠ জয়ে প্লে-অফের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করলো চ্যালেঞ্জার্সরা।

লক্ষ্য ছিল নাগালের মধ্যে। তবে দলটি দুর্দান্ত ঢাকা বলে কথা। কিন্তু মাত্র ৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বরাবরের মতো রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান আলেক্স রস। প্রথমে প্রতিরোধ গড়েন মোহাম্মদ নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে। দুজনে যোগ করেন ৪৬ বলে ৫১ রান।

৩৫ বলে ২৯ রান করে নাঈম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর শেন উইলিয়ামস-মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে সমান ২৯ রানের দুটি জুটি গড়েন। কিন্তু ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি। ৪৪ বলে ৫৫ রান করে রস ফেরেন সাজঘরে। তাতে বিপিএলে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান এই অস্ট্রেলিয়ান।

ক্রিজে থাকা মোসাদ্দেকের সঙ্গী হন ইরফান শুক্কুর।  দুজনে ১৮ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েও দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারেননি। মোসাদ্দেক ২৯ ও ইরফান ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।  চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শুভাগত হোম।

এর আগে চট্টগ্রামের শুরুটা হয়েছিল প্রথম বলে উইকেট হারিয়ে। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শুরুতে ফেরেন সৈকত আলী। বিদেশি জস ব্রাউন (১৪) এই ম্যাচেও ব্যর্থ। টম ব্রুসকে নিয়ে এবার এগোতে থাকেন তানজীদ হাসান তামিম। দুজনে শুরুর ধাক্কা সামলে প্রতিরোধ গড়েন। সচল হতে থাকে রানের চাকা।

৩৫ বলে ৪৮ রান করে ব্রুস আউট হলে ভাঙে ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি। ৩৬ বলে ফিফটি হাঁকানো তানজীদ তখনও ভরসা হয়ে ছিলেন ক্রিজে।  তার সঙ্গী হন আগের ম্যাচে ঝড় তোলা রোমারিও শেফার্ড। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ব্যাট হাতে ছিলেন নিস্প্রভ। ৮ বলে ৪ রান করেন।

এবার শুভাগত এসে ঝড়ের আভাস দেন ছক্কা মেরে। তবে ৪ বলে ৯ রানের বেশি করতে পারেননি চট্টগ্রাম অধিনায়ক। এক প্রান্ত আগলে রাখা তানজীদ থাকলেও অপর প্রান্তে উইকেটের মিছিলে রানের গতি কমে যায়। ১৯তম ওভারের শেষ বলে এই ব্যাটার ফেরেন ৫১ বলে ৭০ রান করে। ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়