ঢাকা     সোমবার   ০১ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৭ ১৪৩১

অসময়ে সিলেটের রোমাঞ্চকর জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০৬, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৭:৫১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
অসময়ে সিলেটের রোমাঞ্চকর জয়

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৭ রান। ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রান করা লিটন দাস ছিলেন স্ট্রাইকে। টাইমিং গড়বড়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দেন এই ব্যাটার, তবে দূরে থাকায় তালুবন্দি করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। বাকি পাঁচ বলে আর স্ট্রাইক পাননি লিটন, পরের ওভারে তানজীম হাসান সাকিবের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে। লিটনের সেঞ্চুরি হাতছাড়ার সঙ্গে পরাজয় দেখলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৭৭ রান করে সিলেট। তাড়া করতে নেমে ১৬৫ রানে থামে কুমিল্লার ইনিংস। ১২ রানের জয়ে ১১তম ম্যাচে চতুর্থ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহাম্মদ মিথুনের দল।

নিজেরা টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও এই জয় জমিয়ে দিলো শীর্ষ চার দলের লড়াই। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুমিল্লার পড়েন্ট ১০ ম্যাচে ১৪।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে লিটনের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৮৩ রান। ১৯তম ওভারে সিঙ্গেলের সুযোগ থাকলেও নেননি রাসেল। আর কয়েকটি বল পেলেও প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারতেন হয়তো। শেষ পর্যন্ত তার ইনিংস থামে ৮৫ রানে। ৫৮ বলে ৩টি ছয় ৭টি চারে এই রান করেন কুমিল্লার অধিনায়ক। লিটনের শুরুটা ছিল ধীরগতির, থিতু হওয়ার পর ধীরে ধীরে হাত খুলতে থাকেন। ফিফটি আসে ৩৬ বলে।

আজ প্রথম খেলতে নামা রাসেল ১৪ বলে ২৩ রান করেন। যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কুমিল্লার ব্যাটিংয়ে। শুরু থেকে একপ্রান্তে লিটন আগলে রাখলেও অপরপ্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে পড়ছিল উইকেট। তাওহীদ হৃদয় ১৭ ও জনসন চার্লস ফেরেন ১২ রানে।

শেষ দিকে জাকের আলী অনিক অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে। মাঝে মঈন আলী ৫ বল খেলে ফেরেন খালি হাতে।

সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করেন সামিত প্যাটেল। ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান।

এই ম্যাচে গতকাল দলে যোগ দেওয়া আন্দ্রে রাসেল-সুনীল নারিনদের খেলিয়েছে কুমিল্লা।  নারিনের শুরুটা দারুণ হলেও রাসেল ছিলেন ফ্লপ।

অন্যদিকে বিতর্কের কারণে আগের ম্যাচে বাদ পড়া সামিত এই ফিরেই রাখে দারুণ অবদান। এ ছাড়া একাদশে ছিলেন উইন্ডিজের হার্ড হিটার কেনার লুইস। তার ব্যাটে ভর করে শুরুটা দারুণ হয় সিলেটের। ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন তিনি। তার আউটের পর কিছুটা বিপাকে পড়ে দলটি। পরপর সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১২) ও ইয়াসির আলী রাব্বি (২)।

এরপরই শুরু হয় সিলেটের প্রতিরোধ। খেলার হাল ধরেন বেনি হাওয়েল-মোহাম্মদ মিথুন। দুজনে ৪২ বলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে খেলার গতিপথ বদলে দেন। মিথুন ২০ বলে ২৮ রানে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তবে হাওয়েল ঝড়ে রানের চাকা সচলই থাকে। তিনি মাত্র ৩১ বলে ৬২ রান করেন। ৪টি ছয় ৬টি চারে ইনিংসটি সাজানো ছিল। কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে নেন নারিন-রিশাদ হোসেন। নারিন মাত্র ১৬ রান দিলেও ৩ ওভারে ৩৭ দেন রিশাদ!

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়