ঢাকা     শনিবার   ২৯ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

দেরিতে হলেও ছন্দ পাওয়ায় খুশি সিলেট

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ২১:৩২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
দেরিতে হলেও ছন্দ পাওয়ায় খুশি সিলেট

দল হিসেবে সিলেট স্ট্রাইকার্স যে একেবারেই খারাপ ছিল না তা সোমবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে দেখা মিলেছে। এদিন ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগে সমানতালে জ্বলে উঠে সিলেট হারিয়েছে শিরোপা প্রত্যাশী কুমিল্লাকে।

বিপিএলের সফলতম দল কুমিল্লার বিপক্ষে প্রথম দেখায় মাত্র ৭২ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। আজ চট্টগ্রামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সিলেট ১৭৭ রানের পুঁজি পায়। ওই রান তাড়া করতে নেমে লিটন, তাওহীদ, আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলীরা ১২ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি। ব্যাটিংয়ে বেনি হাওয়েল একাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছিলেন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৩১ বলে ৬২ রান করেন ২০০ স্ট্রাইক রেটে। ৬ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকান মারকুটে ব্যাটসম্যান। পরে বল হাতে নেন মঈন আলীর উইকেট।

সিলেটের পুঁজির জবাব কুমিল্লা ভালোভাবে দিচ্ছিল লিটনের ব্যাটে। কিন্তু ১৬ থেকে ১৯ এই চার ওভারে সিলেটের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচের চিত্রনাট্য বদলে যায়। যেখানে হাওয়েল ২ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। বাঁহাতি পেসার শফিকুল ২ ওভার করেন। ৪ ওভারে মাত্র ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ কুমিল্লার নাগালের বাইরে নিয়ে যান। উইকেটে আগ্রাসী ব্যাটসম্যান রাসেল ও সেঞ্চুরির পথে থাকা লিটন থাকলেও ম্যাচ জিততে পারেনি কুমিল্লা।

শুরুর ৫ ম্যাচে সিলেট কোনো জয় পায়নি। পরের ৬ ম্যাচে জয় ৪টিতে। সব মিলিয়ে ১১ ম্যাচে ৪ জয়। শুরুতে অন্তত তিনটি ম্যাচ তাদের হাতের নাগাল থেকে বেরিয়ে যায়। জয় না পাওয়ায় বারবার কম্বিনেশন পরিবর্তন করতে হয়েছে তাদের। তাতে নির্দিষ্ট খেলোয়াড় ব্যর্থ হলেও বারবার সুযোগ মিলেনি। তবে শেষ দিকে এসে ঠিকই তারা ছন্দে ফিরেছে। যা বলে দিচ্ছে, গতবারের রানার্সআপরা এবারও ভালো করতে পারত। দলের কোচ রাজীন সালেহ কুমিল্লাকে হারিয়ে এসবই বললেন।

‘জিতাটা তো আসলে খুশির ব্যাপার। দেখেন একটা বড় দলের সাথে আমরা খেলেছি এবং এর আগেও আমরা কুমিল্লার সাথে খেলেছি। আমাদের জিতার কথা ছিল কিন্তু জিততে পারি নাই। আজকে অনেক বড় ম্যাচ ছিল আমাদের। যেহেতু ওদের দল অনেক শক্তিশালী ছিল। খুব ভালো লেগেছে। কারণ, আমাদের অনেক ক্রিকেটার ভালো খেলেছে। যেমন তরুণ ছেলে শফিকুলের পারফর্ম ভালো নিঃসন্দেহে। আমাদের বেনি হাওয়েলের ব্যাটিংটা যদি দেখেন অসাধারণ।’

‘আমাদের ব্যাডপ্যাচ সত্যি কথা অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। আমরা আসলে এখন ভালো সময়ের কথা বলছি না। আসলে শেষ তিন ম্যাচ জিতেছিলাম। কীভাবে এখন বাড়ানো যায় সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ওই ভাবেই চিন্তা করা। আমাদের তো আর সুপার ফোরে যাওয়ার সুযোগ নেই। যতটুকু ম্যাচ জিতা যায় যদি আমাদের দলটাকে উপরে তোলা যায় এর জন্যই লড়াই করা।’

তরুণ পেসার শফিকুল মুগ্ধ করেছে সবাইকে। পাওয়ার প্লে ও স্লগ ওভারে রান নিতে দেননি ব্যাটসম্যানদের। শেষ দিকে কঠিন মুহূর্তে চার্লসকে ফেরানোর পর মঈন আলীকে ৪ বলে নিতে দেননি কোনো রান। যা চাপ বাড়িয়েছিল পরের ওভারগুলোতে। বাঁহাতি পেসারের প্রশংসা করলেন রাজীন।

‘৪ নাম্বার ম্যাচ থেকেই ওকে নিয়ে আমাদের প্ল্যান ছিল। কিন্তু সেখানে রাজা ভালো করছিল। সাকিব জাতীয় দলের প্লেয়ার গত ২ বছর ভালো করছে। তাই শফিকুলের সুযোগ পাওয়াটা একটু দেরি হয়ে গেছে। সে এখন সুযোগ পেয়েছে এখন ভালো করছে।’

সিলেট যেভাবে বিপিএলে নিজেদের মিশন শেষ করার পথে তাতে খুশি কোচ, ‘আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। যখন মোমেন্টাম হারিয়ে যায় তখন এটাকে ফেরানো অনেক কঠিন। আমরা পাঁচ ম্যাচে হারার পরেও আমরা মোমেন্টাম ধরতে পেরেছি। কামব্যাক করতে পেরেছি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন মনে করি। খুলনার সাথেও জিততে পারি তাহলে আমরা মনে করব যে এটা অনেক বড় অর্জন।’

ইয়াসিন/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়