ক্রিকইনফোর অ্যাওয়ার্ড পেলেন পেসার মারুফা
ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে মাত্র ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এই রান করে বাংলাদেশ জিতবে সেটা হয়তো কেউ ভাবেনি।
কিন্তু মারুফা আক্তারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে অল্পরান করেও জিতে যায় বাংলাদেশ। মারুফা ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ৩৫.৫ ওভারে ভারতকে অলআউট করে ১১৩ রানে। বৃষ্টি আইনে জয় পায় ৪০ রানে। যা ছিল ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়।
দুর্দান্ত বোলিং করে ম্যাচসেরা হন মারুফা। তার আগে বাংলাদেশের নারী ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কেউ চার উইকেট পায়নি।
তার ওই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবার পুরস্কৃত হলো। ওয়ানডেতে মারুফার ২৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার ক্রিকেইনফোর ২০২৩ সালের পারফরম্যান্স হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে।
এ যাত্রায় বাংলাদেশের উদীয়মান এই পেসার পেছনে ফেলেছেন চারজনকে। তাদের মধ্যে নিটকতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নাদিনে ডি ক্লার্ককে। যিনি করাচিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩২ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেছিলেন। তার বোলিং তোপে ২০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছিল ১৬৮ রানে। আর ওই ম্যাচ প্রোটিয়া নারীরা জিতেছিল ৬ উইকেটে।
ক্রিকইনফোর পুরস্কার পেয়ে বেশ খুশি মারুফা। তিনি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি হয়েছি এই অ্যাওয়ার্ডটা পেয়ে। নিজেকে বুঝাতে পারবো না কতোটা খুশি হয়েছি। অনেক আনন্দিত আমি। চারজনের মধ্যে প্রথম হয়েছি, অনেক ভালো লাগছে।’
ওই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘প্রথম থেকে ভালো বোলিং করছিলাম। প্রথম উইকেটটা পাওয়ার পর আরও আক্রমণাত্মক বোলিং করেছি। এরপর টার্গেট অনুযায়ী বোলিং করেছি। চারটি উইকেট পেয়েছি। স্মৃতি মান্ধানার উইকেটটা সবচেয়ে ভালো লাগার ছিল। এরপর একটা বোল্ড ছিল।’
‘নিজের কাছে অনেক খুশি লাগছিল। আমিও ছিলাম ওই দলে। যে ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছি। আমিও অবদান রাখতে পেরেছিলাম। ভাগ্য আমার সঙ্গে ছিল। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলাম।’ যোগ করেন মারুফা।
ঢাকা/আমিনুল