ঢাকা     শনিবার   ০৬ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২২ ১৪৩১

ম্যাড়ম্যাড়ে ব্যাটিংয়ে তামিমদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি চট্টগ্রাম

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪   আপডেট: ১৫:৩৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ম্যাড়ম্যাড়ে ব্যাটিংয়ে তামিমদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেনি চট্টগ্রাম

খেলা দুপুরে। কিন্তু তারও ঘণ্টা তিনেক আগে থেকে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণ লোকে-লোকারণ্য। কারো গায়ে জার্সি, কারো মাথায় দলের ব্যান্ড। টস হতে হতে গ্যালারি দর্শকে টাইটুম্বুর। কিন্তু দর্শকদের হতাশ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করতে নেমে আসা-যাওয়ার মিছিলে লড়াকু স্কোর দিতে পারেনি সাগরিকা পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বরিশাল। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে মাত্র ১৩৫ রান করে চ্যালেঞ্জার্স। এলিমেনেটরের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে এই রান নিয়ে লড়াই করা চট্টগ্রামের জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জের। 

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরেন দলের অন্যতম ভরসা তানজীদ হাসান তামিম। সাইফউদ্দিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৩ রানে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। জর্জ ব্রাউনের সঙ্গী হন এর আগের চার ম্যাচে মাত্র ১৬ রান করা উইকেটরক্ষক ব্যাটার ইমরানুজ্জমান। 

কিন্তু এলিমেনেটরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কেন এই ব্যাটার। যেখানে শাহাদাত হোসেন দিপুর মতো তরুণ ক্রিকেটার আছে স্কোয়াডে। তিনে নেমে দলকে কিছুই দিতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ১৩ বলে ৭ রানে ফেরেন সাজঘরে। টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা যায় টম ব্রুস আঙুলে ব্যথা পাওয়ায় তিনি উইকেট কিপিং করতে পারবেন না, এ জন্য দিপুর পরিবর্তে ইমরানুজ্জামানকে খেলানো হয়। 
 
ইমরানুজ্জামানের ফিরলে ব্রাউনের সঙ্গী হন ব্রুস। অন্য প্রান্তে দারুণ খেলছিলেন এই ব্যাটার। ২০ রানে জীবনও পেয়েছিলেন ব্রাউন। ওবেদ ম্যাককয়কে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। মিড অফে সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। জীবন পেয়েও অবশ্য লম্বা ইনিংস খেলতে পারেননি ব্রাউন। ৩৪ রানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ডেভিড মিলারের হাতে।

কিন্তু মাঠে ব্রুস থাকায় সম্ভাবনা দেখাচ্ছিল বড় রানের। তিনিও হতাশ করেছেন। ১১ বলে ১৭ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। চট্টগ্রামের ব্যাটাররা মাঠে এসে রান করছিলেন, কিন্তু থিতু হয়েও লম্বা ইনিংস না খেলতে পারায় বেকায়দায় পড়ে দল। মাঝে সৈকত আলী ১৪ বলে ১১, শুভাগত হোম ১৬ বলে ২৪ রান করেন। শেষে উইন্ডিজ অলরাউন্ডার রোমারিও শেফার্ডের দিকে তাকিয়ে ছিল দল। জেমস ফুলারের নিচু হয়ে আসা বল মিস করে বোল্ড হন। ১৬ বলে ১১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ দিকে অপরাজিত থাকেন সালাউদ্দিন শাকিল ৮ ও বিলাল খান ১ রানে।

বরিশালের হয়ে ৪ ওভারে সমান ২৮ রান দিয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন-কাইল মায়ার্স।

রিয়াদ/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়