জার্সি থেকেই দুই হাজার কোটি টাকা আয় বার্সেলোনার
ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম
ইউরোপের ফুটবলে জার্সি বিক্রির ঘটনা নতুন নয়। অনেক ক্লাবই জার্সি বিক্রি করে কোটিপতির খাতায় নাম লেখায়। সেই তালিকায় গেল বছরের শীর্ষস্থান দখল করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। বাংলাদেশী টাকার হিসেবে তারা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার জার্সি বিক্রি করেছে।
ক্লাবগুলোর গেল বছরের আর্থিক অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউরোপের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত বছর জার্সি ও স্মারক বিক্রি করে সবচেয়ে লাভবান হয়েছে বার্সেলোনা। ইউরোর হিসেবে ১৭ কোটি ৯০ লাখ ইউরোর জার্সি ও স্মারক বিক্রি করেছে স্পেনের ক্লাবটি।
করোনার সময় আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয় বার্সেলোনা। এর মধ্যেই লা লিগার বেতন সীমাসংক্রান্ত নীতির গ্যাঁড়াকলে পড়ে লিওনেল মেসিকেও ছেড়ে দিতে হয় ক্লাবটির। তখন অনেকেরই ধারণা ছিল, নিজেদের ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়কে ছেড়ে দেওয়ায় বার্সার জার্সি বিক্রিতে ভাটা পড়বে। কিন্তু হয়েছে উল্টোটা।
জার্সি বিক্রি করে সর্বোচ্চ আয় করা ক্লাবগুলোর মধ্যে সেরা দশের ক্লাবগুলোড় মধ্যে ৫টিই ইংল্যান্ডের। দুটি স্পেনের এবং একটি করে ক্লাব জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির।
এ তালিকায় বার্সেলোনার পরেই আছে রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবটি আয় করেছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। ১৪ কোটি ৭০ লাখ ইউরো আয় করে তিনে আছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর যে ক্লাবের হাত ধরে ইউরোপীয় ফুটবলে প্রথম জার্সি বিক্রি শুরু হয়েছে, সেই লিডস ইউনাইটেড আছে ১৬ নম্বরে।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে জার্সি বিক্রির প্রচলন শুরু হয়েছিল ১৯৭৩ সালের দিকে। সেবার ইংলিশ ক্লাব লিডস ইউনাইটেডের জার্সি বানিয়ে দিয়েছিল অ্যাডমিরাল, যা ছিল ক্লাব ফুটবলে কোনো ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষকতার প্রথম ঘটনা।
এরপর ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে লিডসের ট্রেনিং গ্রাউন্ডে কোচ ডন রেভির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল ভ্রাম্যমাণ এক বিক্রয়কর্মীর। তার হাত ধরেই শুরু জার্সি বিক্রির যাত্রা। এরপর থেকেই তাদের দেখাদেখি অন্যান্য ক্লাবগুলোও জার্সি বিক্রির দিকে ঝুঁকে পড়ে।
ঢাকা/বিজয়