পারটেক্সকে উড়িয়ে আবাহনীর দারুণ শুরু
কোনো লড়াই করতে পারেনি প্রথম বিভাগ থেকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) উঠে আসা পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। অবশ্য প্রথম ম্যাচে দলটি পেয়েছে কঠিন প্রতিপক্ষ, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ঐতিহ্যবাহী আবাহনী লিমিটেডকে।
ঢাকা লিগের প্রথম দিন হোম অব ক্রিকেটে পারটেক্সকে গুঁড়িয়ে শুভসূচনা করাছে আকাশি-নীল জার্সিধারীরা। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৬৮ রান করেন আবাহনী। তাড়া করতে নেমে একশর আগেই মাত্র ৯৭ রানে থামে পারটেক্সের ইনিংস। ১৭১ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল।
কয়েকটি সহজ ক্যাচ না ফেললে আবাহনীর জয়ের ব্যবধানটা আরও বড় হতো নিশ্চিত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মুনিম শাহরিয়ারকে (৪) পতনের শুরু এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এরপর তানভীর ইসলামদের ঘূর্ণিতে উইকেটের মিছিলে লড়াইটুকু করতে পারেনি পারটেক্স।
আটে নেমে সর্বোচ্চ ২০ রানের ইনিংস খেলেন রাজিবুল ইসলাম। পাঁচ জন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর পেরোলেও কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান আসে মুক্তার আলীর ব্যাট থেকে। বাকিরা এর নিচে।
আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তানভীর। ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেটগুলো নেন তিনি। তার হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ২টি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান ও সাইফউদ্দিন। ১টি করে উইকেট জমা হয় খালেদ আহমেদ-নাহিদুল ইসলামের ঝুলিতে।
এর আগে সাব্বির হোসেনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহ পায় আবাহনী। নাঈম শেখের সঙ্গে জুটি গড়ে ওপেনিংয়ে শতরান এনে দেন সাব্বির। ৫৯ বলে ৭১ রান করে সাব্বির ফিরলে ভাঙে ওপেনিং জুটি। সাব্বিরের পরপরই নাঈম ফেরেন ৩৭ রানে।
নিয়মিত বিরিতিতে উইকেট হারালেও রানের চাকা সচল ছিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির। অধিনায়ক মোসাদ্দেক ৪২, মাহমুদুল হাসান জয় ৩৪ ও সাইফউদ্দিন ৩১ রান করেন। জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ২১ রান। ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন রাকিবুল। তাতে আবাহনীর পেয়ে যায় বড় সংগ্রহ। পারটেক্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন মোহর শেখ-আসাদুজ্জামান পায়েল।
ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়