ঢাকা     রোববার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ৯ ১৪৩১

জ্যোতিদের উইকেটের মিছিলে মিরপুরে হলুদ উৎসব 

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:১৯, ২১ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৭:৪৩, ২১ মার্চ ২০২৪
জ্যোতিদের উইকেটের মিছিলে মিরপুরে হলুদ উৎসব 

পৌঁছেও যেন পৌঁছাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ভুল করেছেন ব্যাট মাটিতে স্পর্শ না করিয়ে, এর মধ্যে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন সাদারল্যান্ড। বাংলাদেশের আশা, বাংলাদেশের ভরসা জ্যোতি রান আউট হয়ে ২৭ রানে ফেরেন সাজঘরে। 

এই একটি রানআউট না শুধু, আরও তিনটি রান আউটের স্বাক্ষী হলো বাংলাদেশের ইনিংস। জ্যোতির আগে ৪ রানের ব্যবধানে রানআউট হয়ে ফিরেছেন ফাহিমা খাতুন ও রিতু মনি। টানা তিন রানআউটের ধাক্কা সামলাতে পারেনি বাংলাদেশ। ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে লাল সবুজের দল অলআউট হয় একশর আগেই, ৯৫ রানে।

আরো পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ার ২১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ হারে ১১৮ রানে। আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তুর্ভুক্ত তিন ম্যাচের সিরিজ শুরু হলে বাজেভাবে। ম্যাচ শেষে বিব্রতকর ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিন রান আউটকে দায়ী করছেন নাহিদা আক্তার। শুধু ব্যাটিং নয় ফিল্ডিং-বোলিংয়েও ছিল মিসের মহড়া। 

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে জ্যোতির ব্যাট থেকে। এ ছাড়া দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পেরেছেন দুজন, তারমধ্যে ১৭ রান করেন সোবহানা মোস্তারি আর ১০ রান করেন মুর্শিদা খাতুন। আর কেউ দেখেননি দুই অঙ্কের মুখ। ইনিংসের শুরুটাও হয়েচ্ছিল করুণভাবে, শেষ ওভারে ২৯ রান দেওয়া ফাহিম খাতুন ফেরেন প্রথম বলে, গোল্ডেন ডাক!

২১ রান স্কোর বোর্ডে যোগ হতেই মুর্শিদা ফেরেন। এরপর জ্যোতি-সোবহানা ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধের আভাস দেন। এই জুটি ভাঙতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন গার্ডনার। ২ উইকেট নেন কিম গার্থ।

অথচ বল হাতে কী দারুণ শুরুই না করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ২৭ রানে নেই ৩ উইকেট। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে ৭৮ রানের মধ্যে অজিদের ৫ উইকেট নিয়ে ফেলে। এরপরই পাল্টা আক্রমণ করে সফরকারীরা। বাংলাদেশের বোলাররা খেই হারিয়ে ফেলে। তবুও জুটি লম্বা হওয়ার আগেই সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন নাহিদারা। কিন্তু কিং-সাদারল্যান্ডের ৮ম জুটি বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেয়।

দুজনে ৫৬ বলে ৬৭ রান যোগ করেন। এক পাশে সাদরল্যান্ড ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন, আরেক পাশে কিং ঝড় তুলে ৩১ বলে ৪৬ রান করেন। তার মধ্যে শেষ ওভারেই ২৯ রান নেন কিং। সঙ্গে বল হাতে ১০ ওভারে মাত্র ১২ রানে ১ উইকেট নিয়ে হন ম্যাচসেরা। এ ছাড়া গার্ডনার ৩২ ও মুনি ২৫ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন সুলতানা-নাহিদা।

ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়