ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০৪ জুলাই ২০২৪ ||  আষাঢ় ২০ ১৪৩১

শুরুর ধাক্কা সামলে প্রথম দিন পার বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ২২ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৮:৫৩, ২২ মার্চ ২০২৪
শুরুর ধাক্কা সামলে প্রথম দিন পার বাংলাদেশের

দিনের শুরুতে শ্রীলঙ্কাকে তিনশ রানের ভেতর আটকে রাখলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ইনিংসের শুরুটা ভালো হলো না বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কাকে ২৮০ রানে অল আউট করার পর ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা৷

৭ উইকেট বাকি রেখে ২৪৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবে বাংলাদেশ।

শেষ ঘণ্টায় ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই আম্পায়ার্স কলে বিদায় নেন জাকির হাসান। এরপর একইভাবে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অভিজ্ঞ মুমিনুল হকও৷ তাতে ৩০ পেরোতেই নেই বাংলাদেশের ৩ উইকেট। 

শেষ দিকে আর বিপদ হতে দেননি মাহমুদুল হাসান জয় ও তাইজুল ইসলাম। জয় ৩৪ বলে ৯ ও তাইজুল ১ বলে ০ রানে নতুন দিনের খেলা শুরু করবেন।

জাকিরের পথে ড্রেসিংরুমে নাজমুল
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হলো হতাশার। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে নিচু হয়ে ভেতরে ঢোকা বল পড়তেই পারলেন না নাজমুল হোসেন। প্যাডে আঘাত করতেই জোরাল আবেদন। আঙ্গুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ১০ বলে ৫ রান করে ফিরলেন নাজমুল।

৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৭ রান৷ ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল হাসান জয় ও মুমিনুল হক।

আম্পায়ার্স কলে জাকিরের বিদায়
বিশ্ব ফার্নান্দোর ডেলিভারিটা অন সাইডে খেলতে গিয়ে পরাস্ত জাকির হাসান। প্যাডে লাগতেই জোরালো আবেদনম আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। কিছুক্ষণ ভেবে রিভিউ নিলেন জাকির।

রিপ্লেতে দেখা যায়, বল ঠিক জায়গায় পিচ করলেও উইকেটস এর বেলায় আম্পায়ার্স কল। আর তাতেই ২ চারে ৮ বলে ৯ রান করে ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার।

বাংলাদেশি পেসারদের তোপে ২৮০ রানে থামলো শ্রীলঙ্কা
প্রথমে বাংলাদেশি পেসারদের তোপ, মাঝে দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যানের রাজত্ব, শেষে আবারও বাংলাদেশী বোলার-ফিল্ডারদের দাপট। তাতে দুই সেঞ্চুরির পরও শেষ ২১ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানে থামল শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংস।

ইনিংসের শুরুতে ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ ২০২ রানের জুটি গড়েন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি ছুঁয়ে দুজনই আউট হন সমান ১০২ রান করে।

বাংলাদেশের পক্ষে অভিষিক্ত নাহিদ রানা ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ সমান ৩টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট দখল করেন তাইজুল ইসলাম।

 

পেসারদের তোপের পর তাইজুলের আঘাত, ফার্নান্দোর বিদায়
শ্রীলঙ্কার ইনিংস জুড়ে বাংলাদেশি পেসারদের দাপট। তাতে নিয়মিত দৃশ্য দেখা যাচ্ছিলো না। স্পিনাররা যেন উইকেটই পাচ্ছিলেন না। সেই খরা কাটালেন তাইজুল ইসলাম। তার ঝুলিয়ে করা ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হলেন ১৯ বলে ৯ রান করা 
বিশ্ব ফার্নান্দো। ২৭৮ রানে নবম উইকেট হারাল শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে শেষ জুটি কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।

রানার তৃতীয় আঘাত, ফিরে গেলেন জয়াসুরিয়া
শুরুর দিকে অগোছালো বোলিং করার পর ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন নাহিদ রানা। পরপর তিন ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত এই পেসার। তার প্রথম দুই শিকার দুই সেঞ্চুরিয়ান কামিন্দু মেন্ডিস ও লঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়্যা ডি সিলভা।  তৃতীয় উইকেট হিসেবে রানার ফাঁদে ধরা পড়লেন প্রাবাথ জয়াসুরিয়া।

কামিন্দুর পর ধনঞ্জয়াকেও ফেরালেন রানা
আগের ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কামিন্দু মেন্ডিসকে। তাতে ভেঙ্গেছিল দুইশ রানের জুটি। এবার মেন্ডিসের পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকেও ফেরালেন নাহিদ রানা।শ্রীলঙ্কার দুই সেট ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচেও ফিরিয়েছেন অভিষিক্ত এই পেসার।

রানার বাউন্সারে পুল করার চেষ্টায় ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়লেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। ফেরার আগে ১২ চার ও ১ ছক্কায় ১৩১ বলে ১০২ রান করেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক। ৫৯ ওভারে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৬৫ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান প্রাবাথ জয়াসুরিয়া ও কাসুন রাজিথা।

সেঞ্চুরি ছুঁয়ে রানার বলে ফিরলেন কামিন্দু
সেট হয়ে গিয়েছিলেন। সেঞ্চুরিও করলেন। তবে আগের বলেই নাহিদ রানাকে চার মেরে সেঞ্চুরি ছোঁয়া কামিন্দু মেন্ডিস পরের বলেই বিদায় নিলেন। রানার গতি বুঝতে না পেরে খোঁচা দিয়ে লিটনের হাতে বন্দি হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান।

ফেরার আগে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১২৭ বলে ১০২ রান করেছেন এই বাঁহাতি। তার বিদায়ে ভেঙেছে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে গড়া ২০২ রানের জুটি। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ।

ধনঞ্জয়া-কামিন্দুর দাপটে দ্বিতীয় সেশন শ্রীলঙ্কার

দলীয় ৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর ৪০ থেকে ৫৭ রানে যেতে হারায় আরও চার উইকেট। অর্থাৎ ৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক ধনঞ্জয়া। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন কামিন্দু মেন্ডিস। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন ১৬০ রান তুলে দারুণ প্রতিরোধ গড়েন। ৫ উইকেটে ৫৭ থেকে ৫ উইকেটে ২১৭ রান তুলে চা বিরতিতে গিয়েছে লঙ্কানরা।

ধনঞ্জয়া ৯টি চার ও ১ ছক্কায় ৮৩ রানে ও কামিন্দু ৯টি চার ও ২ ছক্কায় ৭৫ রানে অপরাজিত আছেন।

ধনঞ্জয়া-কামিন্দুর ব্যাটে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ:

৫৭ রানেই ৫ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা প্রতিরোধ গড়েছে অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে। ষষ্ঠ উইকেটে তারা দুজন ইতোমধ্যে ২১ ওভারে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেছে ১১৩ রান। তাতে শ্রীলঙ্কার দলীয় সংগ্রহ ১৭০ পেরিয়েছে। দুজনেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ধনঞ্জয়া ৮ চারে ৬০ ও কামিন্দু ৬ চারে ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩৭.৪ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১৭০।

প্রথম সেশনে বাংলাদেশে নাকাল শ্রীলঙ্কা:

প্রথম সেশনটি দারুণভাবে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। ৫৭ রানেই তারা তুলে নেয় শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট। এরপর অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস ষষ্ঠ উইকেটে ৩৫ রানের জুটি গড়েন। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে প্রথম সেশনে ২২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছে লঙ্কানরা। ধনঞ্জয়া ২৫ ও কামিন্দু ১১ রানে অপরাজিত আছেন। খালেদ আহমদ ৩টি ও শরীফুল ইসলাম নিয়েছেন ১টি উইকেট। একটি উইকেট এসেছে রান আউট থেকে।

৫৭ রানেই ৫ উইকেট নেই শ্রীলঙ্কার:

সকালে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন খালেদ আহমদ। তার বোলিং তোপে ৪৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। তিনটি উইকেট নেন খালেদ। তার ওভারে একটি হয় রান আউট।

এরপর শ্রীলঙ্কা শিবিরে আঘাত হানেন শরিফুল ইসলাম। দলীয় ৫৭ রানের মাথায় তার বলে মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দিনেশ চান্দিমাল। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি। ব্যাট করছেন অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস।

খালেদের তোপে ব্যাটিং বিপর্যয়ে শ্রীলঙ্কা:
তৃতীয় রানেই প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। খালেদ ফেরান নিশান মাদুশকাকে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৩৭ রানের জুটি গড়েন কুসল মেন্ডিস ও দিমুথ করুণারত্নে। দ্বাদশ ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন খালেদ। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে কুসলকে ও ষষ্ঠ বলে ফেরান দিমুথকে। এরপর চতুর্দশ ওভারে এসে আবারও উইকেট এনে দেন বাংলাদেশকে। তার করা চতুর্থ বল অফ সাইডে ঠেলে দিয়ে দিনেশ চান্দিমাল রান নিতে কল করেন ম্যাথুজকে। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্তর থ্রো ম্যাথুজ পৌঁছানোর আগেই উইকেট ভেঙে দেয়। ১ চারে ৫ রান করে ফেরেন ম্যাথুজ। আর শ্রীলঙ্কা ৪৭ রানেই হারায় চতুর্থ উইকেট।

এক ওভারে খালেদের দুই শিকার:

দ্বিতীয় ওভারে প্রথম উইকেট তুলে নেন খালেদ আহমদ। এরপর দ্বাদশ ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। দ্বিতীয় বলে গালিতে জাকির হাসানের তালুবন্দি করার কুসল মেন্ডিসকে। এরপর ষষ্ঠ বলে আরেক সেট ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নেকে বোল্ড করেন। ৩৭ বল খেলে ১ চারে ১৭ রান করে আউট হন তিনি। শ্রীঙ্কার তিনটি উইকেটই পকেটে পুরেছেন খালেদ।

এবার খালেদের শিকার কুসল:

দ্বিতীয় ওভারের পর দ্বাদশ ওভারে এসে শ্রীলঙ্কা শিবিরে আবার আঘাত হানেন খালেদ। তার অতিরিক্ত বাউন্সের বলটি খেলবেন কি খেলবেন না ভেবে পাচ্ছিলেন না কুসল। শেষে কাট করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বল তার ব্যাট ছুঁয়ে গালিতে জাকির হাসানের তালুবন্দি হয়। ২ চারে ১৬ রান করে যান উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান।

শ্রীলঙ্কা শিবিরে শুরুতেই খালেদের আঘাত:

শুরুতেই শ্রীলঙ্কা শিবিরে আঘাত করেন বাংলাদেশের পেসার খালেদ আহমদ। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তিনি ফেরান নিশান মাদুশকাকে। তার বলে এজ হয়ে থার্ড স্লিপে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন নিশান। ২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলীয় ৩ রানেই প্রথম উইকেট হারালো লঙ্কানরা।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, নাহিদ রানার অভিষেক:

সিলেটে আজ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। ইতোমধ্যে টস হয়েছে। টস জিতেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। তিনি অবশ্য ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সকাল ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। বাংলাদেশের হয়ে আজ অভিষেক হচ্ছে ঘরোয়া ক্রিকেট ও বিপিএলে গতির ঝড় তোলা পেসার নাহিদ রানার।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলার নাহিদ। গতিই তার বোলিংয়ের বড় অস্ত্র। গত বিপিএলে ১৪৯.৭ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে চমকে দিয়েছিলেন সবাইকে। সঙ্গে ১৪৫-১৪৭ কিলোমিটার নিয়মিত বোলিং করে নিজের সামর্থ্য ফুটিয়ে তোলেন সবার সামনে। গতির জাদুতেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নপূরণ হলো তার।

টেস্টে এর আগে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছিল। তার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে একবার। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ১৮ বার। পাঁচটি টেস্ট হয়েছে ড্র। ২০২২ সালে সবশেষ টেস্ট সিরিজও জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে এবার বাংলাদেশ লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জয় ও সিরিজ জয়ের সংখ্যাটা বাড়াতে পারে কিনা দেখার বিষয়।

শ্রীলঙ্কার একাদশ:
নিশান মাদুশকা, দিমুথ করুনারত্নে, কুসল মেন্ডিস (উইকেটরক্ষক), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, দিনেশ চান্দিমাল, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, প্রবথ জয়সুরিয়া, বিশ্ব ফার্নান্দো, কাসুন রাজিথা ও লাহিরু কুমারা।

বাংলাদেশের একাদশ:
মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, শাহাদাত হোসেন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদি হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, নাহিদ। রানা ও শরিফুল ইসলাম।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়