ঢাকা     রোববার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  পৌষ ৭ ১৪৩১

দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরিতে ধনঞ্জয়া-কামিন্দুর ইতিহাস, টেস্ট ক্রিকেটে বিরল রেকর্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক, সিলেট থেকে || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ২৪ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৫:২৭, ২৪ মার্চ ২০২৪
দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরিতে ধনঞ্জয়া-কামিন্দুর ইতিহাস, টেস্ট ক্রিকেটে বিরল রেকর্ড

একটা সময়ে বলা হতো, কুমার সাঙ্গাকারা বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামলেই সেঞ্চুরির বন্যা বইয়ে দিতেন। পরিসংখ্যান সেই কথাই তো বলছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরপর দুই বছর দুই পৃথক টেস্টে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি সাঙ্গাকারার। ২০১৩ সালে গলে ১৪২ ও ১০৫ রান। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ৩১৯ ও ১০৫। এর মধ্যে একই ম্যাচে ট্রিপল সেঞ্চুরি ও সেঞ্চুরির একমাত্র রেকর্ডটি তারই দখলে। সাঙ্গাকারা এখন নেই। তবে উত্তরসূরী ঠিকই তৈরি করে গেছেন। যারা পূর্বসূরীর চেয়েও একধাপ এগিয়ে। 

ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের কথাই চিন্তা করুন। সিলেট টেস্ট দুজন রাঙালেন জোড়া সেঞ্চুরিতে। প্রথম ইনিংসে ১০২ রান রানের দুটি ইনিংস খেলেন ধনঞ্জয়া  ও কামিন্দু। দ্বিতীয় ইনিংসেও তাদের ব্যাটে সেঞ্চুরির রান। ধনাঞ্জয়া ১০৮ রানের পর কামিন্দু ১০০ রান করলেন। তাতেই ইতিহাস।

টেস্ট ক্রিকেটে এ নিয়ে তৃতীয়বার দুই ব্যাটসম্যান দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করলেন। ১৯৭৪ সালে চ্যাপেল ব্রাদার্স দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করেছিলেন। ইয়ান চ্যাপেল প্রথম ইনিংসে ১৪৫ ও গ্রেগ চ্যাপেল ২৪৭ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার তাদের ব্যাটে সেঞ্চুরি। নিউ জিল্যান্ড বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ইয়ান চ্যাপেল ১২১, গ্রেগ চ্যাপেল ১৩৩ রান করেন। 

আরো পড়ুন:

ঠিক ৪০ বছর পর ২০১৪ সালে পাকিস্তানের মিজবাহ উল হক ও আজহার আলী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি করেন। প্রথম ইনিংসে আজহার আলী ১০৯, মিজবাহ উল হক ১০১ রান করেন। পরের ইনিংসে আজহার আলী ১০০ ও মিজবাহ উল হক ১০১ রান করেন।

১০ বছর এলিট এই ক্লাবে নাম লিখালেন ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলেছিলেন। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর তাদের জুটিতেই বাংলাদেশকে কঠিন জবাব দেয় অতিথিরা। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও তাদের ব্যাটে বিশাল লিড। রোববার ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলঙ্কা। স্কোরবোর্ডে ৭ রান যোগ করতে বিশ্ব ফার্নান্দো আউট হন।

সেখান থেকে ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দুর লড়াই শুরু হয়। বাংলাদেশ ব্যাকফুটে পাঠিয়ে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে দুজন তরতরিয়ে রান তোলেন। উইকেটের চারিপাশে শট খেলে যেভাবে রান তুলছিলেন তাতে মনে হচ্ছি রান করা অতি সহজ কাজ।

প্রথমে ধনাঞ্জয়া সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার আউটের পর কামিন্দু হতাশ করেননি। চোখের পলকে তিনিও পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিকাল ফিগারে। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে কুমার সাঙ্গাকারা (২০১৩ ও ২০১৪) ও তিলকারত্নে দিলশান (২০০৯) এক টেস্টে দুই সেঞ্চুরি পেয়েছেন। সেই তালিকায় ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু নাম তুললেন অতি সহজে। ধনাঞ্জয়া ইতিহাসের পাতায় কিছুটা এগিয়ে থাকবেন। অধিনায়ক হিসেবে তার কীর্তিই যে প্রথম।

ইয়াসিন/আমিনুল


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়