মজিদের ৫ রানের আক্ষেপ, রিশাদের ৫ উইকেট
আব্দুল মজিদ ৫ রানের জন্য ছুঁতে পারেননি মাইলফলক। আর রিশাদ হোসেন ৫ উইকেট নিয়ে প্রথমবারের মতো লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট মাইলফলক স্পর্শ করলেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ রাউন্ডে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ম্যাচটি দুই দলের দুই ক্রিকেটারকে ভিন্ন স্বাদ দেয়। ব্রাদার্সে্র ওপেনার ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও জিতেছে তার দল। অন্যদিকে রিশাদ হোসেন ৫ উইকেট নিয়েও শেষ হাসি হাসতে পারেনি।
বিকেএসপিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মজিদের ৯৫ রানের সুবাদে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৯ উইকেটে ২২২ রান করে। জবাবে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের ইনিংস ১৯৬ রানে থেমে যায়। ব্রাদার্স ম্যাচ জেতে ২৬ রানে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে লেগ স্পিনাররা নিয়মিত সুযোগ পান বলে প্রবল সমালোচনা হচ্ছিল। জাতীয় দলে রিশাদ হোসেন ভালো করায় সেই আলোচনা বেড়ে যায়। এবারের লিগে আবাহনীতে খেলার কথা ছিল রিশাদের। কিন্তু টিম কম্বিনেশনের কারণে তার খেলার সুযোগ দেখছিল না দলটি। তাই শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে দিয়ে দেয়।
লাগাতার সুযোগ পাওয়ার আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে লেগ স্পিনার রিশাদ আজ ভেল্কি দেখালেন।লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার আগের সেরা বোলিং ছিল ২৯ রানে ৪ উইকেট।আজ ৪৯ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন রিশাদ। সাদা বলের স্বীকৃতি ক্রিকেটেই প্রথমবার এই স্বাদ পেলেন তিনি।
তার দ্যুতিময় বোলিংয়ে ব্রাদার্স ২২২ রানে থেমে যায়। সর্বোচ্চ ৯৫ রান করা মজিদ ১৩৫ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। এছাড়া মাহমুদুল হাসান ৩৬ ও রাহাতুল ফেরদৌস ৩২ রান করেন। রিশাদ বাদে শাইনপুকুরের হয়ে ২৬ রানে ২ উইকেট নেন আরেক স্পিনার আরাফাত সানী।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শাইনপুকুরের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন এলোমেলো। দায়িত্ব নিয়ে কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ২৪ বলে ৪১ রান করেন ৩টি করে চার ও ছক্কায়। মধ্যভাগে মেহরাব হাসানের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ। শেষ দিকে ইরফান শুক্কুর ২৩ ও জাওয়াদ রোয়েন ২৯ রান করে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়ে আনেন।
ব্রাদার্সের হয়ে মনির হোসেন ও রহমানউল্লাহ আলী ৩টি করে উইকেট নেন। ২ উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। রিশাদ ৫ উইকেট পেলেও ব্রাদার্স জেতায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান মজিদ।
ঢাকা/ইয়াসিন/বিজয়