বিসিবির এজিএম
‘লাভজনক বিনিয়োগে’ গঠনতন্ত্রে সংশোধনী আনছে বিসিবি
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্রে একটি পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সংশোধিত প্রস্তাবনা তুলে ধরা হবে। ঝুঁকিহীন লাভজনক বিনিয়োগের জন্য মূলত এই সংশোধনী আনতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড।
আগামীকাল (৩১ মার্চ) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপনের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় এজিএম অনুষ্ঠিত হবে। গঠনতন্ত্রে সংশোধনীর প্রস্তাবনার খসড়াটি রাইজিংবিডির হাতে এসেছে।
প্রস্তাবনা খসড়া অনুযায়ী, ৬ নম্বর অনুচ্ছেদের উপানুচ্ছেদ ৬.১-এর সংশোধন করা হবে। বর্তমানে এই উপানুচ্ছেদের গঠনতন্ত্রে বলা আছে, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়নে অর্থায়নের জন্য সরকার, পৃষ্ঠপোষক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অন্যান্য উৎস হতে তহবিল সংগ্রহ এবং উদ্ধৃত তহবিল ঝুঁকিহীন লাভজনক বিনিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ।’
এই উপানুচ্ছেদের জায়গায় প্রস্তাবনা অনুযায়ী নতুন করে বসবে, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তাবায়নে অর্থায়নের জন্য সরকার, পৃষ্ঠপোষক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস হতে তহবিল সংগ্রহ এবং উদ্ধৃত তহবিল ঝুঁকিহীন লাভজনক বিনিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণসহ যে কোনো তফসিলি ব্যাংকে যে কোনো পরিমাণে এফডিআর করা এবং ট্রেজারি বন্ড ক্রয় করা।’
‘এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যে কোনো তফসিলি ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ, এলসি খোলা অথবা যে কোনো ঋণের বিপরীতে জামানত হিসাবে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক প্রদান বা চার্জ তৈরী করা অথবা ঋণের জামানত হিসাবে এফডিআরের বিপরীতে লিয়েন এর ব্যবস্থা গ্রহণ অথবা ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করা। এর পাশাপাশি যে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক ও সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ।’
আইনী পরামর্শকের সুপারিশক্রমে এমন পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে বিসিবি। এ ছাড়াও এজিএমে গত দুই অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব, বোর্ডের বিভিন্ন কার্যক্রম আলোচনা করা হবে এবারের এজিএমে। জানা গেছে, কোনো পরিচালক দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ থাকলে তার পরিবর্তে অন্য কাউকে পরিচালক করা হবে কী না এমন আলোচনাও হতে পারে এজিএমে।
এদিকে এই এজিএমের জন্য দুই দফায় বাজেট বাড়ানো হয়েছে পৌনে দুই কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এজিএমের বাজেট দাঁড়িয়েছে পৌনে চার কোটি তথা ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
বাজেটের বড় একটি অংশ বিসিবি খরচ করে কাউন্সিলরদের পেছনে। ক্রিকেট বোর্ডের সব জেলা মিলিয়ে ১৭০ জন কাউন্সিলর আছেন। প্রত্যেককে নগদ ১ লাখ টাকা এবং সঙ্গে দেওয়া হবে একটি করে ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট। প্রাথমিকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে নগদ দেওয়ার কথা থাকলেও সেটি আরও ৫০ হাজার বাড়ানো হয়।
এজিএমে আসা ১৭০ কাউন্সিলরের যাতায়াত খরচও বহন করবে বোর্ড। কাউন্সিলরদের রাখা হবে পাঁচ তারকা হোটেলে। দুরবর্তী জেলার কাউন্সিলরদের দেওয়া হবে বিমান টিকিট।
ঢাকা/রিয়াদ/বিজয়