১২৬ রান করেও টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটে হারলো বাংলাদেশ
ওয়ানডে সিরিজে একশ’র আগেই থামতে হয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে একই ভুল আর করেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। ওপেনিং জুটিতেই ম্যাচ শেষ করে আসে মাইটি অস্ট্রেলিয়া।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রোববার (৩১ মার্চ) আগে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১২৬ রান করে। তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১৩ ওভারে এই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া।
দুই ওপেনার অ্যালিসা হ্যালি-বেথ মুনি ফিফটি করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। বাংলাদেশের বোলাররা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি কারও। দুজনেই শুরু থেকে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। পাওয়ার প্লেতে আসে ৫৪ রান। সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন অধিনায়ক হ্যালি। ৫৫ রান আসে মুনির ব্যাট থেকে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির অপরাজিত ফিফটিতে ভর করে ১২৭ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় স্বাগতিক শিবির। জ্যোতি সর্বোচ্চ ৬২ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৭টি চারে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬৪ বলে। টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ ফিফটির দেখা পান ৫৭ বলে।
অথচ বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল বাজে। প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন দিলারা আক্তার। সেই ধাক্কা সামলে না উঠতেই দ্বিতীয় ওভারের শুরুতে শূন্যরানে ফেরেন সোবহানা মোস্তারি। এরপর মুর্শিদা খাতুন ও ফাহিমা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে দুটি ফিফটির জুটি গড়ে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন জ্যোতি।
মুর্শিদাকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে হাল ধরেন জ্যোতি। দুজনে খেলতে থাকেন দেখেশুনে। পার হয় ফিফটির জুটি। মুর্শিদা ২০ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। এবার জ্যোতির সঙ্গী হন ফাহিমা। এই অলরাউন্ডার খেলেন কিছুটা দ্রুতগতিতে। অপর প্রান্তে জ্যোতিও চেষ্টা করেন দ্রুত রান তোলার।
দুজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫২ বলে ৬০ রান। ফাহিমা ২১ বলে ২৭ রানে আউট হলে এই জুটি ভাঙে। শেষে নেমে ১ রানে অপরাজিত ছিলেন স্বর্ণা আক্তার। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন সফি মলিনেক্স৷
রিয়াদ/আমিনুল